খাদ্য মন্ত্রণালয় পিএসসি ডাটাবেজ ম্যানেজার (৯ম গ্রেড)
পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০২২
পদের নামঃ- ডাটাবেজ ম্যানেজার (৯ম গ্রেড)
পরীক্ষার তারিখঃ- ২৯-১১-২০২২
বাংলা প্রশ্ন সমাধানঃ-
১. প্রবন্ধ রচনা করুন: সাহিত্যে-শিল্পে বঙ্গবন্ধু ১৫
২. সারাংশ লিখুন:
সময় ও স্রোত কারো অপেক্ষায় বসে থাকে না। চিরকাল চলতে থাকে। সময়ের নিকট অনুনয় কর, একে ভয় দেখাও, দ্রুক্ষেপও করবে না, সময় চলে যাবে আর ফিরবে না। নষ্ট স্বাস্থ্য ও হারানো ধন পুনঃপ্রাপ্ত হওয়া যায়, কিন্তু সময় একবার গত হয়ে গেলে আর ফিরে আসেনা । গত সময়ের জন্য অনুশোচনা করা নিস্ফল।
সারাংশ: সময় চিরবহমান। শত চেষ্টা করেও সময়ের গতি কে কেউ রুদ্ধ করতে পারেনা । চেষ্টা ও শ্রম দিয়ে হয়ত লুপ্ত স্বাস্থ্য বা ধ্বংস হওয়া ধন-সম্পদ পুনরায় উদ্ধার করা যায়। কিন্তু চলে যাওয়ার সময় কে শত চেষ্টায়ও কখনো ফিরিয়ে আনা যায় না। তাই সময়ের কাজ সময়ে করা উচিত।
৩. আপনার এলাকায় একটি গ্রন্থাগার নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করুন।
৪. বাংলা অনুবাদ করুন: ৫
In our country poverty is a great problem. But we do not understand that this plight is our owncreation Most people
do not try to improve their condition with hard labour. They only express regret for their distress and blame their lot for it.
উত্তরঃ- আমাদের দেশে দারিদ্যতা একটি বড় সমস্যা । কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না যে এই দুর্দশা আমাদের নিজস্ব সৃষ্টি | বেশিরভাগ মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে তাদের অবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা করে না। তারা কেবল তাদের কষ্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এবং এর জন্য তাদের ভাগ্যকে দায়ী করে ।
৫. ক ধাতু ও প্রকৃতির মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করুন।
উত্তরঃ- ধাতু ও প্রকৃতির মধ্যে পার্থক্য:
ধাতু | প্রকৃতি |
ক্রিয়ার মূল কিংবা এর যে অবিভাজ্য অংশ এর অন্তর্নিহিত মুল ভাবটির দ্যোতনা (দ্যোতনা-সুচনা, প্রকাশনা) করে, অথবা ; বিশেষণ করা যায় না এ রকম যে ক্ষুদ্রতম ধ্বনি-সমষ্টি ক্রিয়ার বন্ত বা গুণ বা অবস্থান বুঝায় তাকে ধাতু বলে। ক্রিয়ার মুলকে বলা হয় ধাতু। | যে ধাতু বা শান্দের শেষে প্রত্যয় যুক্ত হয় তাই প্রকৃতি। শব্দ ও ধাতুর মুলই প্রকৃতি । |
ধাতু প্রধানত তিন প্রকার । যথা- মৌলিক, সাধিত এবং যৌগিক বা সংযোগমূলক ধাতু | প্রকৃতি দুই প্রকার | যথা- ১) ধাতু বা ক্রিয়া প্রকৃতি ২) নাম প্রকৃতি বা প্রাতিপদিক । |
(খ) সমার্থক শব্দ লিখুন:
গিরি = পাহাড়
নিপাত = নিধন
(গ) বাগধারাগুলো যথার্থ অর্থে প্রয়োগ করুন:
গড্ডলিকা-প্রবাহ – (অপরকে অন্ধভাবে অনুসরণ) গড্ডালিকা প্রবাহে যারা গা ভাসিয়ে দেয়, আমি তাদের দলে নেই।
তাসের ঘর -(ক্ষণস্থায়ী) ঠুনকো বন্ধুত্ব স্বার্থের সামান্য আঘাতেই তাসের ঘরের মত ভেঙে যায়।
(ঘ) সংজ্ঞা লিখুন:
দ্বিগু সমাস – সমাহার বা সমষ্টি বা মিলন অর্থে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিগু সমাসে সমাসনিষ্পন্ন পদটি বিশেষ্য পদ হয়।
যেমন: চৌমুহনী = চৌ মোহনার সমাহার; পঞ্চবটা-পঞ্চবটের সমাহার ।
সাধিত শব্দ:- মৌলিক শব্দ ও ধাতুর সঙ্গে উপসর্গ বা প্রত্যয়যোগে বা সমাসের সাহায্যে যে শব্দ গঠিত হয়, সেগুলোকে সাধিত শব্দ বলে। উদাহরণ: প্রত্যয়যোগে – মোগল+আই-মোগলাই | উপসর্গ যোগে – সু+নাম সুনাম ।
(ঙ) বানানগুলো শুদ্ধ করুন:
ইতিপূর্বে= ইতঃপূর্বে
উপযোগীতা = উপযোগিতা
Subject Code: 102 Marka: 40
- Write an essay on the following topic using the hints given below:
Emergence of Bangladesh as an independent State
[Hint: Introduction —- Historical background —- Gestation period of 1952-1970 —- The armed struggle of 1971 against the atrocious Pakistan Army —- Conclusion]
- Write a letter to the Mayor of Dhaka North City
Corporation, requesting him to take necessary steps to make the pavements of the city suitable for the people to walk on.
