নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-সপ্তম
সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
নবম দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৭
অধ্যায় – ৭: রাষ্ট্র, নাগরিকতা ও আইন
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ সুশাসনের জন্য আইন
জনাব কাসেম এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি বহুদিন ধরে গ্রামের রহিম মিয়ার সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করছেন এবং তাকে নানাভাবে হয়রানি করছেন। এরূপ পরিস্থিতিতে রহিম মিয়া বিচার চাইলে বিচারক জনাব কাসেমের পক্ষেই রায় দেন।
ক. অধ্যাপক হল্যান্ড কর্তৃক প্রদত্ত আইনের সংজ্ঞাটি লেখ। ১
খ. সার্বভৌমত্ব বলতে কী বোঝায়? ২
গ. অনুচ্ছেদে আইনের অনুশাসনের কোন ধারণাটি ক্ষুণœ হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উক্ত ধারণাটির যথাযথ প্রয়োগের উপরই গণতন্ত্রের সফলতা নির্ভরশীল” বিশ্লেষণ কর। ৪
উত্তরঃ- ক অধ্যাপক হল্যান্ড এর মতে, “আইন হচ্ছে মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের কতগুলো সাধারণ নিয়ম যা সার্বভৌম শক্তি কর্তৃক প্রণীত হয়।”
উত্তরঃ- খ রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতা। সার্বভৌম শব্দ দ্বারা চরম ও চ‚ড়ান্ত ক্ষমতাকে বোঝায়। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। এই ক্ষমতা রাষ্ট্রকে অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক করে। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের ঐ বৈশিষ্ট্য যার ফলে নিজের ইচ্ছা ছাড়া অন্য কোনো প্রকার ইচ্ছার দ্বারা রাষ্ট্র আইনসঙ্গতভাবে আবদ্ধ নয়। কেবল জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভ‚খণ্ড ও সরকার থাকা সত্তে¡— একটি দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষমতা না থাকলে তা রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হবে না।
উত্তরঃ- গ অনুচ্ছেদে আইনের অনুশাসনের ‘আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য’ ধারণাটি ক্ষুন্ন হয়েছে। আইনের দৃষ্টিতে সাম্য মানে সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল, জাতি, ধর্ম ও বর্ণ স¤প্রদায় নির্বিশেষে সকলেই সমান। আইনের চোখে কেউ বাড়তি সুবিধা পাবে না। সকলের জন্য একই আইন প্রযোজ্য। রাষ্ট্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা তখনই খর্ব হয় যখন আইনের অনুশাসন থাকে না। আইনের শাসনের অভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সচরাচর নাগরিকদের হয়রানি করে, বিনা অপরাধেও আটক করে। বিচারের রায়ও তার প্রতিক‚লে যায়। উপরিউক্ত বক্তব্যের যথার্থতা স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে অনুচ্ছেদে উল্লিখিত জনাব কাসেম ও রহিম মিয়া চরিত্রদ্বয়ের ঘটনাটির মধ্য দিয়ে। অর্থাৎ এখানে আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য ধারণাটি ক্ষুণœ হয়েছে তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
উত্তরঃ- ঘ আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য ধারণাটি যথাযথ প্রয়োগের ওপরই গণতন্ত্রের সফলতা নির্ভরশীল। মূলত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে আইনের শাসন কায়েম হয় না। আবার আইনের শাসন কায়েম না হলে তথা সকলের জন্য আইনের সাম্য প্রতিষ্ঠিত না হলে গণতন্ত্রও বিফল হয়। বস্তুত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আইনের দৃষ্টিতে সকলকে সমানভাবে দেখতে হবে। এতে সকল নাগরিক সমানভাবে স্বাধীন ও রাষ্ট্রপ্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এতে করে জনাব কাসেমের অনুচ্ছেদের মতো কেউ কারও অধিকার ক্ষুণœ করতে পারবে না। আইন সকলের জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হলে অত্যাচার, নিপীড়নের প্রতিকার সহজেই করা যাবে। ফলে নির্যাতিত ও বঞ্চিত শ্রেণি আইনের কাছে আশ্রয় পাবে এবং স্বাধীনভাবে তার মত ব্যক্ত করতে প্রয়াসী হবে। এভাবে আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য ধারণাটি সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত হলে সবাই নিজ নিজ স্থান থেকে স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকার চর্চা করতে পারবে। আর মত প্রকাশের স্বাধীনতাই যেহেতু গণতন্ত্রের সফলতার মূল ভিত্তি; তাই জোর দিয়েই বলা যায়, আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য ধারণাটির যথাযথ প্রয়োগের ওপরই গণতন্ত্রের সফলতা নির্ভরশীল।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ রাষ্ট্রের কার্যাবলি
১ম অংশ : ‘ক’ রাষ্ট্রে স¤প্রতি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দেখা দিলে সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য চলতি সংসদ অধিবেশনে বিশেষ আইন পাস করার জন্য আকুল আবেদন জানান।
২য় অংশ : ‘ক’ রাষ্ট্রের সরকার দেশের জনগণকে শিক্ষিত করে তোলা, বিনামূল্যে বই বিতরণ ও যৌতুকপ্রথা রোধকল্পে আইন প্রণয়ন করেন।
ক. রাষ্ট্রের সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা কে দিয়েছেন? ১
খ. ‘প্রতিটি সন্তানই রাষ্ট্রের সন্তান’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘ক’ রাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক বিশেষ আইন পাস করার উদ্যোগ রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ? পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. অনুচ্ছেদের ২য় অংশের আলোকে ‘ক’ রাষ্ট্রকে কি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলা যায়? উত্তরের সপক্ষে তোমার যুক্তি দেখাও। ৪
উত্তরঃ- ক অধ্যাপক গার্নার রাষ্ট্রের সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন।
উত্তরঃ- খ প্রতিটি সন্তানই রাষ্ট্রের সন্তান। বস্তুত প্রতিটি শিশুই রাষ্ট্রের নাগরিক। রাষ্ট্রের পক্ষে পিতামাতা তার অভিভাবক হিসেবে কাজ করবে। সন্তান রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষেধক টিকা কর্মসুচি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ পেয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে অবদান রাখে। এভাবে প্রতিটি সন্তানই রাষ্ট্রের সন্তান উক্তিটি যথার্থ।
উত্তরঃ- গ ‘ক’ রাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক বিশেষ আইন পাস করার উদ্যোগ রাষ্ট্রের অপরিহার্য বা মুখ্য কাজ। আধুনিক রাষ্ট্রে আইন প্রণয়ন করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রাষ্ট্রের অপরিহার্য কাজের অন্তর্ভুক্ত। রাষ্ট্রীয় আইনসভা বা পার্লামেন্টের মাধ্যমে আইন প্রণীত হয়। মূলত নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার নিশ্চয়তা থেকে রাষ্ট্র নামক সংগঠনের সৃষ্টি হয়। জনসাধারণকে আইন মেনে চলতে বাধ্য করা, সমাজে শান্তি ভঙ্গকারীদের শাস্তির বিধান করা এবং সামগ্রিক অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা রাষ্ট্রের প্রধান কাজ। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, অনুচ্ছেদের ‘ক’ রাষ্ট্রের কাজটি হলো রাষ্ট্রের অপরিহার্যও মুখ্য কাজের অন্তর্ভুক্ত।
