নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় একাদশ অধ্যায়
সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
অধ্যায় – ১১: জাতীয় সম্পদ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ সমাজতান্ত্রিক ও মিশ্র অর্থব্যবস্থা
ক.উৎপাদনের উপাদান কয়টি? ১
খ.জাতীয় সম্পদ বলতে কী বোঝ? ২
গ.সারণী-১ এ উল্লিখিত অ রাষ্ট্রটির অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.সারণি-১ ও সারণি-২ এর অ এবং উ রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে তুমি উত্তম বলে মনে কর? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও। ৪
উত্তরঃ- ক উৎপাদনের উপাদান চারটি।
উত্তরঃ- খ সাধারণত রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পদ এবং সমাজের সমষ্টিগত সম্পদকে জাতীয় সম্পদ বলে। এছাড়া দেশের নাগরিকদের গুণবাচক বৈশিষ্ট্য; যেমন- কর্মদক্ষতা, উদ্ভাবনী শক্তি এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান ইত্যাদি জাতীয় সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। জাতীয় সম্পদের উৎস দু’ধরনের; প্রথমটি হলো প্রকৃতিপ্রদত্ত আর দ্বিতীয়টি হলো মানবসৃষ্ট।
উত্তরঃ- গ সারণী-১ এ উল্লিখিত রাষ্ট্রটির অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য হলো সমাজতান্ত্রিক। এ ধরনের অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হলো উৎপাদনের উপকরণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং অর্থনৈতিক লক্ষ্য জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ; যার প্রতিচ্ছবি সারণি-১ এ প্রতিফলিত হয়েছে। বস্তুত সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণসহ সকল সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। সম্পদের ওপর কোনো ব্যক্তি মালিকানা থাকে না। সমাজের সকল সদস্য এই পরিকল্পিত অর্থনৈতিক কর্মকা থেকে সর্বাধিক কল্যাণ অর্জন করবে এটিই সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার উদ্দেশ্য। এ অর্থব্যবস্থার সকল অর্থনৈতিক কর্মকা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। এখানে ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের সুযোগ নেই। এ অর্থব্যবস্থায় অর্জিত মুনাফার মালিক রাষ্ট্র বা সরকার। একইভাবে ভূমির খাজনা এবং মূলধনের সুদও সরকারের কোষাগারেই জমা হয়। এ অর্থব্যবস্থায় জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। সকল অর্থনৈতিক কার্যক্রম একটি কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার আওতায় রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত হয়। তাই সম্পদের অপচয়ও অপেক্ষাকৃত কম। এর ফলে মোট জাতীয় উৎপাদনও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায় এবং সম্পদের সুষম বণ্টন সম্ভব হয়।
উত্তরঃ- ঘ সারণি -১ এর অ রাষ্ট্রে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা এবং সারণি-২ এর উ রাষ্ট্রে মিশ্র অর্থব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে। এ দুই অর্থব্যবস্থার মধ্যে আমি উ রাষ্ট্রের অর্থব্যবস্থাকে অর্থাৎ মিশ্র অর্থ ব্যবস্থাকে উত্তম বলে মনে করি। কেননা, অ রাষ্ট্রের অর্থব্যবস্থায় অর্থাৎ সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি মালিকানা স্বীকৃত নয়, মালিকানা রাষ্ট্রের। আবার উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং ভোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির স্বাধীনতা নেই। ফলে উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির প্রণোদনা ও উদ্যম হ্রাস পেতে পারে। এতে সম্পদের কাম্য ব্যবহার বিশেষত ব্যক্তির সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা এবং সহনশীলতা নিশ্চিত করা যায় না। অন্যদিকে রাষ্ট্রের কার্যব্যবস্থায় অর্থাৎ মিশ্র অর্থব্যবস্থায় ভোগকারী অবাধে সাধারণ দ্রব্য ক্রয় ও ভোগ করতে পারে। উৎপাদনের যে অংশ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সে অংশ মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে নয় বরং সর্বাধিক সামাজিক কল্যাণের উদ্দেশ্যে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ খাতের আওতাধীন কলকারখানা ও উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকরা সাধারণত নায্য মজুরি পায়। ফলে সম্পদের সুষম বণ্টন সম্ভব হয়। উপর্যুক্ত কারণে আমি উ রাষ্ট্রের অর্থব্যবস্থাকে অর্থাৎ মিশ্র অর্থব্যবস্থাকে উত্তম বলে মনে করি।