- Read the following passage and then answer the questions that follow:
Once there lived a beggar in a city. He thought that he would have more money if he pretended to be dumb. As planned, he had ‘dumb’ painted on a board and hung it round his neck. Another beggar who envied him determined
to punish the cheat. So, he sat beside him and a gentleman gave taka fifty to the pretender. He then said. “He is a rogue and is not dumb at all.” The first beggar shouted angrily, “Liar, I have always been dumb and also now. The
gentleman became astonished and remarked that a dumb cannot talk.
Questions:
(a) What did the beggar pretend and why?
Ans. The beggar pretended to be dumb because he thought he would have more money if he pretended to do so.
(b) What did he do accordingly?
Ans. He had ‘dumb’ painted on a board and hung it round his neck.
(c) How did mother beggar expose the pretender?
Ans.
(d) How was the true nature of the pretender revealed ?
Ans.
(e) What is the moral of the story?
Ans.
- Correct the following sentences:
(a) He is waiting for two hours.
Ans.
(b) None can hardly do this work.
Ans.
(c) could not help to do i
Ans. could not help doing it.
(d) The color of the flowers are charming.
Ans. The color of the flowers is charming.
(e) I want such a man whom sincerity is praiseworthy.
Ans. want such a man whose sincerity is praiseworthy.
- Make sentences with the following
(a) A blessing in disguise – (an apparent misfortune that eventually has good results) Losing that job was a blessing in disguise really.
(b) In no time – (very quickly or very soon) I’ll be there in no time
(c) Call to mind – (remember) Icannot call to mind your name.
(d) Before long – (in the near future) The baby will be teething before long.
(e) In reference to – (about or concerning (something or someone)) I am writing in reference to your recent letter.
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
১. বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত “অর্থনৈতিক অঞ্চল’ কলতে কী বুঝেন ? বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এর গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তরঃ- ২০৩০ সালের মধ্যে শিল্পবিপ্রব ঘটানোর লক্ষ্যে নতুন সংযোজন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নিয়েছেন। দেশে কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নের চলমান প্রবৃদ্ধিকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে গঠিত হওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদনের সূচনা
হয়েছে। শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, উৎপাদন এবং রপ্তানী বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে পশ্চাৎপদ ও অন্ঘসর এলাকাসহ সম্ভাবনাময় সকল এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত করাই হলো এর উদ্দেশ্য ।
বাংলাদেশে মোট ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এর অংশ হিসেবে বেশকিছু অর্থনৈতিক অঞ্চল ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে । মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়
অর্থনৈতিক অঞ্চল । এরই মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন ও রপ্তানি শুরু হয়েছে । বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপন করা কারখানায় জাম্বু ব্যাগ, কোমল পানীয়, নুডলস, ভোজ্য তেল, টিস্যু পেপার, কাগজ, হ্যাংগারসহ বিভিন্ন পণ্য উত্পাদিত হচ্ছে। এসব পণ্য ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, ভুটান, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, ভারত-নেপাল, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, চীন, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া ব্বিকেটেড, স্টিল, মোটরসাইকেলসহ অনেক পণ্য স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু করতে পারলে তাতে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে। রপ্তানি আয় বহুগুণ বেড়ে যাবে। চীন, জাপান ও ভারত আলাদাভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চল বাছাই করেছে । এই অঞ্চলগুলো প্রস্তুত হলে বিদশী বিনিয়োগে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে বলে বেজা আশা করছে।
২. তিস্তা নদীর বর্তমান অবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এর গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখুন ।
উত্তরঃ- তিস্তা নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী । এটি ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। তিস্তা সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি বিভাগের প্রধান নদী। একে সিকিম ও উত্তরবঙ্গের জীবনরেখাও বলা হয়। তিস্তা নদী প্রায় ৩১৫ কিলোমিটার । এর মধ্যে ১১৫ কিলোমিটার প্রবাহিত হয় আমাদের দেশে ।