উত্তরঃ- ঘ হ্যাঁ, অনুচ্ছেদের ২য় অংশের আলোকে ‘ক’ রাষ্ট্রকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলা যায় বলে আমি মনে করি। বর্তমানে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রই কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের দাবি করে। রাষ্ট্রকে অবশ্যই সমাজের সামগ্রিক উন্নতির জন্য, নাগরিকদের নৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশে কল্যাণমূলক ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। জনকল্যাণ ও উন্নয়নে রাষ্ট্রের কার্যাবলি বর্তমানে অনেক বেশি বিস্তৃত। এসব কাজ রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কাজ হলেও, এ ধরনের কার্যাবলি রাষ্ট্রকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। যেমন : রাষ্ট্রের জন্য জনসাধারণকে শিক্ষিত করে তোলা, জনসাধারণের স্বাস্থ্যসুরক্ষার ব্যবস্থা করা, অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো, জেন্ডারসমতা বিধান করা, সমাজে বিদ্যমান বৈষম্য ও কুপ্রথা দূরীকরণে সামাজিক ভ‚মিকা পালন করা ইত্যাদি। অনুচ্ছেদে ২য় অংশে ‘ক’ রাষ্ট্রের সরকারকে দেশের জনগণের উন্নয়নের নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কার্যাবলি পরিচালনা করতে দেখা যায়। পাশাপাশি ‘ক’ রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কার্যাবলির প্রতি সেদেশের সরকারের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ। এ প্রেক্ষিতে বলা যায়, ‘ক’ রাষ্ট্র জনগণের কল্যাণে নিশ্চিতরূপেই আন্তরিক। সুতরাং ‘ক’ রাষ্ট্র একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ রাষ্ট্রের উপাদান
ক. রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন কে? ১
খ. আইনের উৎস হিসেবে ধর্মের প্রভাব ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘অ’ চিহ্নিত স্থানে প্রযোজ্য রাষ্ট্রের উপাদানটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘উ’ উপাদানটি সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ অবদান রাখতে পারে তোমার মতামত দাও। ৪
উত্তরঃ- ক অধ্যাপক গার্নার রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন।
উত্তরঃ- খ মানুষের উপর ধর্মের প্রভাব অপরিসীম। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ঐশ্বরিক আইন অনুসরণ করে আসছে। তাই ধর্ম, ধর্মীয় অনুশাসন ও ধর্মগ্রন্থ আইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ন্যায়-অন্যায়, পাপ-পুণ্য ইত্যাদি মূল্যবোধসমূহ ধর্ম চিহ্নিত করেছে বলে প্রাচীন ও মধ্যযুগে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ধর্মীয় রীতিনীতি প্রভাব বিস্তার করে। ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে ধর্মীয় বিধানই রাষ্ট্রীয় আইন হিসেবে বিবেচিত হয়। বিবাহ, উত্তরাধিকার প্রভৃতি বিষয়ে মুসলমান ও হিন্দুরা নিজ নিজ ধর্মীয় আইন মেনে চলে।
উত্তরঃ- গ ‘অ’ চিহ্নিত স্থানে প্রযোজ্য রাষ্ট্রের উপাদানটি হচ্ছে সার্বভৌমত্ব। রাষ্ট্র গঠনের মূখ্য উপাদান সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতা। সার্বভৌম শব্দ দ্বারা চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতাকে বোঝায়। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। এই ক্ষমতা রাষ্ট্রকে অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক করে। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের ঐ বৈশিষ্ট্য যার ফলে নিজের ইচ্ছা ছাড়া অন্য কোনো প্রকার ইচ্ছার দ্বারা রাষ্ট্র আইনসঙ্গতভাবে আবদ্ধ নয়। প্রত্যেক সমাজ ব্যবস্থায় চূড়ান্ত ক্ষমতা কার্যকরী করার জন্য একটি মাত্র কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ থাকবে। আর এই ক্ষমতাই হলো সার্বভৌম ক্ষমতা। সার্বভৌম ক্ষমতার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক দুইটি দিক রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা প্রয়োগের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের মধ্যকার সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পায়। বাহ্যিক সার্বভৌমত্বের অর্থ হলো রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহি:শক্তির নিয়ন্ত্রণ ও হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থাকবে। কেবল জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড ও সরকার থাকা সত্তে¡ও একটি দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষমতা না থাকলে তা রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হবে না।
উত্তরঃ- ঘ ‘উ’ উপাদানটি তথা সরকার সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ অবদান রাখতে পারে। আর.এম. ম্যাকাইভার তার “ঞযব গড়ফবৎহ ঝঃধঃব’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা রাষ্ট্রের প্রাথমিক কাজ বা দায়িত্ব’। নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার নিশ্চয়তা থেকে রাষ্ট্র নামক সংগঠনের সৃষ্টি হয়। জনসাধারণকে আইন মেনে চলতে বাধ্য করা, সমাজের শান্তি ভঙ্গকারীদের শাস্তির বিধান করা এবং সামগ্রিক অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা রাষ্ট্রের প্রধান কাজ। আর রাষ্ট্রের পক্ষে এ কাজটি করে সরকার। তাই দেখা যায় এ লক্ষ্যে রাষ্ট্র স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে থাকে। মূলত এ কর্তৃত্ব সরকারের। সরকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ও অন্যান্য আধা-সামরিক বাহিনী গড়ে তোলে। বাংলাদেশে পুলিশ, র্যাব, আনসার, গ্রাম প্রতিরক্ষা দল ইত্যাদি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। উপরন্তু আইন প্রণয়ন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের মৌলিক কাজ যা সরকার কর্তৃক সাধিত হয়। রাষ্ট্রীয় আইনসভা বা পার্লামেন্টের মাধ্যমে আইন প্রণীত হয়। দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে জুডিশিয়াল কাউন্সিল, সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজ কোর্ট প্রভৃতি বিচারালয়ের মাধ্যমে দেশের সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলে সরকার দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তোলে। এভাবে সরকার রাষ্ট্রের পক্ষে সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটিয়ে সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখে।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুনাগরিকের কর্তব্য
রেশমা ‘ক’ রাষ্ট্রের নাগরিক। নির্বাচনে তার স্বামী তাকে অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ প্রার্থীকে ভোট প্রদানে চাপ দেয়। কিন্তু সে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেয়। এতে রেশমা স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হয়। ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য রেশমা আইনের দ্বারস্থ হয়।
ক. নাগরিক শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ কী? ১
খ. তথ্য অধিকার আইনে তথ্য বলতে কী বোঝায়? ২
গ. “উদ্দীপকে উল্লিখিত রেশমা একজন সুনাগরিকের দায়িত্ব পালন করেছে”Ñ পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রেশমার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা মূল্যায়ন কর। ৪
উত্তরঃ- ক নাগরিক শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ ঈরঃরুবহ।
উত্তরঃ- খ তথ্য অধিকার আইনে তথ্য বলতে কোনো কর্তৃপক্ষের গঠন, কাঠামো ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত যে কোনো স্মারক, বই, মানচিত্র, চুক্তি, তথ্য-উপাত্ত, লগবহি, আদেশ-বিজ্ঞপ্তি, দলিল, নমুনা, পত্র, প্রতিবেদন, হিসাব বিবরণী, প্রকল্প প্রস্তাব, আলোকচিত্র, অডিওভিডিও, অঙ্কিত চিত্র, ফিল্ম, ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতকৃত যে কোনো ইনস্ট্রুমেন্ট, যান্ত্রিকভাবে পাঠযোগ্য দলিলাদি এবং ভৌতিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য নির্বিশেষে অন্য যে কোনো তথ্যবহ বস্তু বা এদের প্রতিলিপিকে বুঝানো হয়েছে। তবে দাপ্তরিক নোট সিট বা নোট সিটের প্রতিলিপি এর অন্তর্ভুক্ত হবে না।
উত্তরঃ- গ উদ্দীপকে উল্লিখিত রেশমা একজন সুনাগরিকের দায়িত্ব পালন করেছে। যেমন উদ্দীপকে আমরা দেখি নির্বাচনে রেশমার স্বামী তাকে অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ প্রার্থীকে ভোট প্রদানে চাপ দেয়। কিন্তু সে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেয়। বস্তুত সততা ও সুবিবেচনার সাথে ভোট দেওয়া নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। এর ফলে যোগ্য ও উপযুক্ত প্রার্থী জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হবে। অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ প্রার্থীকে ভোটদানে বিরত থাকা উচিত। উদ্দীপকে রেশমা নির্যাতনের ভয় থাকা সত্তে¡ও দুর্নীতিবাজ প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে সত্যিই একজন সুনাগরিকের দায়িত্ব পালন করেছে।
