এইচ এস সি বাংলা ১ম চাষার দুক্ষু গদ্যের বহুনির্বচনী
জ্ঞানমূলক ও সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
চাষার দুক্ষু গদ্যের বহুনির্বচনী প্রশ্ন উত্তর
১। ক্ষেতে ক্ষেতে পুইড়া মরে কে?
ক) চাষি
খ) মহাজন
গ) শ্রমিক
ঘ) চাষির স্ত্রী
২। দেড় শ বছর পূর্বে ভারতবাসী কী ছিল?
ক) অসহায়
খ) বর্বর
গ) দরিদ্র
ঘ) ধনী
৩। প্রাবন্ধিকের মতে কারা নবাবি হালে থাকে?
ক) চাষিরা
খ) চাষির স্ত্রীরা
গ) পাটকল-চটকলের কর্মীরা
ঘ) ধনীরা
৪। ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে চাষিদের মধ্যে কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে?
ক) সচেতনতা
খ) প্রতিবাদ
গ) সহ্য ক্ষমতা
ঘ) তীব্র ক্ষোভ
৫। প্রাবন্ধিকের মতে আমাদের বঙ্গভূমি কী রকম?
ক) সুজলা-সুফলা
খ) দুর্দশাগ্রস্ত
গ) শোচনীয়
ঘ) সভ্য
৬। সাত-ভায়া গ্রামটি কিসের তীরে অবস্থিত ছিল?
ক) নদী
খ) পুকুর
গ) সমুদ্র
ঘ) নদ
৭। লর্ড কার্মাইকেল কোন জাতির প্রতিনিধি?
ক) ফরাসি
খ) পাকিস্তান
গ) ভারতীয়
ঘ) ইংরেজ
৮। ‘ভারতবাসী এখন জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনেক উন্নত’। উদ্দীপকের সঙ্গে ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের কিভাবে তুলনা করা যায়?
ক) সমৃদ্ধি বর্ণনায়
খ) সভ্যতা বর্ণনায়
গ) বন্দনা করায়
ঘ) বিশেষ ‘কৌশল ধারণ করায়
৯। প্রাবন্ধিকের মতে আজ কার পেটে ভাত নেই?
ক) চাষির
খ) মহাজনের
গ) শ্রমজীবীর
ঘ) শোষকের
১০। প্রাবন্ধিক তাঁর রচনায় চাষির দারিদ্র্যকে প্রাধান্য দিয়েছেন কেন?
ক) সচেতনতা সৃষ্টিতে
খ) গভীর মমত্বে
গ) চাষির প্রতি সুদৃষ্টি দিতে
ঘ) দেশ রক্ষায়
১১। প্রাবন্ধিক প্রবন্ধের শুরুতেই ভারতের সভ্যতা বর্ণনা করেছে কেন?
ক) কৌশল হিসেবে
খ) সুনাম গাইতে
গ) মর্যাদাশীল করতে
ঘ) ভারতীয়রা সভ্য বলে
১২। চাষির উদরে অন্ন নেই কেন?
ক) শোষণের ফলে
খ) শাসনের ফলে
গ) অবহেলায়
ঘ) বঞ্চনার ফলে
১৩। কৃষক কন্যা জমিরন রাজবাড়িতে যেত কেন?
ক) কাজ করতে
খ) আবর্জনা দিতে
গ) চুলে তেল দিতে
ঘ) খাবার আনতে
১৪। চাষিদের সভ্য হওয়া বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক) অলস হওয়া
খ) বিলাসী হওয়া
গ) সচেতন হওয়া
ঘ) আধুনিক হওয়া
১৫। চাষির সহ্য শক্তিতে যে বিষয়টি নিহিত-
- i) শোষণ
- ii) দুর্বলতা
iii) নিঃস্বার্থ
নিচের কোনটি সঠিক
ক) i
খ) i ও ii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
১৬। প্রাবন্ধিকের মতে এখন আমরা কী হয়েছি?