বাংলাদেশে তিস্তা নদী উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি জেলা-গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী এবং রংপুরকে প্রভাবিত করেছে। ওই অঞ্চল দেশের অন্যতম শস্যভান্ডার বলে পরিচিত । তিস্তা বিষয়ে ২০০৩ সালের এশিয়া ফাউন্ডেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ফ্ল্যাড প্রেইন এলাকা হিসেবে বাংলাদেশের মোট আবাদি জমির প্রায় ১৪ ভাগ কাভার করেছে তিস্তা। এবং তা দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৭.৩ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য সরাসরি জীবিকার ব্যবস্থা করেছে।
বাংলাদেশের জন্য গুরুতৃপুর্ণ এই নদীটি অনেকদিন ধরে পানি সংকটে ভুগছে। ফলে এই জনপদের কৃষিকাজ ব্যাপকভাবে ব্যহত হচ্ছে । আবার বর্ষায় একতরফাভাবে ভারতের ছেড়ে দেয়া পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্রাবিত হয়। ভোগান্তিতে পড়তে হয় অসংখ্য মান্রষকে। ভাঙনে নিঃম্ব হয় হাজার হাজার পরিবার । মুলত ভারতের দিয়খী নীতির পূর্ণ ব্যবহার করছে ।দেশীয় অব্যবস্থাপনা এবং ভারতীয় পানি প্রত্যাহারের কারণেই তিস্তার এই পরিণতি ।
৩. বাংলাদেশে সবুজ অর্থনীতির অপরিহার্যতা সম্পর্কে লিখুন ।
উত্তরঃ- প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং পরিবেশের ক্ষতিসাধন না করে অর্থনৈতিক উন্নয়নই সবুজ অর্থনীতি । সহজভাবে বলতে গেলে, সবুজ অর্থনীতি হলো সেই অর্থনীতি যা মানুষের উন্নয়ন নিশ্চিত করবে কিন্তু একই সঙ্গে পরিবেশগত ঝুঁকি কমাবে এবং অভাব দুর করবে । অবস্থানগত কারণেই বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিপুর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রায়শই বন্যা, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ততা সৃষ্টি হচ্ছে। অধিকন্ত ঋতু পরিবর্তনের স্বাভাবিক নিয়মে ভিন্নতা দেখা দিচ্ছে। ভূমির ক্ষয়রোধ, নদীভাঙ্গন, জমির জমি, বসতভিটা । কৃষি জমির পরিমাণ ক্রমেই কমে যাচ্ছে। কৃষি, কেমিক্যাল ও ট্যানারি শিল্পে কোন রকম সতর্কতা অবলম্বন না করেই শ্রমিকরা বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল দিয়ে কাজ করছে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে ব্যাহত করেছে এই বজ্র পদার্থ। নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন আমাদের জন্য হুমকিদ্বরূপ। অসংখ্য পুরনো এবং অযোগ্য যানবাহন চলাচল করার কারণে ব্যাপক দুষণ ঘটছে। জ্বালানি তেল ব্যবহারের ফলে যানবাহনের কালো ধোয়া বায়ু দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি করে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোগবালাই সৃষ্টি করে চলেছে। কৃষকরা কৃষিকাজে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সারও কীটনাশক ব্যবহার করে থাকে । এতে করে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়ছে আমাদের অর্থনৈতিক পরিবেশ । কলকার-খানার দুষিত বজ্যরে কারণে নষ্ট হচ্ছে আমাদের পরিবেশ। এজন্য দেশে যে সকল কারখানা রয়েছে এগুলো সবুজ শিল্পায়নে রূপান্তিত করার জন্য শিল্পমালিকদের উত্সাহ দিতে হবে। যাতে তারা শিল্প-কারখানায়
সবুজ অর্থনীতির প্রয়োগ করতে পারে। যার ফলে তৈরী হবে সবুজ অর্থনীতি সর্জ বাংলাদেশ। কেবল অর্থনৈতিক উন্নতি দেশের টেকসই উন্নয়ন নয়। প্রকৃতি, পরিবেশ সংরক্ষণ এর সঙ্গে জড়িত। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পরিবেশ সংরক্ষণ উভয়ই একটি দেশের জন্য অপরিহার্য । দেশে আমাদের বসবাস উপযোগী করে গড়ে তুলতে হলে সবুজ অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া উপায় নেই। যেহেতু আমরা জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ ঝুঁকিতে থাকা অন্যতম দেশগুলোর একটি, তাই আমাদের দেশে সবুজ অর্থনীতি বাস্তবায়নে যেসব সমস্যা রয়েছে তার সমাধান অতীব জরুরি । প্রকৃতি, পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এর সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। একটি আরেকটির পরিপূরক। তাই একদিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা উন্নয়ন, অন্যদিকে তার সাথে পরিবেশ সংরক্ষণ—-দুই-ই দেশের জন্য অপরিহার্য । এমন প্রেক্ষাপটে সবুজ অর্থনীতিই হতে পারে যুগপৎ উন্নয়নের শ্রেষ্ঠ বিকল্প মাধ্যম। মধ্যম আয়ের দেশের পথে আগুয়ান সবুজ সংকটে জর্জরিত দেশের জন্য বরং সবুজ অর্থনীতি এক অসাধারণ উপায়রূপে আবির্ভূত হয়েছে। আর এ পথে এখন অনেকটাই ধাবিত বাংলাদেশ ।
৪. করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশের সফলতা সম্পর্কে আলোচনা করুন৷
উত্তরঃ- করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সফল- এমন স্বীকৃতি অনেক আগেই মিলেছে । করোনা পরিস্থিতি সফলভাবে নিয়ন্ত্রণে বিশ্বে ৫ম ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষস্থানের স্বীকৃতি মিলেছে বাংলাদেশের । বৃহস্পতিবার জাপানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নিকেই এশিয়া প্রকাশিত “নিকেই কোভিড ১৯ রিকোভারি সূচকে” এই তথ্য উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়, করোনা সামলে ওঠার ক্ষেত্রে বিশ্বের ১২১টি দেশের মধ্যে যে দেশগুলো সবচেয়ে ভালো করছে, সেই তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে বাংলাদেশ। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে । সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা, টিকাদান এবং এই মহামারি মোকাবিলায় সামাজিক তৎপরতার ওপর ভিত্তি করে এই সূচক প্রকাশ করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাজুক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যেও সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণেই এই সফলতা এসেছে। এর মধ্যে টিকাদান, স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি ও বিভিন্ন প্রণোদনা বেশ কার্যফল দিয়েছে। শুরুর দিকে টিকাদান কর্মসূচিতে একটু সমস্যা হলেও সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সংকট কাটিয়ে উঠে চমৎকারভাবে টিকা ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশে টিকার বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ আগ্রহ নিয়ে টিকা নিয়েছে । এ কারণেই দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে । বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এক্ষেত্রে ভালো করেছে। এছাড়া নতুন একটি ভাইরাস প্রতিরোধের পন্থাগুলো (রোগী শনাক্ত পদ্ধতি, সংক্রমিতদের ওপর কোনো ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করা হবে, মাক্ষের ব্যবহার নিশ্চিত করা) যখনই সামনে এসেছে বাংলাদেশ সেই সুযোগগুলো কাজে লাগিয়েছে। স্থাস্থ্যব্যবস্থা অনেক বেশি সক্ষম না হলেও সক্ষমতা অনুযায়ী আমরা ভালোই করেছি। মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারের “নো মাস্ক নো সার্ভিস” কর্মসূচিটিও প্রসংশার দাবিদার ৷ এছাড়া বিভিন্ন সময় বিনামূলে মাস্ক -স্যানিটাইজার বিতরণের উদ্যোগও দেখা গেছে। বিশেষকদের মতে, সরকারের এসব উদ্যোগ শুধু সংক্রমণ প্রতিরোধেই সফল হয়নি; করোনাকালে দেশের অর্থনীতিও সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। লকডাউনের সময় নিন্নবিত্ত মানুষের জন্য খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা যেমন জীবিকা রক্ষা করেছে; তেমনি ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের জন্য দেয়া বিভিন্ন প্রণোদনার কারণে দেশের অর্থনীতির গতিও ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।
৫. জনসংখ্যাকে কিভাবে জনসম্পদে পরিণত করা যায় লিখুন।
উত্তরঃ- জনসম্পদ হলো কোনো দেশের দক্ষ শ্রমশক্তি। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে জনসম্পদ।
জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের উপায়: বিভিন্নভাবে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করা যায়। নিম্নে এই উপায়গুলো আলোচনা করা হলো:
১. শিক্ষা প্রদান: মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রধান উপাদান হলো শিক্ষা । শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে তোলার মাধ্যমে জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তর করা যায়।
২. কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান: আধুনিক প্রযুক্তি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রাদানের মাধ্যমে অদক্ষ জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করা সম্ভব ।
৩. পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন: জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরের জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি: কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও শ্রমের দক্ষতা বৃদ্ধি এই দুইটি বিষয়ের উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিলে বাংলাদেশে জনসংখ্যা জনসম্পদে রূপান্তরিত হবে ।
৫. জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি: মানুষের মৌলিক চাহিদাঞ্চলো পূরণ ও পুষ্টির ব্যবস্থা, পরিবেশ সম্মত আবাসন ও সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করা যায়। ব্যক্তিগত, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের জন্য অপরিহার্য ।
আর্ন্তজাতিক বিষয়াবলি
৬. রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশজনিত সংকট নিরসনে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলো লিখুন।
উত্তরঃ- রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশজনিত সংকট নিরসনে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ:
মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রত্যাবাসন চুক্তি সই: ২০১৭ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রত্যাবাসন চুক্তি সই করা হয়। কিন্তু মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য কিছু করেনি এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতাও দুঃখজনক।
মিয়ানমারের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই:
২০১৮ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করতে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করেছে। দুঃখের বিষয় হলো,
মিয়ানমার সরকার এখনো সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি ।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান:
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেওয়াসহ পাচঁটি পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবগুলো হলো-
১. রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রদান
২. আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরদ্ধে লড়াই জোরদার করতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গান্ধিয়াকে সমর্থন করাসহ আন্তর্জাতিক বিচার আদালত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং জাতীয় আদালতের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করা ।
৩. জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অব্যাহত দমন-পীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা ।
৪. আসিয়ানের পাচঁ-দফা ঐক্যমত মেনে চলার অঙ্গীকার পূরণে মিয়ানমারকে দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানানো ।
৫. মিয়ানমার যাতে বাধাঁহীন মানবিক প্রবেশাধিকারে রাজি হয় সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া ।
৭. JICA বলতে কী বুঝেন? এ দেশে JICA এর কার্যক্রম সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তরঃ- JICA এর পূর্ণরুপ হল Japan International Cooperation Agency। ২য় বিশ্বযুদ্ধে জাপান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে জাপান তার নিজস্ব চিন্তাচেতনার মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ১৯৫৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জাপান কলা পরিকল্পনার যোগদান করে বিশ্ব উন্নয়নে অংশগ্রহণের জন্য ODA (Overseas Development Assistance) গঠন করে। পরবর্তীতে ২০০০ সালের ১ অক্টোবর জাইকা নামে স্বাধীন প্রশাসনিক সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
বাংলাদেশে জাইকার কার্যক্রম:
২০০৩ সাল থেকে জাইকা জাপান সরকারের একটি বৈদেশিক স্বাধীন প্রমাসনিক ইউনিট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে বাংলাদেশে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য ইত্যাদি ক্ষেত্র ছাড়াও জাইকা বাংলাদেশে শিক্ষার উন্নয়নে নানা ধরণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন
করে যাচ্ছে। জাইকা (IXA) বাংলাদেশে অর্থনৈতিক তথা অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষামূলক কর্মকান্ডে সহযোগিতা করে থাকে । বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে জাইকার কর্মকান্ডগুলো নিম্নে উলেখ করা হলো:
১. প্রতিবন্ধীদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি;
২. জেওসিভি কর্মসূচির মাধ্যমে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ;
৩. শিক্ষার মান উন্নয়ন কর্মসুচি বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরণের কাজ করে থাকে যেমন- শ্রেণিকক্ষে শিক্ষণ ও শিখন পরিবেশের মান উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি।
৪. উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মান উন্নয়ন;
৫. প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পরামর্শ
৬. তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সহায়তা প্রদান ইত্যাদি।
৮. চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করুন।
৯. SAARC গঠনের উদ্দেশ্য, এর সফলতা ও ব্যর্থতা সম্পর্কে আলোচনা করুন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগীতা সংস্থা হলো সার্ক (SAARC) । SAARC এর পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো- South Asian Associantion for Regional Co-oparetion.
সার্কের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: বেশ কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । “সার্ক সনদ’ ও “ঢাকা ঘোষণা” অনুযায়ী সার্কের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য গুলো হলো-
- দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের কল্যাণ সাধন ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ।
- অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা । বিজ্ঞান ও কারিগরি ক্ষেত্রে সহযোগীতা দান ।
- সার্কভুক্ত দেশসমুহের আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে যৌথ প্রচেষ্টা গ্রহণ ।
- পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি । শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধের মীমাংসা ।
- বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহহ্থার সঙ্গে সহযোগীতা স্থাপন ।
- আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থসং শ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগীতা বৃদ্ধি ও অনুকুল অবস্থান গ্রহণ ।
- একে অপরের সার্বভৌমত্ব, ভূখন্ড গত অখন্ডতা ও স্বাধীনভাবে চলার নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং অপরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা ।
সার্কের সফলতা ও ব্যর্থতা: দীর্ঘ আড়াই দশকে সার্ক সীমিত পরিসরে হলেও প্রশংসনীয় কাজ করেছে। যেমন – সন্ত্রাস দমনে সমঝোতা দলিলে স্বাক্ষর, আঞ্চলিক খাদ্য নিরাপত্তা সৃষ্টি, পরিবহন ও যোগাযোগ সহযোগীতা, জৈব প্রযুক্তি, পরিবেশ, আবহাওয়া, বনজসম্পদ এবং গণমাধ্যম সেক্টরে পারস্পরিক সহযোগীতা, SAPTA ও SAFTA গঠন ইত্যাদি। এছাড়া সার্ক কৃষি কেন্দ্র, সার্ক যক্ষ্মা কেন্দ্র, সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্র, সার্ক জ্বালানি কেন্দ্র, সার্ক বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি গঠন সার্কের সফলতার প্রতিচ্ছবি। তবে জনসংখ্যায় সার্ক বিশ্বের বৃহৎ আঞ্চলিক সংগঠন হলেও ASEAN এর মতো সফলতা অর্জন করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে সার্কের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ সদস্য দেশগুলোর আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক সহযোগীতা জোরদার করার ব্যাপারে অনীহা এবং পাক-ভারত, ভারত-চীন, ভারত-শ্রীলংকা সীমান্ত ও রাজনৈতিক বিরোধ ।