উত্তরঃ- ঘ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উদ্দীপকে রেশমার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যৌক্তিক। উদ্দীপকে রেশমা স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে ন্যায়বিচারের জন্য আইনের দ্বারস্থ হয়। তার এ সিদ্ধান্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। কেননা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনের অনুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রে আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সকল নাগরিক সমানভাবে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা পেতে পারে। যেমন উদ্দীপকে স্বামীর নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত রেশমার সুশাসন পাওয়া ও প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত যৌক্তিক। আইনের প্রাধান্য ও আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য এ দুইটি ধারণার সমন্বয় আইনের অনুশাসন। আইনের প্রাধান্য বজায় থাকলে সরকার স্বেচ্ছাচারী হতে পারে না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করতে সচরাচর সাহস করে না। তখন নাগরিকরাও কারও অধিকার ক্ষুণœ করতে সাহস পায় না। আইনের দৃষ্টিতে সাম্য মানে সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল, জাতি, ধর্ম, বর্ণ স¤প্রদায় নির্বিশেষে সকলেই সমান। আইনের চোখে কেউ বাড়তি সুবিধা পাবে না। সকলের জন্য একই আইন প্রযোজ্য। রাষ্ট্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা তখনই খর্ব হয় যখন আইনের অনুশাসন তথা সুশাসন থাকে না। সুতরাং নিজের স্বাধীনতা ও অধিকার আদায়ে রেশমার সিদ্ধান্তটি সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষিতে যৌক্তিক। এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ আইনের অনুশাসন
গ্রাম্য মাতবরের বখাটে ছেলে সুমন প্রায়ই স্কুল পড়–য়া সুন্দরি জরিনাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। জরিনার দরিদ্র পিতা চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইলে তিনি বিচারের আশ্বাস দেন। এতে ফল না পেয়ে জরিনার পিতা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ সুমনকে গ্রেফতার করে এবং বিচারে তার পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়।
ক. রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন কে? ১
খ. রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদানটি বর্ণনা কর। ২
গ. সুমন আইনের অনুশাসনের কোন ধারণাটি ক্ষুণœ করেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘সকলের জন্য একই আইন সমভাবে প্রযোজ্য’ উক্তিটি সুমনের শাস্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মূল্যায়ন কর। ৪
উত্তরঃ- ক অধ্যাপক গার্নার রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন।
উত্তরঃ- খ রাষ্ট্র গঠনের মূখ্য উপাদান সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতা। সার্বভৌম শব্দ দ্বারা চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতাকে বোঝায়। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। এই ক্ষমতা রাষ্ট্রকে অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক করে। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের ঐ বৈশিষ্ট্য যার ফলে নিজের ইচ্ছা ছাড়া অন্য কোনো প্রকার ইচ্ছার দ্বারা রাষ্ট্র আইনসঙ্গতভাবে আবদ্ধ নয়।
উত্তরঃ- গ সুমন আইনের অনুশাসনের আইনের প্রাধান্য ধারণাটি ক্ষুণœ করেছে। আইনের প্রাধান্য বজায় থাকলে সরকার স্বেচ্ছাচারী হতে পারে না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করতে সচরাচর সাহস করে না। বিনা অপরাধে কাউকে গ্রেফতার করা, বিনা বিচারে কাউকে আটক রাখা ও শাস্তি দেয়া এগুলো আইনের প্রাধান্যের পরিপন্থী। আইনের প্রাধান্য নাগরিক স্বাধীনতার রক্ষাকবচ। সমাজে আইনের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হলে কেউ আইন অমান্য করে অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সরকারও কারও ব্যক্তি স্বাধীনতায় অযৌক্তিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে সাহস পাবে না। অথচ উদ্দীপকে গ্রাম্য মাতবরের বখাটে ছেলে সুমন প্রায়ই স্কুল পড়–য়া সুন্দরি জরিনাকে নানাভাবে উত্তক্ত করে। অর্থাৎ সে জরিনার নাগরিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে। এভাবে সুমন ‘আইনের প্রাধান্য’ ধারণাটি ক্ষুণ করেছে।
উত্তরঃ- ঘ উদ্দীপকে সুমন জরিনাকে উত্যক্ত করার পরও তার পিতা চেয়ারম্যান হওয়ায় জরিনার দরিদ্র পিতা সুবিচার পাননি। অথচ আইনের দৃষ্টিতে সাম্য মানে সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল, জাতি, ধর্ম, বর্ণ স¤প্রদায় নির্বিশেষে সকলেই সমান। আইনের চোখে কেউ বাড়তি সুবিধা পাবে না। সকলের জন্য একই আইন প্রযোজ্য। তাই জরিনার পিতা থানায় অভিযোগ করে। রাষ্ট্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা তখনই খর্ব হয় যখন আইনের অনুশাসন থাকে না। আইনের শাসনের অভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সচরাচর নাগরিকদের হয়রানি করে, বিনা অপরাধেও আটক করে। কিন্তু উদ্দীপকে বখাটে সুমন চেয়ারম্যানের ছেলে হওয়া সত্তে¡ও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বিচারে তার পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। এভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে আইনের শাসন কায়েম হয় না। সুতরাং বলা যায়, ‘সকলের জন্য একই আইন সমভাবে প্রযোজ্য’ উক্তিটি সুমনের শাস্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ রাষ্ট্রের অপরিহার্য ও ঐচ্ছিক কার্যাবলি
বাবুলের স্কুলে যাওয়ার পথে খালের ওপর পুরাতন সাঁকোটি হঠাৎ একদিন ভেঙে যায়। বর্তমান সরকার সেখানে সংযোগ রাস্তাসহ একটি পাকা সেতু নির্মাণ করেছে। বাবুল ও তার বন্ধুরা এখন ভালোভাবে স্কুলে যেতে পেরে খুব খুশি।
ক. এরিস্টটল প্রদত্ত নাগরিকের সংজ্ঞাটি লেখ। ১
খ. সার্বভৌমত্ব বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে সরকারের কোন কাজের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. এ ধরনের কাজ ছাড়া সরকারকে আর কী ধরনের কাজ করতে হয়? বিশ্লেষণ কর। ৪
উত্তরঃ- ক এরিস্টটল প্রদত্ত নাগরিকের সংজ্ঞা ‘সেই ব্যক্তিই নাগরিক যে নগর রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব ও শাসনকার্যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।’
উত্তরঃ- খ রাষ্ট্র গঠনের মূখ্য উপাদান সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতা। সার্বভৌম শব্দ দ্বারা চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতাকে বোঝায়। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। এই ক্ষমতা রাষ্ট্রকে অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক করে। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের ঐ বৈশিষ্ট্য যার ফলে নিজের ইচ্ছা ছাড়া অন্য কোনো প্রকার ইচ্ছার দ্বারা রাষ্ট্র আইনসঙ্গতভাবে আবদ্ধ নয়।
