প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর রেফারেন্স সহকারী পদের
লিখিত প্রশ্ন সমাধান-২০২৩
পদের নামঃ- রেফারেন্স সহকারী/ আলোকচিত্র মুদ্রাকর/ বুকিং সহকারী/ ডেসপাস রাইডার/ ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর/ সহকারী মডেলার/ নকশা অংকনকারী
পরীক্ষার তারিখঃ- ২৪-০২-২০২৩
১. উত্তর দিন:
(ক) অমর একুশে বইমেলার আয়োজক কোন মন্ত্রণালয়?
উত্তরঃ- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
(খ) ২০২৩ সালে কতজন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেছেন?
উত্তরঃ- বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ১৫ জন
(গ) ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানের ও একুশের প্রথম কবিতার রচয়িতা কে?
উত্তরঃ- আব্দুল গাফফার চৌধুরী
(ঘ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত সর্বশেষ বই কোনটি?
উত্তরঃ- কারাগারের রোজনামচা
(ঙ) ২০২৩ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজনদের মধ্যে ৩ জনের নাম লিখুন।
উত্তরঃ- খালেদা মনঞ্জুর-ই খুদা, মুক্তিযোদ্ধা একেএম শামসুল হক (মরণোত্তর) এবং হাজী মোহাম্মদ মজিবর রহমান ভাষা আন্দোলনে তাদের ভূমিকার জন্য একুশে পদক পেয়েছেন।
২. বাক্য সংকোচন করুন:
ক) যা পূর্বে দেখা যায় নি = অদৃষ্টপূর্ব।
খ) দিনের মধ্যভাগ = মধ্যাহ্ন।
গ) যে নারীর হিংসা নেই = অনুসূয়া ৷
ঘ) যিনি বক্তৃতা দানে পটু = বাগ্মী
ঙ) ব্যাঙের ছানা = ব্যাঙাচি।
৩. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে লিখুন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির চির প্রেরণা ও অবিস্মরণীয় একটি দিন। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, এখন এটি সারা বিশ্বের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। জাতির জীবনে শোকাবহ, গৌরবোজ্জ্বল , অহংকার্নে মহিমান্বিত চিন্নতাস্বর এই দিনটি। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ছিলে ঔপনিবেশিক প্রতুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ ৷ ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকে তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল রফিক , জব্বার, সালাম, বরকত ও সফিউর। পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষার জন্য রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দেয়ার প্রথম নজির এটি। সেদিন তাদের রক্তের বিনিময়ে শৃঙ্খলযুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা ও মায়ের ভাষা। আর এর মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল তা মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে UNESCO কর্তৃক বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি বিশ্ব দরবারে এনে দিয়েছে এক বিশাল খ্যাতি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বজুড়ে অমন একুশের উদ্যাপন নিঃসন্দেহে এক বিশাল জাতীয় গৌরব ও সম্মানের। ২০০০ সাল থেকে UNESCO এর সদস্য রাষ্ট্রগগুলো এ দিবসটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে। ২০০১ সালের ১৫ মার্চ বিশ্বের সাব মাতৃভাষার গবেষণা , উন্নয়ন ও সংরক্ষণে কাজ করার উদ্যোগে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর করেন ঢাকার সেগুনবাগিচায়। বর্তমানে
সংরক্ষণ ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এটি ভাষার ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে যা বাংলা ভাষাকে বিশ্বমর্যাদায় আসীন
করতে ভূমিকা রাখছে। ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর জাতিসংঘের ৬৫তম সাধারণ অধিবেশনে ৪র্থ কমিটিতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি উত্থাপন করে এবং প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। ফলে এটি বাঙালি জাতি, বাংলা ভাষার প্রতি বিশ্ববাসীর অকুণ্ঠ সমর্থন এবং সম্মান প্রদর্শনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিক চর্চা বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলেছে। মাতৃভাষার সংখ্যার বিচারে বাংলা ভাষা পৃথিবীর একটি শক্তিশালী ভাষা। একমাত্র আফ্রিকার সিয়েরালিওনে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হয়েছে । ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার সংসদ বাংলাকে স্বীকৃতির বিল পাস করে। ফলে বাংলা ভাষা লাভ করে এক অনন্য মর্যাদা। এই মুহূর্তে বহিবিশ্বে ৩০টি দেশের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু রয়েছে বাংলা বিভাগ , সেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার অবাঙালি পড়ুয়া বাংলাভাষা শিক্ষা ও গবেষণার কাজ করছে। এছাড়া চীনা ভাষায় রবীন্দ্র রচনাবলির ৩৩ খণ্ডের অনুবাদ এবং লালনের গান ও দর্শন ইংরেজি ও জাপানি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হয় সারা পৃথিবীতে একুশে আমাদের মননের বাতিঘর হিসেবে। একুশ এখন সাবা বিশ্বের ভাষা ও অধিকারজনিত সংগ্রাম ও মর্যাদার প্রতীক। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে। আছে আমাদের অহংকার শহীদ মিনার।
- Write a Paragraph on “Padma Bridge’
Ans.