ক) অসভ্য
খ) স্বাধীন
গ) শোষণযুক্ত
ঘ) সভ্য
১৭। কৃষক কন্যা জমিরন চুলে তেল দিতে কোথায় যেত?
ক) জমিদার বাড়িতে
খ) মামার বাড়িতে
গ) রাজবাড়িতে
ঘ) বোনের বাড়িতে
১৮। রংপুর অঞ্চলের চাষীরা কী পরিধান করত?
ক) ধুতি
খ) কৌপিন
গ) লুঙ্গি
ঘ) গামছা
১৯। প্রাবন্ধিকের মতে এই কঠোর মহীতে কে শুধু সহ্য করতে এসেছে?
ক) দরিদ্র
খ) ভূমিহীন
গ) কৃষক
ঘ) শোষিত
২০। প্রাবন্ধিকের মতে শোষিত হওয়ার জন্য কে জন্মগ্রহণ করেছে? ক) বঙ্গবাসী খ) ভারতবাসী গ) চাষি ঘ) দুঃখী ২১। নবাবি হালে থাকা কথাটি ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
ক) পাটকলের কর্মীদের
খ) ব্যবসায়ীদের
গ) কৃষকদের
ঘ) জমিদারদের
২২। ‘ধান্য তার বসুন্ধরা যার’ উক্তিটি কার?
ক) বেগম রোকেয়া
খ) কাজী নজরুল ইসলাম
গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘ) আল মাহমুদ
২৩। হাবীবা অবসর সময়ে নকশি কাঁথা সেলাই করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করে। এখানে হাবীবার মধ্যে ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের কোন বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে?
ক) কর্মমুখিতা
খ) সচেতনতা
গ) সমৃদ্ধি চিন্তা
ঘ) অর্থের মোহ
২৪। প্রাবন্ধিক চাষিদের অভাগা বলেছেন যে কারণে-
- i) অসচেতন বলে
- ii) শোষিত বলে
iii) ভাগ্য স্থির বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i
খ) i ও ii
গ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
২৫। চাষির শরীরে বস্ত্র জোটে না কেন?
ক) শোষণের ফলে
খ) শাসনের ফলে
গ) অসচেতনতার ফলে
ঘ) বৈষম্যের শিকার বলে
২৬। দেড় শ বছর পূর্বে ভারতবাসী অসভ্য বর্বর ছিল কেন?
ক) ঐশ্বর্য ছিল না বলে
খ) কৃষক ছিল বলে
গ) শিক্ষা ছিল না বলে
ঘ) সুবিধাবঞ্চিত ছিল বলে
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২৭ ও ২৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
সারা দিন রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কৃষকেরা মাঠে সোনার ফসল ফলায়। কিন্তু তার যথার্থ মূল্য তারা পায় না। তাদের শ্রমে সমৃদ্ধি হয় শোষকের আর তারা শূন্য হাতে পড়ে থাকে।
২৭। উদ্দীপকের সঙ্গে তোমার পঠিত কোন রচনার মিল রয়েছে?
ক) চাষার দুক্ষু
খ) আমার পথ
গ) বিড়াল
ঘ) চেতনার অ্যালবাম
২৮। এরূপ মিলের স্বরূপ-
- i) শোষণ বর্ণনা
- ii) কৃষকের দুঃখ বর্ণনা
iii) কৃষকের সমৃদ্ধি কামনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i
খ) i ও ii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
২৯। কত বছর পূর্বে ভারতবাসী অসভ্য বর্বর ছিল?
ক) ১০০ বছর
খ) ১২০ বছর
গ) ১৩০ বছর
ঘ) ১৫০ বছর
৩০। বাঙালি সভ্যতাকে যারা অস্বীকার করে প্রাবন্ধিকের মতে তারা কী?