প্রশ্ন- ২ সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
‘ক’ দেশ-উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে উৎপাদকের স্বাধীনতা নেই। ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের সুযোগ নেই।
‘খ’ দেশ উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হলেও সরকারি নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান। মুনাফা অর্জনই প্রধান লক্ষ্য।
ক.উৎপাদনের উপাদান কয়টি? ১
খ.মোট দেশজ উৎপাদন বলতে কী বোঝায়? ২
গ.‘ক’ দেশে কী ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত দুটি দেশের মধ্যে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটি বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
উত্তরঃ- ক উৎপাদনের উপাদান চারটি।
উত্তরঃ- খ মোট দেশজ উৎপাদন হচ্ছে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের অভ্যন্তরে বা ভৌগোলিক সীমানার ভিতরে বসবাসকারী সকল জনগণ কর্তৃক উৎপাদিত চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের অর্থমূল্যের সমষ্টি। এতে উক্ত সীমানার মধ্যে বসবাসকারী দেশের সকল নাগরিক ও বিদেশি ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের মূল্য অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে বিদেশে অবস্থানকারী ও কর্মরত দেশের নাগরিক/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের আয় অন্তর্ভুক্ত হবে না।
উত্তরঃ- গ উদ্দীপকের ‘ক’ দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য অনন্য। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্য থেকে ‘ক’ দেশে দুইটি বৈশিষ্ট্য উদ্দীপকে সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। যথা : ১. ভোক্তার স্বাধীনতার অভাব ও ২. আয় বন্টন। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদকের যেমন উৎপাদন বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাধীনতা নেই, তেমনি ভোগকারীর নিজ ইচ্ছামতো দ্রব্যসামগ্রী ভোগের সুযোগ নেই। উৎপাদক সরকার নির্ধারিত দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করে এবং ভোগকারী সেগুলো প্রয়োজনমতো ক্রয় ও ভোগ করে। অপরদিকে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অর্জিত মুনাফার মালিক রাষ্ট্র বা সরকার। একইভাবে ভূমির খাজনা ও মূলধনের সুদও সরকারের কোষাগারেই জমা হয়। কারণ সরকারই ভূমি ও মূলধনের মালিক। এখানে ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের সুযোগ নেই।
উত্তরঃ- ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত দুটি দেশের মধ্যে ‘ক’ দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং ‘খ’ দেশে মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। বাংলাদেশের জন্য আমি মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটিই প্রযোজ্য বলে মনে করি। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে চলা একটি দেশ। স্বাধীনতার পর প্রণীত সংবিধানের ভিত্তিতে দেশে সমাজতন্ত্র অভিমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সদ্য স্বাধীন দেশে কলকারখানা, ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিকানা বদল, যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতিতে দক্ষ মানবসম্পদের অভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লোকসানের সম্মুখীন হয়, এ পরিস্থিতিতে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা হয়। এতে অর্থনীতিতে প্রাণ ফিরে আসলেও ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার ত্রুটিসমূহ পরিলক্ষিত হতে থাকে। বিশেষ করে আয় বণ্টনের ক্ষেত্রে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতো বাংলাদেশেও শ্রমিকদের মজুরির নিম্ন হার এবং উদ্যোক্তাদের মুনাফার উচ্চহার লক্ষণীয়। সুদ এবং খাজনা উচ্চহারে পরিশোধ করা হয়। সুতরাং, বাস্তবতা বিবেচনায় দেখা যায়, বাংলাদেশের জন্য মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করা গেলে তা পরিপূর্ণ ফলপ্রসূ হবে বলে আমি মনে করি।
প্রশ্ন- ৩ মিশ্র ও ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা
‘ক’ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। এখানে সরকারি উদ্যোগে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা যেমন রয়েছে তেমনি বেসরকারিভাবেও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা স্থাপিত হয়েছে। অন্যদিকে ‘খ’ আরেকটি দেশ যেখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো প্রকার সরকারি হস্তক্ষেপ নেই।
ক.উপযোগ কী? ১
খ.উৎপাদিত সম্পদ কীভাবে বণ্টিত হয়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ.উদ্দীপকের ‘ক’ রাষ্ট্রে কোন ধরনের অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘ক’ দেশের তুলনায় ‘খ’ দেশে অধিক শ্রেণিবৈষম্য পরিলক্ষিত হয়”Ñ মূল্যায়ন কর। ৪
উত্তরঃ- ক কোনো দ্রব্যের মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে উপযোগ বলে।
উত্তরঃ- খ মোট উৎপাদিত সম্পদের অর্থমূল্য কীভাবে উৎপাদনের উপাদানগুলোর মধ্যে বণ্টন করা হয়, তা নির্ভর করে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ঊপড়হড়সরপ ঝুংঃবস এর উপর। মানুষ সবসময়ই তার বিভিন্ন অভাব পূরণের জন্য উৎপাদনের চারটি উপাদানের সাহায্যে প্রচেষ্টা চালায়। মোট উৎপাদিত সম্পদ থেকে প্রাপ্ত অর্থ এই চারটি উপকরণের মধ্যে খাজনা, মজুরি, সুদ ও মুনাফা হিসেবে ভাগ হয়ে যায়।
উত্তরঃ- গ উদ্দীপকের ‘ক’ রাষ্ট্রে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান। মিশ্র অর্থব্যবস্থায় দেশে উৎপাদন ও বণ্টন প্রক্রিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহাবস্থান রয়েছে। মিশ্র অর্থনীতিতে প্রধান আমদানি ও রপ্তানি দ্রব্য সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকলেও আংশিক ব্যক্তিগত বা বেসরকারি উদ্যোগও পরিলক্ষিত হয়। মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থার এ মূল বৈশিষ্ট্যের নিরিখে উদ্দীপকের উন্নয়নশীল রাষ্ট্র ‘ক’-তে মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান বলে সাব্যস্ত করা যায়। যেখানে সরকারি উদ্যোগে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা যেমন রয়েছে তেমনি বেসরকারিভাবেও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা স্থাপিত হয়েছে।
উত্তরঃ- ঘ ‘ক’ দেশ তথা মিশ্র অর্থনীতির দেশের তুলনায় ‘খ’ দেশ তথা ধনতান্ত্রিক দেশে অধিক শ্রেণি বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। উদ্দীপকে ‘খ’ দেশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেখানে কোনো সরকারি হস্তক্ষেপ নেই। ফলে সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য থাকে বিধায় উদ্যোক্তা/পুঁজিপতিরা দ্রব্যের উৎপাদন ব্যয় কম রাখতে ও বেশি মূল্য পেতে চেষ্টা করে। উৎপাদন ব্যয় কম রাখার জন্য শ্রমিককে তার ন্যায্য মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া হয়। এই উদ্বৃত্ত মজুরি পুঁজিপতি ও উদ্যোক্তার কাছে মুনাফা হিসেবে সঞ্চিত হয়। এইভাবে উৎপাদিত সম্পদ বণ্টনে অসমতা ও বৈষম্য সৃষ্টি হয়। শ্রমিক প্রাপ্যের চেয়ে কম মজুরি পান আর পুঁজিপতি ও উদ্যোক্তা তাদের প্রাপ্যের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করেন। এতে করে ব্যাপক শ্রেণি বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। অন্যদিকে মিশ্র অর্থনীতির ‘ক’ দেশে ব্যক্তি মালিকানাধীন বেসরকারি ক্ষেত্রে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতোই শ্রমিককে প্রাপ্য মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া হয় এবং উদ্বৃত্ত মজুরি মুনাফার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে উৎপাদিত সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন হয় না। উৎপাদনের বিভিন্ন উপাদানের আয়ে বৈষম্য দেখা দেয়। কিন্তু মিশ্র অর্থনীতির এদেশে উৎপাদনের যে অংশ সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন, সে অংশে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে নয় বরং সর্বাধিক সামাজিক কল্যাণ অর্জনের উদ্দেশ্যে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ খাতের আওতাধীন কলকারখানা ও উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকরা সাধারণত ন্যায্য মজুরি পায়। ফলে সম্পদের সুষম বণ্টন সম্ভব হয়। সুতরাং নিশ্চিত করেই বলা যায়, মিশ্র অর্থনীতির ‘ক’ দেশের তুলনায় ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ‘খ’ দেশে অধিক শ্রেণি বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়।
প্রশ্ন- ৪ সমষ্টিগত সম্পদ