১০.অর্থনৈতিক কূটনীতি বলতে কী বুঝেন? সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তরঃ অর্থনৈতিক কূটনীতি: অর্থনৈতিক স্থার্থসিদ্ধির জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে প্রচলিত বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক পরিচালিত কলাকৌশলকে অর্থনৈতিক কুটনীতি বলে। অর্থনৈতিক কুটনীতি, অর্থনৈতিক কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করে এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের
সাথে চুক্তি সম্পাদন করে ।
অর্থনৈতিক কুট নীতির মূল উদ্দেশ্য হল :
১. বৈদেশিক বিনিয়োগকে আকর্ষণ করা,
২. রপ্তানি বৃদ্ধিতে ব্যবস্থা গ্রহন করা,
৩. শ্রমশক্তি বিদেশে রপ্তানিকল্পে ব্যবস্থা গ্রহন করা |
৪. আমদানি, রপ্তানি, বিনিয়োগ, খণ, সাহায্য, মুক্ত বাজার অর্থনীতি, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ইত্যাদি অর্থনৈতিক কুটনীতির আলোচ্য বিষয় |
৫. অর্থনৈতিক কুটনীতি বৈদেশিক নীতির সেই অংশ, যেখানে প্রত্যেক দেশ নিজ দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ বিবেচনা করে ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
১১. সাইবার ক্রাইম কী?
উত্তরঃ একটি কম্পিউটার বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে যদি কারো ব্যক্তিগত তথ্যের অবৈধ ব্যবহার, copyright infringement ঠকানো, personal data চুরি, hacking, phishing, spamming বা privacy theft এবং এগুলির মতো অপরাধ করা হয় বা যেসব যন্ত্র নেটওয়ার্ক দ্বারা একসাথে যুক্ত থাকে যেমন কম্পিউটার অথবা মোবাইল এসব যন্ত্র ব্যবহার করে যখন কোন অপরাধ করা হয় তাকে সাইবার ক্রাইম বলে । যারা এ ধরণের অপরাধের সাথে যুক্ত থাকে তাদের সাইবার অপরাধী বলে । ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল যুগের সাথে সাথে ইন্টারনেটে অপরাধের সংখ্যা আরো দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাইবার ক্রাইম, সাইবার অপরাধ বা কম্পিউটার অপরাধ, এমন যেকোনো ধরণের অপরাধ, যেখানে একটি কম্পিউটার (computer), নেটওয়ার্ক (internet) বা ইন্টারনেট সংযুক্ত ডিভাইস (device) অপরাধের সাধন (object) হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন, কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য চুরি করা, তথ্যর ভূল ব্যবহার করা, কারো ব্যক্তিগত
তথ্য অন্যকে দিয়ে দেয়া, অনুমতি ছাড়া তথ্য নষ্ট করা এবং আরো অনেক রয়েছে। আবার cyber crime অনেক রকমের হতে পারে।
যেমন, Email spam (ইমেইলের মাধ্যমে ঠকানো) , hacking phishing, virus এর মাধ্যমে, অনলাইন যেকোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য অনুমতি ছাড়া চুরি করা এবং আরো রয়েছে। সাইবার ক্রাইম এর ক্ষেত্রে, ব্যাঙ্ক একাউন্টের তথ্য গ্রহণ করা, ডেবিট কার্ডের (debit card ) অবৈধ ব্যবহার, net banking password চুরি ও অবৈধ ব্যবহার এবং ব্যক্তির bank সাথে জড়িত তথ্য চুরি করা, এবং এই ধরণের ঠকবাজি সবচেয়ে বেশি পরিমানে করা হয়।
১২. বায়ুর উপাদান সম্পর্কে লিখুন।
উত্তরঃ- বায়ু পৃথিবীর চারদিক বেষ্টনকারী গ্যাসীয় আবরণ যা পৃথিবীর অভিকর্ষের টানে পৃথিবী সংশিষ্ট হয়ে রয়েছে। বাযুমন্ডল পৃথিবীর জীব জগৎকে ক্ষতিকর বিকিরণ এবং মহাজাগতিক ধ্বংসাবশেষ থেকে রক্ষা করে । নানাবিধ গ্যাসের মিশবণে বায়ু গঠিত। যার
মধ্যে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের পরিমাণ সর্বাধিক । ফুসফুস দ্বারা বায়ুর অক্সিজেন গ্রহন করেই আমরা বেঁচে আছি। তবে বায়ুর গঠন স্থির নয়। এর প্রধান পরিবর্তনশীল দুটি উপাদান হলো জলীয়বাম্প ও কার্বণ ডাই-অক্সমাইড। বায়ুর গ্যাসীয় সাংগঠনিক উপাদানগুলো হচ্ছে: নাইট্রোজেন ৭৮.০৯%, অক্সিজেন ২০.৯৫%, আর্গন ০.৯৩%, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ০.০৩% এব সামান্য পরিমাণে নিয়ন, হিলিয়াম, মিথেন, ক্রিপটন, হাইড্রোজেন, জেনন এবং ওজোন । ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব উচ্চমাত্রায় পরিবর্তনশীল । এর সৃষ্টি ও ধ্বংস উভয়ই হয়ে থাকে অতি বেগুনী রশ্মি এবং অবলোহিত বিকিরণ শোষণের দ্বারা । এই গ্যাসের অধিকাংশই অধিক উচ্চতায় পাওয়া যায়। আবহ বিদ্যায় এই গ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি ও অবলোহিত বিকিরণ শোষণ করে। বায়ুর কার্বণ ডাই-অক্সাইড গ্যাস অবলোহিত বিকিরণের মাধ্যমে পৃথিবী থেকে তাপক্ষয়ের প্রক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে । বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানি (যেমন, কয়লা ও খনিজ তৈল)-র ব্যাপক দহন বিংশ শতান্দীর প্রথমার্ধে বায়ুতে কার্বণ ডাই-অব্মাইড গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ১২% বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে উল্লিখিত সময়ে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ১-১০ সে বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৩. অটিজম কী জাতীয় সমস্যা? এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিগুলো কী কী?