ক) বেইমান
খ) বিশ্বাসঘাতক
গ) প্রতারক
ঘ) নিমক হারাম
উত্তরগুলো মিলিয়ে নাও
১) ক ২) খ ৩) গ ৪) গ ৫) ক ৬) গ ৭) ঘ ৮) ক ৯) ক ১০) গ ১১) ক ১২) ক ১৩) গ ১৪) খ ১৫) খ ১৬) ঘ ১৭) গ ১৮) খ ১৯) গ ২০) গ ২১) ক ২২) গ ২৩) ক ২৪) ঘ ২৫) ক ২৬) গ ২৭) ক ২৮) খ ২৯) ঘ ৩০) ঘ
চাষার দুক্ষু গদ্যের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর
১) পূর্বে পল্লিবাসিনীগণ কী দিয়ে কাপড় কাচতেন?
উত্তর: পূর্বে পল্লিবাসিনীগণ ক্ষার দিয়ে কাঁপড় কাচতেন।
২) কৃষক পত্নী কিসের বিনিময়ে কন্যা বিক্রয় করত?
উত্তর: কৃষক পত্নী দুই সের খেসারির বিনিময়ে কন্যা বিক্রয় করত।
৩) “ধান্য তার বসুন্ধরা যার।” — উক্তিটি কে করেছিলেন?
উত্তর: “ধান্য তার বসুন্ধরা যার” —উক্তিটি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৪) ‘পখাল’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: ‘পখাল’ শব্দটির অর্থ ‘পান্তা’।
৫) ‘টেকো’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘টেকো’ শব্দের অর্থ সুতা পাকাবার যন্ত্র।
৬) একখানা ‘এন্ডি’ কাপড় অবাধে কত বছর টেকে?
উত্তর: একখানা ‘এন্ডি’ কাপড় অবাধে চল্লিশ বছর টেকে।
৭) রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লেখা একটি গদ্য গ্রন্থের নাম লেখ।
উত্তর: রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লেখা একটি গদ্য গ্রন্থের নাম হলো মতিচুর।
৮) রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেছেন?
উত্তর: রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
৯) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের কোন জেলার লোকেরা বেশি দরিদ্র বলে উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর: ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের রংপুর জেলার লোকেরা বেশি দরিদ্র বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
১০) ভারতবাসী কত বছর আগেও অসভ্য ছিল?
উত্তর: ভারতবাসী দেড়শত বছর আগেও অসভ্য ছিল।
১১) ‘অভ্রভেদী’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘অভ্রভেদী’ শব্দের অর্থ আকাশ ভেদকারী বা আকাশচুম্বী।
১২) ‘ছেইলা’ মানে কী?
উত্তর: ‘ছেইলা’ শব্দের অর্থ- ছেলে।
১৩) লর্ড কারমাইকেল কিসের অবস্থান খুঁজে বের করেন?
উত্তর: লর্ড কারমাইকেল রেশমি রুমালের অবস্থান খুঁজে বের করেন।
১৪) রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের প্রকৃত নাম কী?
উত্তর: রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের প্রকৃত নাম রোকেয়া খাতুন।
১৫)’ ‘অবরোধবাসিনী’ গ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর: ‘অবরোধবাসিনী’ গ্রন্থটি রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লেখা।
১৬) রংপুর অঞ্চলে রেশমকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে?
উত্তর: রংপুর অঞ্চলে রেশমকে স্থানীয় ভাষায় ‘এন্ডি’ বলে।
১৭) ভারতবর্ষের কোথায় দুই সের খেসারির বিনিময়ে কৃষক পত্নী কন্যা বিক্রয় করত?
উত্তর: ভারতবর্ষের বিহারে দুই সের খেসারির বিনিময়ে কৃষক পত্নী কন্যা বিক্রয় করত।
১৮) রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
১৯) রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জীবনাবসান ঘটে কত সালে?
উত্তর: রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জীবনাবসান ঘটে ১৯৩২ সালে।
২০) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধ অনুসারে সমাজের মেরুদণ্ড কারা?
উত্তর: ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধ অনুসারে সমাজের মেরুদণ্ড হলো চাষারা। ২১) বেলোয়ারের চুড়ি কী? উত্তর: বেলোয়ারের চুড়ি হলো এক ধরনের উৎকৃষ্ট স্বচ্ছ কাচে প্রস্তুত চুড়ি।
২২) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধ অনুসারে কোথায় রেশমি রুমাল প্রস্তুত হতো?