উত্তরঃ- গ উদ্দীপকে সরকারের কল্যাণমূলক বা ঐচ্ছিক কাজের প্রতিফলন ঘটেছে। বর্তমানে সকল রাষ্ট্রই কল্যাণমূলক বলে নিজেদের দাবি করে। মূলত জনকল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রের কাজগুলো হচ্ছে ঐচ্ছিক বা গৌণ কাজ। এর মধ্যে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন যথা : রাস্তাঘাট, সেতু বিনির্মাণ, সড়ক, রেলপথ, নৌ-চলাচল, বিমান যোগাযোগ স্থাপন, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও যোগাযোগের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত থাকা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ঐচ্ছিক কাজ। উদ্দীপকে দেখা যায় বাবুলের স্কুলে যাওয়ার পথে খালের ওপর পুরাতন সাঁকোটি হঠাৎ একদিন ভেঙে যায়। বর্তমান সরকার সেখানে সংযোগ রাস্তাসহ একটি পাকা সেতু নির্মাণ করেছে। সুতরাং উদ্দীপকে নিঃসন্দেহে সরকারের ঐচ্ছিক বা গৌণ কাজের প্রতিফলন ঘটেছে।
উত্তরঃ- ঘ এ ধরনের ঐচ্ছিক বা কল্যাণমূলক কাজ ছাড়া সরকারের কিছু অপরিহার্য কাজ করতে হয়। যেমন আইন শৃঙ্খলা রক্ষা; জনসাধারণকে আইন মেনে চলতে বাধ্য করা, সমাজের শান্তি ভঙ্গকারীদের শাস্তির বিধান করা এবং সামগ্রিক অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা রাষ্ট্রের প্রধান কাজ। রাষ্ট্র আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ও অন্যান্য আধা-সামরিক বাহিনী গড়ে তোলে। জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা রাষ্ট্রের আরেকটি অপরিহার্য কাজ। আধুনিককালে প্রতিটি স্বাধীন রাষ্ট্রই শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাষ্ট্রকে পরিচিত করা, রাষ্ট্রীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত সম্পদের উপর দাবি প্রতিষ্ঠিত করা রাষ্ট্রের অন্যতম কাজ।এছাড়াও অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন, আঞ্চলিক কোর্ট গঠন, বহিঃর্বিশ্বে অর্থনৈতিক বাজার সৃষ্টি ও স¤প্রসারণ করা, বিদেশে অবস্থান্তনরত দেশে নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সেবা প্রদান করা ইত্যাদি হচ্ছে রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক অপরিহার্য কাজ। আইন প্রণয়ন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের মৌলিক কাজ। রাষ্ট্রীয় আইনসভা বা পার্লামেন্টের মাধ্যমে আইন প্রণীত হয়। দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে জুডিশিয়াল কাউন্সিল, সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজ কোর্ট প্রভৃতি বিচারালয়ের মাধ্যমে দেশের সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলা রাষ্ট্রের আবশ্যিক কাজের মধ্যে পড়ে। অর্থ ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় অর্থ সংগ্রহ ও বণ্টন ব্যবস্থা গড়ে তোলা রাষ্ট্রের একটি মুখ্য কাজ।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কাজ
বর্তমানে মগবাজারে ফ্লাইওভারের কাজ চলছে। বিস্তৃত এলাকাজুড়ে কাজ চলায় ঐ এলাকার জনগণের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশ অসুবিধা হচ্ছে। হঠাৎ একদিন যাত্রীবাহী একটি বাস ফ্লাইওভারের জন্য খোঁড়া গর্তে পড়ে যায় এবং তিনজন যাত্রী বেশ আহত হয়। এতে সাধারণ জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাংচুর শুরু করে। পুলিশ -র্যাব এসে অনেক চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
ক. রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান কোনটি? ১
খ. সার্বভৌমত্ব বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের উল্লিখিত ফ্লাইওভারটি নির্মাণ রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব।”Ñউক্তিটি রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজের অন্তর্ভুক্ত বিশ্লেষণ কর। ৪
উত্তরঃ- ক রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতা।
উত্তরঃ- খ রাষ্ট্র গঠনের মূখ্য উপাদান সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতা। সার্বভৌম শব্দ দ্বারা চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতাকে বোঝায়। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। এই ক্ষমতা রাষ্ট্রকে অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক করে। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের ঐ বৈশিষ্ট্য যার ফলে নিজের ইচ্ছা ছাড়া অন্য কোনো প্রকার ইচ্ছার দ্বারা রাষ্ট্র আইনসঙ্গতভাবে আবদ্ধ নয়।
উত্তরঃ- গ উদ্দীপকে উল্লিখিত ফ্লাইওভার নির্মাণ রাষ্ট্রের কল্যাণমূলক বা ঐচ্ছিক কাজ। বর্তমানে সকল রাষ্ট্রই কল্যাণমূলক বলে নিজেদের দাবি করে। মূলত জনকল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রের কাজগুলো হচ্ছে ঐচ্ছিক বা গৌণ কাজ। এর মধ্যে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন যথা : রাস্তাঘাট, সেতু বিনির্মাণ, সড়ক, রেলপথ, নৌ-চলাচল, বিমান যোগাযোগ স্থাপন, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও যোগাযোগের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত থাকা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ঐচ্ছিক কাজ। বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ঐচ্ছিক কাজ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সুষ্ঠু পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা রাষ্ট্রের উন্নতির জন্য অপরিহার্য। উদ্দীপকে ফ্লাইওভার নির্মাণও রাষ্ট্রের এরূপ একটি উন্নয়নমূলক বা কল্যাণমূলক কাজ।
উত্তরঃ- ঘ উদ্দীপকে বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। -উক্তিটি রাষ্ট্রের অপরিহার্য বা মুখ্য কাজ নির্দেশ করে। আর.এম. ম্যাকাইভার তার “ঞযব গড়ফবৎহ ঝঃধঃব’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা রাষ্ট্রের প্রাথমিক কাজ বা দায়িত্ব’। নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার নিশ্চয়তা থেকে রাষ্ট্র নামক সংগঠনের সৃষ্টি হয়। জনসাধারণকে আইন মেনে চলতে বাধ্য করা, সমাজের শান্তি ভঙ্গকারীদের শাস্তির বিধান করা এবং সামগ্রিক অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা রাষ্ট্রের প্রধান কাজ। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্র স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে থাকে। রাষ্ট্র আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ও অন্যান্য আধা-সামরিক বাহিনী গড়ে তোলে। বাংলাদেশে পুলিশ, র্যাব আনসার, গ্রাম প্রতিরক্ষা দল ইত্যাদি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। উদ্দীপকে দেখা যায়, মগবাজার ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজের ফলে সৃষ্ট গর্তে একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্ঘটনা ঘটলে সাধারণ জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাংচুর শুরু করে। এমতাবস্থায় রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়োজিত পুলিশ-র্যাব অনেক চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অর্থাৎ তারা রাষ্ট্রের পক্ষে একটি অপরিহার্য বা মুখ্য কাজের দায়িত্ব পালন করে।
প্রশ্ন- ৮ ল্ফল্ফ সুশাসনের জন্য আইন
বিত্তশালী আশরাফ আলীর তিনপুত্র ও এক কন্যা। মি. আশরাফ কন্যার বিয়েতে বিপুল অর্থ ব্যয় করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর তিন ছেলে সমস্ত সম্পদ নিজেরা ভাগ করে নেয়। বোনকে কিছুই দেয় না। এতে আশরাফ সাহেবের কন্যা তার ভাইদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়।
ক. রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা কে দিয়েছেন? ১
খ. রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বলতে কী বোঝ? ২
গ. আশরাফ সাহেবের তিনপুত্র আইনের অনুশাসন ব্যাহত করেছে কীভাবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “আশরাফ সাহেবের কন্যা সুশাসনের মাধ্যমে তার অধিকার ফিরে পেতে পারে।”Ñবিশ্লেষণ কর। ৪
উত্তরঃ- ক রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন অধ্যাপক গার্নার।