উত্তরঃ- অটিজম হচ্ছে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশজনিত সমস্যা । যেখানে শিশুদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ, সামাজিক আচরণ, সামাজিক কল্পনা ইত্যাদি ক্ষেত্রসমূহে বেশ সমস্যা লক্ষ করা যায়। বিশেষজ্ঞরা একে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার বলেন । শিশুর
জন্মের প্রথম তিন বছরের মধ্যে এর লক্ষণ প্রকাশ পায়।
এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের উলেখযোগ্য অগ্রগতিগুলো নিম্নরূপ?
সরকারি উদ্যোগ
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগ্তলোতে ৩৪টি শিশু বিকাশ কেন্দ্র রয়েছে। দেশের সব জেলার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে একটি করে অটিজম কর্নার (১০৭টি) স্থাপিত হয়েছে । এ ছাড়া কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, স্বায়ত্তশাসিত এবং
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও অটিজম রোগীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে । তবে প্রয়োজনের তুলনায় এগুলোর সংখ্যা খুবই কম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা হোসেন বাংলাদেশ জাতীয় অটিজম উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান । তার উদ্যোগে সরকারি পর্যায়ে অটিজম নিয়ে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যেমন সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে মিরপুরে চালু হয়েছে “অটিজম রিসোর্স সেন্টার’। আর অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া, অটিস্টিক শিশুদের অবস্থা পরিমাপ সহ আরও অন্যান্য প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠন করা হয়েছে “সেন্টার ফর নিউরোডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অটিজম ইন চিলড্রেন’। এছাড়া ঢাকা শিশু হাসপাতালে রয়েছে “শিশু বিকাশ কেন্দ্র ।
বেসরকারি প্রচেষ্টা
অটিজম নিয়ে সরকার কাজ শুরু করেছে বেশি দিন হয়না তবে বেসরকারি পর্যায়ে অনেক আগে থেকেই অটিজম বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা চলছেন ইতিমধ্যে ঢাকায় অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা দেয়ার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে ঢাকার বাইরেও রয়েছে কিছু প্রতিষ্ঠান ।
১৪. হরমোন ও এনজাইমের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তরঃ- এনজাইম এবং হরমোন মধ্যে পার্থক্য নিম্নরুপ:
১। সমস্ত এনজাইম প্রোটিন। অন্যদিকে সব হরমোন প্রোটিন নয়।
২। এনজাইমগুলি গোপন এবং একই স্থানে কাজ করে। অন্যদিকে হরমোনের স্রাব ও সক্রিয়করণ বিভিন্ন স্থানে স্থান পায় ।
৩। এনজাইমগ্ডলি কোষের সমস্ত জৈবরাসায়নিক প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে
৪ | হরমোনগুলি বিপাকীয় কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে । অন্যদিকে এনজাইম বিপাকজনিত অংশ নেয়।
৫। এনজাইমগুলি নিম্নপ্তর নির্দিষ্ট হয় যখন হরমোনটি টার্গেট সেল, টিস্যু বা সিস্টেমের জন্য নির্দিষ্ট ।
৬। প্রতিক্রিয়া পরে এনজাইমগুলি পরিবর্তিত হয় না এবং পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে প্রতিক্রিয়া পরে হরমোনগুলি পতিত হয় ।
৭। ইনহিবিটর অণু নিয়ন্ত্রণ করে এবং এনজাইম্যাটিক কার্ষকলাপ কমিয়ে দেয় । অন্যদিকে বাধা ধর্মী হরমোন হরমোনের কার্ধকলাপকে দমন করে ।
১৫. খাদ্যের উপাদানসমূহ কী কী? মানবদেহে ভিটামিনের ভূমিকা কী?