উত্তর: ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধ অনুসারে মুর্শিদাবাদে রেশমি রুমাল প্রস্তুত হতো।
২৩) লর্ড কারমাইকেল কোথাকার গভর্নর ছিলেন?
উত্তর: লর্ড কারমাইকেল বঙ্গের গভর্নর ছিলেন। ‘শিবিকা বাহক’ শব্দের অর্থ কী?
২৪) ‘শিবিকা বাহক’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘শিবিকা বাহক’ শব্দের অর্থ পালকি বাহক।
২৫) জঠর’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘জঠর’ শব্দের অর্থ পেট বা পাকস্থলী।
২৬) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত?
উত্তর: ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধটি ‘রোকেয়া রচনাবলি’ থেকে সংকলিত।
২৭) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে লেখক কাদের দুঃখ-কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন?
উত্তর: ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে লেখক কৃষকদের দুঃখ-কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন।
২৮) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে ‘ছেইলা’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে ‘ছেইলা’ শব্দটি সন্তান-সন্ততি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
২৯) ‘পৈছা’ কী? উত্তর: ‘পৈছা’ হলো নারীদের মণিবন্ধনের প্রাচীন অলঙ্কার।
৩০) ট্রামওয়ে কী?
উত্তর: ট্রামওয়ে হলো ট্রাম চলাচলের রাস্তা।
৩১) এন্ডি কী?
উত্তর: এন্ডি হলো মোটা রেশমি কাপড়।
৩২) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে ‘মহী’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে, ‘মহী’ শব্দটি পৃথিবী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
৩৩) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে কারা নবাবি হালে থাকে?
উত্তর: ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে জুট মিলের কর্মচারীগণ নবাবি হালে থাকে।
৩৪) কৃষক কন্যা জমিরনের মাথায় কী পরিমাণ তেল লাগত?
উত্তর: কৃষক কন্যা জমিরনের মাথায় প্রায় আধ পোয়াটাক তেল লাগত।
৩৫) এন্ডি কাপড়ের অন্য নাম কী?
উত্তর: এন্ডি কাপড়ের অন্য নাম হলো আসাম সিল্ক।
৩৬) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধ অনুসারে টাকায় কম সের সরিষার তেল পাওয়া যেত।
উত্তর: ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধ অনুসারে টাকায় আট সের সরিষার তেল পাওয়া যেত।
৩৭) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধ অনুসারে টাকায় কয় সের ঘি পাওয়া যেত?
উত্তর: ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধ অনুসারে টাকায় চার সের ঘি পাওয়া যেত।
৩৮) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে ‘কৌপিন’ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে কৌপিন ল্যাঙ্গট বা চীরবসন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
৩৯) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধ অনুসারে মানুষ কত বছর ধরে সভ্য থেকে সভ্যতর হচ্ছে?
উত্তর: ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধ অনুসারে মানুষ দেড় শত বছর ধরে সভ্য থেকে সভ্যতর হচ্ছে।
৪০) ‘বায়স্কোপ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘বায়স্কোপ’ শব্দের অর্থ চলচ্চিত্র, ছায়াছবি বা সিনেমা।
৪১) “মোরাই ভরা ধান ছিল, গোয়াল ভরা গরু ছিল, উঠান ভরা মুরগি ছিল”— উক্তিটি কার?
উত্তর: “মোরাই ভরা ধান ছিল, গোয়াল ভরা গরু ছিল, উঠান ভরা মুরগি ছিল” উক্তিটি রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের।
৪২) “ধান ভানিতে শিবের গান” বাগধারাটির অর্থ কী?