উত্তরঃ- খ রাষ্ট্র গঠনের মূখ্য উপাদান হচ্ছে সার্বভৌমত্ব। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। সার্বভৌম ক্ষমতার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক দুইটি দিক রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা প্রয়োগের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের মধ্যকার সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পায়। আর বাহ্যিক সার্বভৌমত্বের মাধ্যমে রাষ্ট্র বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ ও হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থাকে।
উত্তরঃ- গ আশরাফ সাহেবের তিন পুত্র আইনের অনুশাসন ব্যাহত করেছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনের অনুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রে আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সকল নাগরিক সমানভাবে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা পেতে পারে। কেউ কারও অধিকার ক্ষুণœ করতে পারে না। আইনের অনুশাসনের একটি দিক হচ্ছে আইনের প্রাধান্য। আইনের প্রাধান্য নাগরিক স্বাধীনতার রক্ষাকবচ। সমাজে আইনের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হলে কেউ আইন অমান্য করে অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। উদ্দীপকে বর্ণিত বিত্তশালী আশরাফ আলীর তিন পুত্র ও এক কন্যা। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর তিন ছেলে সমস্ত সম্পদ নিজেরা ভাগ করে নেয়। বোনকে কিছুই দেয় না। এভাবে আশরাফ সাহেবের তিন পুত্র তাদের একমাত্র বোনকে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আইনের অনুশাসন ব্যাহত করেছে।
উত্তরঃ- ঘ আশরাফ সাহেবের কন্যা সুশাসনের মাধ্যমে তার অধিকার ফিরে পেতে পারে। আশরাফ সাহেবের মৃত্যুর পর তাঁর তিন ছেলে তাঁর একমাত্র কন্যাকে সম্পদের কোনো কিছুই না দিয়ে নিজেরাই সমস্ত সম্পদ ভাগ করে নেয়। এতে আশরাফ সাহেবের কন্যা তার ভাইদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়। এক্ষেত্রে সুশাসনের মাধ্যমেই আশরাফ সাহেবের কন্যা তার সম্পত্তির অধিকার ফিরে পেতে পারে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনের অনুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে কেউ কারও অধিকার ক্ষুণœ করতে পারে না। সাধারণভাবে আইনের অনুশাসন দুইটি ধারণা প্রকাশ করে। যথা : ক. আইনের প্রাধান্য ও খ. আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য। আইনের প্রাধান্য বজায় থাকলে সরকার স্বেচ্ছাচারী হতে পারে না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করতে সচরাচর সাহস করে না। বিনা অপরাধে কাউকে গ্রেফতার করা, বিনা বিচারে কাউকে আটক রাখা ও শাস্তি দেয়াÑ এগুলো আইনের প্রাধান্যের পরিপন্থী। আইনের প্রাধান্য নাগরিক স্বাধীনতার রক্ষাকবচ। আইনের দৃষ্টিতে সাম্য মানে সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল, জাতি, ধর্ম, বর্ণ স¤প্রদায় নির্বিশেষে সকলেই সমান। আইনের চোখে কেউ বাড়তি সুবিধা পাবে না। সকলের জন্য একই আইন প্রযোজ্য।পরিশেষে বলা যায় যে, সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত আশরাফ সাহেবের কন্যা সুশাসনের মাধ্যমেই তার অধিকার ফিরে পেতে পারে।
প্রশ্ন- ৯ ল্ফল্ফ আইনের শাসন
জনাব আতাউর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিজিএম পদে কর্মরত। তিনি সৎ, কর্মঠ এবং দক্ষ ব্যাংকার হিসেবে সুপরিচিত। তিনি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে নিজে যেমন আইন মান্য করে চলেন তেমনি অন্যদেরকেও আইন মেনে চলতে উৎসাহ দিয়ে থাকেন। কিন্তু প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে অবৈধভাবে ঋণ দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স¤প্রতি তিনি চাকরিচ্যুত হন।
ক. ম্যাকাইভার প্রদত্ত রাষ্ট্রের সংজ্ঞাটি লেখ। ১
খ. রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদানটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জনাব আতাউরের ক্ষেত্রে আইনের কোন বৈশিষ্ট্যটি পরিলক্ষিত হয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জনাব আতাউরের চাকরিচ্যুতিকে পাঠ্যপুস্তকের আলোকে মূল্যায়ন কর। ৪
উত্তরঃ- ক ম্যাকাইভার প্রদত্ত রাষ্ট্রের সংজ্ঞাটি হচ্ছে ‘রাষ্ট্র হচ্ছে সরকার কর্তৃক প্রণীত আইন দ্বারা পরিচালিত একটি সংগঠন, যার কর্তৃত্বমূলক ক্ষমতা রয়েছে এবং যা নির্দিষ্ট ভ‚খণ্ডে বসবাসরত অধিবাসীদের ওপর বলবৎ হয়।’
উত্তরঃ- খ রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদান হচ্ছে জনসমষ্টি। জনসমষ্টি বলতে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত জনগণকে বোঝায়। রাষ্ট্র গঠনের জন্য জনসমষ্টি অপরিহার্য। জনসমষ্টির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ইচ্ছা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হতে রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে। তবে রাষ্ট্র গঠনের জন্য জনসংখ্যা কত হবে তার কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই।
উত্তরঃ- গ জনাব আতাউরের ক্ষেত্রে আইনের যে বৈশিষ্ট্যটি পরিলক্ষিত হয় তা হলো- আইন হচ্ছে এক ধরনের আদেশ বা নিষেধ, যা সবাইকেই মান্য করতে হয় এবং যারা আইন অমান্য করে তাদের সাজা পেতে হয়। জনাব আতাউর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিজিএম পদে কর্মরত। তিনি সৎ, কর্মঠ এবং দক্ষ ব্যাংকার হিসেবে সুপরিচিত। তিনি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে নিজে যেমন আইন মান্য করে চলেন তেমনি অন্যদেরকেও আইন মেনে চলতে উৎসাহ দিয়ে থাকেন। কিন্তু প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে অবৈধভাবে ঋণ দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স¤প্রতি তিনি চাকরিচ্যুত হন। সুতরাং দেখা যায়, আইন সর্বক্ষেত্রে মেনে চলতে হয় নতুবা সাজা পেতে হয়।
উত্তরঃ- ঘ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জনাব আতাউরের চাকরিচ্যুতিকে পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বলা যায়। কেননা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনের অনুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রে আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সকল নাগরিক সমানভাবে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রপ্রদত্ত সুযোগ সুবিধা পেতে পারে। কেউ কারও অধিকার ক্ষুণœ করতে পারে না। সাধারণভাবে আইনের অনুশাসন দুইটি ধারণা প্রকাশ করে। যথা : ১. আইনের প্রাধান্য ও ২. আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য। আইনের প্রাধান্য নাগরিক স্বাধীনতার রক্ষাকবচ। সমাজে আইনের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হলে কেউ আইন অমান্য করে অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সরকারও কারও ব্যক্তি স্বাধীনতায় অযৌক্তিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে সাহস পাবে না। আইনের দৃষ্টিতে সাম্য মানে সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল, জাতি, ধর্ম, বর্ণ সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবার সমান। আইনের চোখে কেউ বাড়তি সুবিধা পাবে না। সবার জন্য একই আইন প্রযোজ্য। উদ্দীপকে বর্ণিত জনাব আতাউর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিজিএম। তিনি সৎ, কর্মঠ এবং দক্ষ ব্যাংকার হিসেবে সুপরিচিত। কিন্তু আইন ভঙ্গ করে প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে অবৈধভাবে ঋণ দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তার এ চাকরিচ্যুতি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
নবম দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
অধ্যায় – ৭: রাষ্ট্র, নাগরিকতা ও আইন
১.‘স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনের জন্য কতিপয় পরিবার ও গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনই রাষ্ট্র’ – উক্তিটি কার?