উত্তরঃ- খাদ্য যে সকল রাসায়নিক বন্তর সমন্বয়ে গঠিত তাদেরকে খাদ্য উপাদান বলে।
খাদ্য ছ’টি উপাদান থাকে, যথা- শর্করা, আমিষ বা প্রোটিন, গ্নেহপদার্থ, ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ, খনিজ লবণ এবং জল ।
মানবদেহে ভিটামিনের ভূমিকা:
ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ হলো এক শ্রেণীর জৈব যৌগ যা বিভিন্ন খাদ্যে স্বল্প মাত্রায় থাকে এবং প্রজননে জীবের পুষ্টি সাধনে, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশে অত্যাবশ্যকীয় ভূমিকা রাখে । দেহে ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণের অভাবে বিভিন্ন রোগ বা সমস্যার প্রাদুর্ভাব হয়। যেমন ভিটামিন অ’র অভাবে চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে ।
প্রয়োজনীয়তাঃ
প্রতিদিনের খাদ্যে কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় মৌল ছাড়াও আরো কিছু এলিমেন্ট আছে যা অল্পমাত্রায় শরীরে প্রয়োজন। আর এর অভাব জনিত কারণেই আমাদের দেহ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে । সাইবার ক্রাইম, সাইবার অপরাধ বা কম্পিউটার অপরাধ, এমন যেকোনো ধরণের অপরাধ, যেখানে একটি কম্পিউটার (computer), নেটওয়ার্ক (internet) বা ইন্টারনেট সহযুক্ত ডিভাইস (device) অপরাধের সাধন (object) হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
গ্রুপ-ক : কম্পিউটার সায়েন্স /কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
- Draw E-R diagram for hospital management system. Use: Doctor, Patient, Hospital Medical record as entities. Identify primary and foreign key.
- Write SQL query for the followings
Consider the table: Employce (empoo, deptno, ename, salary, designation, jomimg DOB, city)
(i) Display names of employees whose experience is more than 10 years.
(i i) Display age of employees.
(i i i) Display average salary of all employees.
(iv) Display name of employee who eared highest salary.
- Describe the main processes in a modem software development environment and the tools used to support them.
- What are the major differences between HTML and XHTML?
- What do you mean by operator precedence in C programming?
Rewrite the following operators S in ascending order of precedence.
+()==% &&
- What is a DFD? In which stage of system development a DFD is used?
- What are the differences between cache memory and virtual memory?
- What are the three types of services provided by cloud computing?
- What do you mean by database normalization? Why is it used?
- What are the main differences between programming language and scripting language?
- What do you mean by cookies? Why is it used?
- What is the difference between virus and ransomware?
- Show different steps of SMTP protocol using a block diagram.
- What is the difference between array and structure in C programming language?
- What is the difference among Inner join, left outer join and right outer join?
- Write the pseudocode of Binary search algorithm. 5
গ্রুপ-খ: ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিশন টেকনোলজি
- (a) Name and define the components of data communication systems with necessary diagrams
(b) Explain five different electronic payment systems used in E-commerce.
- (a) What are the basic difference between a linear array and link list?
(b) Write a Bubble sort algorithm to sort a given list in ascending order
(c) What is flip-flop ? What are the various kinds of register?
- Suppose you have purchased a book from a book fair. The value of the book (i.e. the amount you have to pay) will be calculated on the basis of the following criteria. 10
(i) 20% discount if the price of the book is above 1500.
(i i) 15% discount if the price is in between 1000-1500.
(i i i) 10% discount if the price is in between 500-999
(iv) No discount if the price of the book is less than 500. Write a C/Java program to calculate the price of a given book.
- (a) What do you mean by relational database? Why does the term “relation” used?
(b) What do you mean by super key, candidate key, primary key and foreignkey in a database?
(c) Explain the full meaning of ‘ACID’ properties in database.
- (a) What is prototype? For a system design explain the essential aspects that you should consider.
(b) To implement a new system in an organization how will you shut down the old system?
(c) What is the difference between HTML, and SML?
- (a) What is a _ critical section problem in process synchronization? How this problem can be solved?
(b) Draw the diagram of process scheduling. Mention the necessary conditions for happening a deadlock
- (a) Briefly discuss about the software testing process.
(b) in which software project development method, scrum model is used? Discuss the scrum model with a diagram.
- (a) What do you understand by IR 4.07 Mention its main components.
(b) What is information system (18)7 Describe five basic types of IS.
Download From Google Drive
Download
আরো পড়ুনঃ-
- খাদ্য মন্ত্রণালয় এর অফিস সহায়ক পদের লিখিত পরীক্ষার ব্যাখ্যাসহ প্রশ্ন সমাধান-২০২২
- খাদ্য মন্ত্রণালয় সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০২২