উত্তর: “ধান ভানিতে শিবের গান” বাগধারাটির অর্থ অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা।
৪৩) ‘ত্যানা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘ত্যানা’ শব্দের অর্থ ছেঁড়া কাপড়।
৪৪) সভ্যতার আগমনে রমণীরা ক্ষারের পরিবর্তে কিসের ব্যবহার করতে শুরু করেছিল?
উত্তর: সভ্যতার আগমনে রমণীরা ক্ষারের পরিবর্তে সোডা ব্যবহার করতে শুরু করেছিল।
৪৫) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে উল্লিখিত ইংরেজ বাচ্চা কে?
উত্তর: ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে উল্লিখিত ইংরেজ বাচ্চা লর্ড কারমাইকেল।
৪৬) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধানুসারে পরম উপাদেয় ব্যঞ্জন কোনটি?
উত্তর: ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধানুসারে ‘শুঁটকি’ মাছ পরম উপাদেয় ব্যঞ্জন।
চাষার দুক্ষু গদ্যের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
বাংলা ১ম পত্র:গদ্য: চাষার দুক্ষু
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১
অনুরাধা ও পারুল প্রতিবেশী ও সহপাঠী। অনুরাধা সময় পেলেই স্টার জলসা, জি বাংলা, স্টার প্লাস চ্যানেল দেখে। ঐ সব নাটকের নায়িকাদের স্টাইলে নিজেকে উপস্থাপনে অনুরাধা সদা তৎপর। অনুরাধার বাবা একজন পাট ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিনি সর্বস্বান্ত প্রায়। অন্যদিকে পারুল পড়াশোনার পাশাপাশি সেলাই মিশিনে কাজ করে পরিবারকে সাহায্য করে। পড়াশোনা শেষ করে পারুল চাকরির জন্য দৌড়াদৌড়ি না করে উন্নত প্রশিক্ষণ ও ব্যাংক লোন নিয়ে গ্রামে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। গ্রামের মানুষদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার আশ্রয় এখন পারুল ও তার কুটিরশিল্প।
(ক) কৃষক কন্যার নাম কী?
(খ) ‘একটি চাউল পরীক্ষা করিলেই হাঁড়িভরা ভাতের অবস্থা জানা যায়” – কথাটির দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে?
(গ) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের কোন দিকটি অনুরাধার মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে আলোচনা কর।
(ঘ) “স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য চাই অন্ধ বিলাসিতার অনুকরণ বাদ দিয়ে দেশীয় শিল্পের সাথে মেধা, শ্রম ও উদ্যোক্তার যৌথ সমন্বয়’ – উদ্দীপক ও তোমার পঠিত প্রবন্ধের আলোকে আলোচনা কর।
উত্তর – ক : কৃষক কন্যার নাম জমিরন।
উত্তর – খ : সমগ্র ভারতবর্ষের কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থা জানার জন্য তৎকালীন পূর্ববঙ্গ বা বর্তমানের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা জানাটাই যথেষ্ট – এই অর্থে লেখিকা এই উক্তি করেছেন। তৎকালীন বৃহত্তর ভারতীয় উপমহাদেশের একটি অংশ ছিল বাংলাদেশ। সুপ্রাচীন কাল থেকেই এ অঞ্চলটি সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা ও নদীমেখলা। এ দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে জানা মানেই সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ সম্পর্কে জানা। বাংলাদেশের কৃষকের অবস্থা বড়ই করুণ। তাদের রুগ্ন অবস্থা সবাইকে ব্যথিত করে। রোদ-বৃষ্টিতে সকলের মুখের খাবার আর গায়ের বস্ত্র যোগালেও তাদের পরনে শতচ্ছিন্ন ময়লা কাপড়, উদরে নেই অন্ন। ভারতবর্ষের কৃষকদের সামগ্রিক অবস্থা জানার জন্য তাই বাংলাদেশের অবস্থা জানাটাই অনেক। এ প্রসঙ্গেই লেখিকা উক্ত উক্তিটি করেছেন।