ক) অধ্যাপক গার্নারের
খ) অধ্যাপক গেটেলের
গ) টি. এইচ. গ্রিনের
ঘ) এরিস্টটলের
উত্তর: (ঘ)
২.সার্বভৌম ক্ষমতার কয়টি দিক রয়েছে?
ক) তিনটি
খ) চারটি
গ) দুইটি
ঘ) পাঁচটি
উত্তর: (গ)
৩.জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকারকে সুনিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কোন আইন প্রণীত হয়?
ক) তথ্য মন্ত্রণালয়
খ) তথ্য অধিকার আইন
গ) তথ্য কমিশন আইন
ঘ) প্রতিলিপি অধিকার আইন
উত্তর: (খ)
৪.অনেক সামাজিক প্রথা অমান্য করলে কী ঘটে থাকে?
ক) মানুষের উন্নতি
খ) সামাজিক সমস্যা
গ) সংঘাত ও বিদ্রোহ
ঘ) সমাজের পরিবর্তন
উত্তর: (গ)
৫.নগরায়ণ, গ্রামীণ উন্নয়ন, নাগরিক সুবিধা সৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য ও পুনর্বাসন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা প্রভৃতি কাজগুলো রাষ্ট্রের –
- অপ্রয়োজনীয় কাজ
- উন্নয়নমূলক কাজ
iii. জনহিতকর কাজ
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (খ)
৬.কিসের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন হয়?
ক) পার্লামেন্ট
খ) আইনমন্ত্রী
গ) প্রধানমন্ত্রী ঘ) বিলের
উত্তর: (ঘ)
৭.কোনটি তথ্য শব্দটির অন্তর্ভুক্ত?
ক) যেকোনো ধরনের রেকর্ড
খ) দাপ্তরিক নোট সিট
গ) নোট সিটের প্রতিলিপি
ঘ) প্রামাণ্য প্রতিলিপি
উত্তর: (ক)
৮.বিশ্লেষকদের মতে, রাষ্ট্র প্রধানত কত ধরনের ভূমিকা পারন করে?
ক) দুই
খ) ছয়
গ) চার
ঘ) পাঁচ
উত্তর: (ক)
৯.দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্ব কার?
ক) নাগরিকের
খ) চাকরিজীবীদের
গ) রাষ্ট্রের
ঘ) শিক্ষিতদের
উত্তর: (গ)
১০.‘রাষ্ট্র হচ্ছে সরকার কর্তৃক প্রণীত আইন দ্বারা পরিচালিত একটি সংগঠন, যার কর্তৃত্বমূলক ক্ষমতা রয়েছে এবং যা নির্দিষ্ট ভূখন্ডে বসবাসরত অধিবাসীদের ওপর বলবৎ হয়’ সংজ্ঞাটি কার?
ক) এরিস্টটল
খ) ম্যাকাইভার
গ) গার্নার
ঘ) গেটেল
উত্তর: (খ)
১১.আবেদনকারী আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট আইন মোতাবেক সুবিচার না পেলে কার নিকট অভিযোগ পাঠানো যাবে?
ক) তথ্য মন্ত্রণালয়কে
খ) তথ্য অধিদপ্তরের
গ) তথ্য কমিশনের
ঘ) তথ্য বিভাগীয় কার্যালয়ের
উত্তর: (গ)
১২.তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে –
- প্রান্তিক মানুষের
- সুবিধাবঞ্চিত মানুষের
iii. অসুস্থ মানুষের
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (ক)
১৩.’The Modern State’ গ্রন্থটির লেখক কে?
ক) জন মিল
খ) এরিস্টটল
গ) অধ্যাপক গার্নার
ঘ) আর এম ম্যাকাইভার
উত্তর: (ঘ)
১৪.জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখন্ড, সরকার ও সার্বভৌমত্ব ব্যতীত রাষ্ট্র গঠন করা যায় না। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভূখন্ড হলো –
- একটি রাষ্ট্রের স্থলভাগ
- একটি রাষ্ট্রের জলভাগ
iii. একটি রাষ্ট্রের আকাশসীমা
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (ঘ)
১৫.রাষ্ট্রের মৌলিক কাজ হচ্ছে –
- আইন প্রণয়ন
- আঞ্চলিক জোট
iii. ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (গ)
১৬.আইনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে –
- মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা
- সকলের অধিকার সমভাবে সংরক্ষণ করা
iii. বিধিবিধান মানতে বাধ্য করা
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (ঘ)
১৭.রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক অপরিহার্য কাজ হলো –
- শরণার্থীদের আশ্রয় দান
- আঞ্চলিক জোট গঠন
iii. বহির্বিশ্বে অর্থনৈতিক বাজার সৃষ্টি
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (খ)
১৮.আধুনিক রাষ্ট্রে আইনের প্রধান উৎস কী?
ক) বিচারকের রায়
খ) ধর্মীয় অনুশাসন
গ) আইনসভা
ঘ) ঐশ্বরিক আইন
উত্তর: (গ)
১৯.আইনের সবচেয়ে প্রাচীনতম উৎস কী?
ক) ন্যায়বোধ
খ) আইন
গ) ধর্ম
ঘ) প্রথা
উত্তর: (ঘ)
২০.জনসমষ্টি নির্দিষ্ট ভূখন্ডের ওপর যেভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে –
- জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মাধ্যমে
- সংগ্রাম ও যুদ্ধের মাধ্যমে
iii. সাংবিধানিকভাবে
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (ঘ)
২১.“আইন হচ্ছে মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের এমন কতকগুলো সাধারণ নিয়ম বা সার্বভৌম শক্তি কর্তৃক প্রযুক্ত হয়।” – কে বলেছেন?
ক) হল্যান্ড
খ) উড্রো উইলসন
গ) অস্টিন
ঘ) এরিস্টটল
উত্তর: (ক)
২২.কোনটি রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কাজ?
ক) প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন
খ) আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠা
গ) জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা
ঘ) অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা
উত্তর: (গ)
২৩.রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কতটি বিভাগ থাকে?
ক) চারটি
খ) তিনটি
গ) সাতটি
ঘ) ছয়টি
উত্তর: (খ)
২৪.প্রত্যেক সমাজব্যবস্থায় চূড়ান্ত ক্ষমকা কার্যকরী করার জন্য কী থাকতে হয়?