Padma Multi-purpose Bridge
The Padma Multipurpose Bridge is the longest bridge in Bangladesh. On June 25, 2022, Prime Minister Sheikh Hasina inaugurated the largest infrastructure in the country. The bridge is mainly constructed with steel and concrete. This great Padma Bridge was actually a dream to the people of Bangladesh. Ultimately. Bangladesh successfully
implemented this biggest project without any foreign investment.
Bangladesh spent over 30,000 crores to build this longest construction. The length of the main bridge is 6.15 km and the width is 16.10 m. The bridge connects Mawa in Munshiganj district to Jajira in Shariatpur district. It has two layers a four-lane road at the top and a railway at the bottom. The bridge will also be used for gas, power lines and fiber optic cable expansion in the future.
The Padma Bridge will surely have a significant contribution to the social, economic and industrial development of the southem part of Bangladesh. The bridge will play playing an important role not only in the country but also in the regional connectivity of Asia and Southeast Asia.
৫. Translate into English (ইংরেজী করুন):
a) সবাই সফলতা চায় = Everyone wants success.
b) সে পাঁচটি কলম কিনেছিল = He bought five pens.
c) আমরা বিজ্ঞানের যুগে বাস করছি = We live in the age of science.
d) বালকটি বিপদে আছে = The boy is in danger.
c) আমাকে এক গ্লাস পানি দাও = Give me a glass of water.
৮. ৫ বছর পূর্বে পিতা ও পুত্রের বয়সের অনুপাত ছিল ৩-১ এবং ১৫ বছর পর পিতা ও পুত্রের বয়সের অনুপাত হবে ২ ঃ ১। পিতা ও পুত্রের বর্তমান বয়স নির্ণয় করুন।
উত্তরঃ- পিতার বয়স ৬৫ ও পুত্রের বয়স ২৫
৯. একটি বাঁধ তৈরি করতে ৩৬০ শ্রমিকের ২৫ দিন সময় লাগে। ১৮ দিনে বাঁধটির কাজ শেষ করতে হলে, কতজন অতিরিক্ত শ্রমিক লাগবে?
২৫ দিনে একটি বাঁধ তৈরি করে ৩৬০ জন শ্রমিক
∴ ১ ” ” ” ” ” ৩৬০ × ২৫ ” ”
∴ ১৮ ” ” ” ” ” ৩৬০ × ২৫/১৮ ” ”
= ৫০০ জন শ্রমিক
∴ অতিরিক্ত শ্রমিক লাগবে (৫০০ – ৩৬০) জন = ১৪০ জন
উত্তর : ১৪০ জন অতিরিক্ত শ্রমিক লাগবে।
১০. নিম্নলিখিত যে কোন (০৩ টি) বিষয় সম্পর্কে সংক্ষেপে শিখুন:
১১. যে কোনো ০২ টি প্রশ্নের উত্তর দিন:
(ক) প্রত্নসম্পদে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ৩ টি জেলার নাম লিখুন।
উত্তরঃ- নরসিংদী, বগুড়া ও কুমিল্লা
(খ) কোদলা মঠ কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ- কোদলা মঠ বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত একটি মট । এই প্রত্নতাত্ত্বিক অবকাঠামোটি আনুমানিক সপ্তদশ শতাব্দীতে তৈরি করা হয়েছিলো বলে ধারণা কলা হর । এ মঠের নাম কোদলা মঠ হলেও স্থানীয়ভাবে অযোধ্যা মঠ নামেও পরিচিত । স্থানীয়ভাবে, বই পুস্তক ও বিভিন্ন লেখা প্রকাশনায় অযোধ্যার মট বা কোদলার মঠ দুটি নামই দেখা যায়।
গ) ‘Mother of Humanity” খেতাব কে পেয়েছেন?
উত্তরঃ- শেখ হাসিনাকে
১২. ৭ই মার্চ” সম্পর্কে লিখুন।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লাখো জনতার সামনে যে ভাষণ দেন, তা-ই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ হিসেবে পরিচিত। তাঁর ভাষণটি ছিল, “ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম ।” বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণে নিহিত ছিল বাঙালির মুক্তির বীজ, স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মত্যাগের প্রেরণাশক্তি , নিপীড়িত ও দিশেহারা বাঙালির উজ্জাবনী মন্ত্র। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসন , শোষণ আর নির্যাতনের সমাপ্তি ঘটাতে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল অনিবার্য। ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের এ বিজয়কে সহজে মেনে নিতে পারেনি ৷ এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেলারেল ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চ জাতীর পরিষদের অধিবেশন ডেকেও অপ্রত্যাশিতভাবে ১লা মার্চ তা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি ঘোষণা করেন
চলমান সামরিক আইন প্রত্যাহারসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তার এ ভাষণ ছিল জাতির মুক্তিসংগ্রামের এক পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা। সেই দিন বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ নতুন জীবনের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়। মুক্তিকামী বাঙালির স্থাধীনতা আন্দোলনের কর্মপন্থা-কৌশল তুলে ধরেন, দেন সঠিক দিকনিদেশনা। আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, তোমাদের উপর আমার অনুরোধ রইল- প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের
যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে নিরলস সংগ্রাম-আন্দোলন করতে থাকেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । ১৯৪৮ থেকে শুরু করে ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ এর ছয় দফা, উনসভ্রের গণঅভ্যুত্থান , সম্ভরের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ, সর্বোপরি, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ- এই দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে অবশ্যসম্ভবী করে তোলেন ।