উত্তর – গ : ‘চাষার দুক্ষু’ নামক প্রবন্ধে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন চাষার দুঃখের জন্য তাদের বিলাসিতাকে অনেকাংশে দায়ী করেছেন। ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কৃষকের দুঃখ-দুর্দশা ও তার কারণ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, অতীতে ভারতবর্ষে কৃষকদের কোনো অভাব ছিল না- কেন না তখন ঘরে ঘরে এন্ডি কাপড়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য তারা নিজেরাই বানাত। কিন্তু সভ্যতার করাল গ্রাসে আমাদের মেহনতি শ্রমজীবী মানুষদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত অনুকরণপ্রিয় বিলাসিতা দেখা দেয়। তারা খেতে না পারলেও টাক মাথা তাজ দিয়ে ঢাকার দিবা স্বপ্ন বোনে।
উদ্দীপকের পাট ব্যবসায়ীর কন্যা অনুরাধা। সে সারাক্ষণ আকাশ-সংস্কৃতির ধারক-বাহক। বাবার ব্যবসাতে লাল বাতি জ্বললেও তার স্টার জলসার নায়িকা রূপে হাজির হওয়া চাই, জি বাংলার নায়িকার মতো জীবনযাপনে উপস্থাপন হওয়া চাই। অন্ধ-অনুকরণপ্রিয় বিলাসী জীবন তাকে বাস্তবতার নির্মমতা থেকে স্বাপ্নিক এক পৃথিবীতে নিয়ে যায়। অনুরাধা আমাদের পঠিত ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের চাষার বউ বা মেয়ের প্রতিচ্ছবি যারা খেতে না পারলেও তাজ দিয়ে মাথার টাক ঢাকতে বদ্ধপরিকর।
উত্তর – ঘ : একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সকলের আগ্রহ অভিজ্ঞতা সদিচ্ছা আর কর্মস্পৃহা একান্ত জরুরি। চাষার দুক্ষু প্রবন্ধে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তৎকালীন কৃষকের দারিদ্র্যপূর্ণ জীবনচিত্র তুলে ধরেছেন। শত বছর পূর্বে আমাদের কৃষক সমাজ ছিল আত্মনির্ভরশীল, স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের অন্ন বা বস্ত্রের অভাব ছিল না। নারীরা হেসে খেলে বস্ত্রের অভাব মেটাত, পুরুষেরা গান গেয়ে ধান উৎপাদন করতো, আর মসলিন বানাত। কিন্তু সভ্যতার অন্ধ অনুকরণে কৃষকের অবস্থা শোচনীয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রাবন্ধিক দেশী শিল্প বিশেষত নারীসংশ্লিষ্ট শিল্পের পুনরুদ্ধারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি মনে করেন সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য গ্রামে গ্রামে পাঠশালা আর চরকার ব্যাপক প্রচার ও প্রসার দরকার।
উদ্দীপকে পারুল তার পরিবার ও প্রতিবেশী এলাকাবাসীকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলেছেন দেশীয় শিল্পের মাধ্যমে। পারুল বাল্যকাল থেকেই পরিশ্রমী আর স্বাবলম্বী। সেই সাথে শিক্ষা আর উচ্চতর প্রশিক্ষণ তাকে করেছে আজকের অনন্যা। সে উপলব্ধি করেছে ব্যক্তি স্বাবলম্বীর মধ্য দিয়ে সমাজ স্বাবলম্বী হবে। প্রবন্ধে লেখিকা গ্রামীণ শিল্প তথা নারীভিত্তিক যে শিল্পের বর্ণনা দিয়েছেন পারুল এখানে লেখিকার মানসকন্যা। সে স্বার্থক এবং তার আলোয় চারপাশের অন্যদের আলোকিত করেছে।
উদ্দীপক ও পঠিত প্রবন্ধের আলোকে আমরা একথা নির্দ্বিধায় বলতেই পারি সাবলম্বী হওয়ার জন্য চাই অন্ধ বিলাসিতার অনুকরণ বাদ দিয়ে দেশীয় শিল্পের সাথে মেধা, শ্রম ও উদ্যোগের যৌথ সমন্বয়।