ক) আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ
খ) স্থায়ী কর্তৃপক্ষ
গ) অস্থায়ী কর্তৃপক্ষ
ঘ) কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ
উত্তর: (ঘ)
২৫.সার্বভৌমের আদর্শকে কী বলা হয়?
ক) আইন
খ) নিয়ম
গ) নির্দেশ
ঘ) হুকুম
উত্তর: (ক)
২৬.রাষ্ট্রকে মনে করা হতো ঈশ্বরের সৃষ্টি করা একটি প্রতিষ্ঠান –
- প্রাচীন যুগে
- মধ্যযুগে
iii. লৌহযুগে
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (ক)
২৭.১৯৭১ সালের পূর্বে বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন করতে পারেনি কোন কারণে?
ক) জনসংখ্যার অভাব ছিল
খ) নির্দিষ্ট ভূখন্ড ছিল না
গ) সার্বভৌমত্ব ছিল না
ঘ) প্রশাসনিক ক্ষমতা ছিল না বলে
উত্তর: (গ)
২৮.বাংলাদেশের অনেক রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের জন্য নিম্নলিখিতগুলো অন্যতম। এর কোনটি বাংলাদেশের জন্য ঐচ্ছিক কাজ বলে তুমি মনে কর?
ক) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ
খ) আঞ্চলিক জোট গঠন
গ) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন
ঘ) কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন
উত্তর: (ক)
২৯.রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক কাজ কী?
ক) অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা
খ) অন্য রাষ্ট্রের সাথে চুক্তি সম্পাদন
গ) নাগরিকদের স্বাস্থ্যরক্ষা করা
ঘ) সরকারি কর্মচারীদের কাজ তদারক
উত্তর: (খ)
৩০.রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যায় কোনটিকে?
ক) সুনির্দিষ্ট জনসংখ্যা নেই যার
খ) কখনো সার্বভৌমত্ব থাকে, কখনো থাকে না যার
গ) নির্দিষ্ট সরকার ব্যবস্থাপনা নেই যার
ঘ) নির্দিষ্ট আয়তনের ভূখন্ড থাকলেও কিছু অংশ অমীমাংসিত যার
উত্তর: (ক)
৩১.সুশাসন থাকলে রাষ্ট্রে নাগরিকেরা কী পায়?
ক) আইনের বাধ্যবাধকতা
খ) পরাধীনতা আর গ্লানি
গ) স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা
ঘ) অবাধ স্বাধীনতা
উত্তর: (গ)
৩২.রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হল্যান্ড আইনের কয়টি উৎসের কথা বলেছেন?
ক) চারটি
খ) পাঁচটি
গ) ছয়টি
ঘ) সাতটি
উত্তর: (গ)
৩৩.মানুষের ওপর কীসের প্রভাব অপরিসীম?
ক) আইনের
খ) প্রথার
গ) ধর্মের
ঘ) রীতিনীতির
উত্তর: (গ)
৩৪.২১ বর্গ কি.মি. এলাকা এবং ৯৩০০ জনসংখ্যা নিয়ে নাউরো রাষ্ট্রটি গঠিত। এ রাষ্ট্রটির ক্ষেত্রে কোন দার্শনিকের সংজ্ঞার প্রতিফলন ঘটেছে?
ক) অধ্যাপক বার্জেস
খ) এরিস্টটল
গ) অধ্যাপক গার্নার
ঘ) গেটেল
উত্তর: (খ)
৩৫.‘রাষ্ট্র হলো বহুসংখ্যক ব্যক্তি নিয়ে গঠিত এমন একটি জনসমাজ, যারা নির্দিষ্ট ভূখন্ডে স্থায়িভাবে বসবাস করে; যা বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ হতে মুক্ত এবং যাদের একটি সুসংগঠিত সরকার আছে, যে সরকারের প্রতি ঐ জনসমাজ স্বভাবতই অনুগত।’ – কথাটি কে বলেছেন?
ক) এরিস্টটল
খ) সক্রেটিস
গ) অধ্যাপক গার্নার
ঘ) আর এম ম্যাকাইভার
উত্তর: (গ)
৩৬.সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র গঠনের কোন ধরনের উপাদান?
ক) গৌণ
খ) ঐচ্ছিক
গ) মুখ্য
ঘ) অনৈচ্ছিক
উত্তর: (গ)
৩৭.নাগরিক স্বাধীনতার রক্ষাকবচ ক?
ক) বিচার বিভাগ
খ) আইনের সাম্য
গ) আইনের প্রাধান্য
ঘ) আইন মন্ত্রণালয়
উত্তর: (গ)
৩৮.আইনের সর্বোৎকৃষ্ট সংজ্ঞা কে দিয়েছেন?
ক) অস্টিন
খ) হল্যান্ড
গ) উড্রো উইলসন
ঘ) এরিস্টটল
উত্তর: (গ)
৩৯.গ্রিক নগররাষ্ট্রে দাস এবং নারীদের কী করা হতো না?
ক) নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হতো না
খ) বিক্রি করা হতো না
গ) অন্য দেশে পাচার করা হতো না
ঘ) খাদ্য প্রদান করা হতো না
উত্তর: (ক)
৪০.নাগরিকের দায়িত্ব হলো –
ক) রাস্তায় ট্রাফিক আইন মেনে চলা
খ) অধিক সংখ্যক লোককে শিল্পকারখানায় কাজে লাগানো
গ) দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা
ঘ) রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলা
উত্তর: (ক)
৪১.‘যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে এবং রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে তাকেই নাগরিক বলা হয়’ – উক্তিটি কার?
ক) এরিস্টটলের
খ) লাস্কির
গ) গার্নারের
ঘ) ম্যাকাইভারের
উত্তর: (খ)
৪২.‘স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনের জন্য কতিপয় পরিবার ও গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনই রাষ্ট্র।’ – কথাটি কে বলেছেন?
ক) এরিস্টটল
খ) প্লেটো
গ) সক্রেটিস
ঘ) ম্যাকিয়াভেলি
উত্তর: (ক)
৪৩.রাষ্ট্র মূলত কোন ধরনের সমাজ?
ক) জনসংখ্যাকেন্দ্রিক সমাজ
খ) প্রকৃতিকেন্দ্রিক সমাজ
গ) জীবনযাপনকেন্দ্রিক সমাজ
ঘ) ভূখন্ডভিত্তিক সমাজ
উত্তর: (ঘ)
৪৪.রাষ্ট্র যদি জীবদেহ হয় তাহলে সরকার কী?
ক) চোখস্বরূপ
খ) মস্তিষ্কস্বরূপ
গ) হাতস্বরূপ
ঘ) কলিজাস্বরূপ
উত্তর: (খ)
৪৫.আইনের অনুশাসন বলতে প্রধান কয়টি ধারনাকে বুঝায়?
ক) দুইটি
খ) তিনটি
গ) চারটি
ঘ) পাঁচটি
উত্তর: (খ)
৪৬.‘আইন হচ্ছে মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের কতগুলো সাধারণ নিয়ম, যা সার্বভৌম শক্তি কর্তৃক প্রণীত হয়’ – উক্তিটি কার?
ক) টি. এইচ. গ্রীন
খ) হল্যান্ড
গ) উড্রো উইলসন
ঘ) এরিস্টটল
উত্তর: (খ)
৪৭.একজন নাগরিকের কর্তব্য হলো –
- রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন
- নিয়মিত কর প্রদান
iii. রাষ্ট্রের সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (ঘ)
৪৮.আইন কী?
ক) মানুষের জীবনের কর্ম
খ) মানবজীবনের শৃঙ্খলিত কর্মকান্ড
গ) মানব রচিত বিধি
ঘ) মানুষের জীবনযাপনের জন্য অনুসরণকৃত লিখিত বিধান
উত্তর: (ঘ)
৪৯.এরিস্টটল তার ধারণায় কাদেরকে নাগরিক শ্রেণিভুক্ত করেননি?
ক) নারীদের
খ) অধিকাংশ জনগণকে
গ) দাসীদের
ঘ) শিশুদের
উত্তর: (খ)
৫০.‘সার্বভৌম’ শব্দ দ্বারা কেমন ক্ষমতাকে বোঝায়?
ক) সামরিক
খ) স্থায়ী
গ) চরম ও চূড়ান্ত
ঘ) অলিক
উত্তর: (গ)
৫১.আদনান বাধ্যতামূলকভাবে একটি বৃহৎ ভৌগোলিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য। সে চাইলেও এ প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ ত্যাগ করতে পারে না। সে নিচের কোন প্রতিষ্ঠানের সদস্য?
ক) সমাজ
খ) পাড়ার ক্লাব
গ) রাষ্ট্র
ঘ) সম্প্রদায়ের
উত্তর: (গ)
৫২.নাগরিকদের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে –
- সংবিধান মেনে চলা
- আইনের প্রতি সম্মান দেখানো
iii. রাষ্ট্রের সুবিধা ভোগ করা
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (ক)
৫৩.দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের শ্রেণিভুক্ত –
- মুদ্রাস্ফীতি রোধ
- বিমান যোগাযোগ স্থাপন
iii. সেতু বিনির্মাণ
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (খ)
৫৪.শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য রাষ্ট্র –
- শ্রম নীতিমালা প্রণয়ন করে
- ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে
iii. কাজের সময় নির্ধারণ করে
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (ঘ)
৫৫.রাষ্ট্র গঠনের তৃতীয় অপরিহার্য উপাদান কী?
ক) নির্দিষ্ট ভূখন্ড
খ) সার্বভৌমত্ব
গ) সরকার
ঘ) প্রশাসন
উত্তর: (গ)
৫৬.শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য রাষ্ট্র কী প্রণয়ন করে?
ক) শ্রমিক নেতা
খ) শ্রম নীতিমালা
গ) শ্রমিক-মালিক স্বার্থ
ঘ) কাজের পরিবেশ
উত্তর: (খ)
৫৭.আইনের সবচেয়ে প্রাচীনতম উৎস কোনটি?
ক) সংবিধান
খ) বিচারকের রায়
গ) প্রথা
ঘ) সামাজিক রীতিনীতি
উত্তর: (গ)
৫৮.রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সম্পদ কোনটি?
ক) প্রাকৃতিক সম্পদ
খ) প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন জনগোষ্ঠী
গ) কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী
ঘ) শিক্ষিত জনগোষ্ঠী
উত্তর: (ঘ)
৫৯.বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কোর্টের নাম কী?
ক) হাইকোর্ট
খ) জজ কোর্ট
গ) সুপ্রিম কোর্ট
ঘ) ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট
উত্তর: (গ)
৬০.কোনটি রাষ্ট্রকে অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক করেছে?
ক) সরকারি
খ) বেসরকারি
গ) সার্বভৌম
ঘ) আইন
উত্তর: (গ)
৬১.রাষ্ট্র নাগরিকদের কীভাবে গড়ে তুলতে চায়?
ক) সম্পদ দিয়ে
খ) চাকরি দিয়ে
গ) শিক্ষা দিয়ে
ঘ) নিরাপত্তা দিযে
উত্তর: (গ)
৬২.রাষ্ট্রের উন্নয়নমূরক ও জনহিতকর কাজ হচ্ছে –
- বনায়ন কর্মসূচি
- সমাজে দুর্নীতি প্রতিরোধ
iii. প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (গ)
৬৩.আইনের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো –
- আইন সর্বজনীন
- আইন মেনে চলতে হয়
iii. আইন ভঙ্গকারীকে শাস্তি পেতে হয়
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (ঘ)
৬৪.মানুষের গোত্রভিত্তিক বসবাস ছিল –
- আদিমকালে
- প্রাচীনকালে
iii. প্রাগৈতিহাসিককালে
নিচের কোনটি ?
ক) i
খ) ii
গ) iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (ক)
৬৫.সার্বভৌম ক্ষমতার কতটি দিক রয়েছে?
ক) দুইটি
খ) তিনটি
গ) চারটি
ঘ) ছয়টি
উত্তর: (ক)
৬৬.আইনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য –
- এটা সর্বজনীন
- সকলের নিকট মান্য
iii. অনেকের নিকট দন্ড
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (ক)
৬৭.আইনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য কী?
ক) আইন কখনো তার রীতিনীতি ভঙ্গ করে না
খ) আইন মানুষের বাহ্যিক আচরণ ও ক্রিয়াকলাপকে নিয়ন্ত্রণ করে
গ) আইন সকলের জন্য সমান নয়
ঘ) যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা রাষ্ট্র আইন নিয়ন্ত্রণ করে না
উত্তর: (খ)
৬৮.“আইন হচ্ছে মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের কতকগুলো সাধারণ নিয়ম যা সার্বভৌম শক্তি কর্তৃক প্রণীত হয়” – উক্তিটি কার?
ক) এইচ টি গ্রিন
খ) হল্যান্ড
গ) উড্রো উইলসন
ঘ) আইনবিদ কোক
উত্তর: (খ)
৬৯.রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে জনসমষ্টির –
- সর্বজনীন কল্যাণ হতে
- ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ইচ্ছা হতে
iii. পারস্পরিক সম্পর্ক হতে
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (খ)
* উদ্ধৃত অংশটুকু পড় এবং নিচের ২টি প্রশ্নের উত্তর দাও:
দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশে জনাব আকমল চৌধুরী বসবাস করেন। তিনি দেখলেন দেশটির জনগণ তাদের প্রচলিত আইনকানুন মানতে বাধ্য। দেশটির সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত।
৭০.অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের কোন উপাদানটির প্রতিফলন ঘটেছে?
ক) জনসমষ্টি
খ) সার্বভৌমত্ব
গ) নির্দিষ্ট ভূখন্ড
ঘ) আইন বিভাগ
উত্তর: (খ)
৭১.দেশটির এই ধরনের ক্ষমতার রয়েছে –
- অভ্যন্তরীণ দিক
- বাহ্যিক দিক
iii. কেন্দ্রীয় দিক
নিচের কোনটি ?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
উত্তর: (গ)
Download From Google Drive
Download
আরো পড়ুনঃ-
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় প্রথম অধ্যায় বহুনির্বাচনি ও জ্ঞান মূলক প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় দ্বিতীয় অধ্যায় বহুনির্বাচনি ও জ্ঞান মূলক প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় তৃতীয় অধ্যায় বহুনির্বাচনি ও জ্ঞান মূলক প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় চতুর্থ অধ্যায় বহুনির্বাচনি ও জ্ঞান মূলক প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পঞ্চম অধ্যায় বহুনির্বাচনি ও জ্ঞান মূলক প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-ষষ্ঠ বহুনির্বাচনি ও জ্ঞান মূলক প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সপ্তম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অষ্টম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় নবম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় দশম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় একাদশ অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর অধ্যায়-১২
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর অধ্যায়-১৩
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর অধ্যায়-১৪
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর অধ্যায়-১৫