মিসেস শামীম কাঞ্চন নদীর তীরে এসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলেন। নদীর দৃশ্য দেখে এবং প্রকৃতির নির্মল বাতাসে তার শরীর ও মন জুড়িয়ে গেল।
ক.উপযোগ কাকে বলে? ১
খ.আবগারি শুল্ক বলতে কী বোঝায়? ২
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত নদীটি কোন ধরনের সম্পদ? Ñ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.মিসেস শামীমার উপভোগ্য বস্তুটিকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করা যায় না। Ñ উক্তিটি অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ কর। ৪
উত্তরঃ- ক কোনো দ্রব্যের মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে উপযোগ বলে।
উত্তরঃ- খ দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের উপর যে কর ধার্য করা হয়, তাকে আবগারি শুল্ক বলা হয়। রাজস্ব সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করার উদ্দেশেও আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়। বাংলাদেশে প্রধানত চা, সিগারেট, চিনি, তামাক, কেরোসিন, ওষুধ, স্পিরিট, দিয়াশলাই প্রভৃতি দ্রব্যের উপর আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়।
উত্তরঃ- গ উদ্দীপকে উল্লিখিত নদীটি সমষ্টিগত সম্পদ। সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে যে সকল সম্পদ ভোগ করে, সেগুলো সমষ্টিগত সম্পদ। এই সম্পদের উপরে সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও এগুলোর প্রতি তাদের সমান দায়িত্ব রয়েছে। রাস্তাঘাট, রেলপথ, বাঁধ, পার্ক, সরকারি হাসপাতাল ও স্কুল, রাষ্ট্রের মালিকানাধীন সকল প্রাকৃতিক সম্পদ যেমনÑ বনাঞ্চল, খনিজসম্পদ, নদ-নদী ইত্যাদি সমষ্টিগত সম্পদ। রাষ্ট্র ও জনগণ সম্মিলিতভাবে এসব সম্পদের অধিকারী। জনগণ এগুলো ব্যবহার করে ও ভোগ করে। এগুলোর পরিকল্পিত ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্র জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
উত্তরঃ- ঘ উদ্দীপকে মিসেস শামীমার উপভোগ্য বস্তুটিকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করা যায় না। অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো বস্তু বা দ্রব্যকে সম্পদ বলতে হলে সে বস্তুর উপযোগ, অপ্রাচুর্য, বাহ্যিকতা এবং হস্তান্তরযোগ্যতা থাকতে হবে। উপযোগ হলো কোনো দ্রব্যের অভাব পূরণের ক্ষমতা। অপ্রাচুর্য বলতে বোঝায় চাহিদার তুলনায় যোগানের সীমাবদ্ধতা। বাহ্যিকতা বলতে বোঝায় বস্তুটির দৃশ্যমানতা আর হস্তান্তরযোগ্যতা হচ্ছে একজনের নিকট হতে বস্তুটি আরেকজন পাওয়ার সম্ভাব্যতা। তবে এই পাওয়ার জন্য মূল্য বা দাম দিতে হবে। শামীমার উপভোগ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে উপযোগ ও বাহ্যিকতা আছে। কেননা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের তৃপ্ত করে এবং তা দৃশ্যমান কিন্তু অপ্রাচুর্য ও হস্তান্তরযোগ্যতা নাই। সুতরাং অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, মিসেস শামীমার উপভোগ্য বস্তুটিকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করা যায় না।
প্রশ্ন- ৫ সমজাতান্ত্রিক ও ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা
‘ক’ ও ‘খ’ পাশাপাশি দুটি রাষ্ট্র। ‘ক’ রাষ্ট্রের জনগণ যার যার ইচ্ছামতো কাজ করে। উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে তারা স্বাধীন। এসব ব্যাপারে রাষ্ট্র কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। কিন্তু ‘খ’ রাষ্ট্রে এর ঠিক বিপরীত অবস্থা বিদ্যমান।
ক.উপযোগ কী? ১
খ.ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়? ২
গ.উদ্দীপকে ‘খ’ রাষ্ট্রের কোন ধরনের অর্থনৈতিক াবস্থা বিদ্যমান? তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.‘ক’ এবং ‘খ’ রাষ্ট্রের মধ্যকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে কোনটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকর বলে তুমি মনে কর? ব্যাখ্যা কর। ৪
উত্তরঃ- ক উপযোগ হলো কোনো দ্রব্যের অভাব পূরণের ক্ষমতা।
উত্তরঃ- খ যে অর্থব্যবস্থা কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী পরিচালিত হয় তাই ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।এ অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক কার্যাবলির মৌলিক নীতিমালা স্থির হয় ইসলামের ৫টি মূলস্তম্ভ, পবিত্র কুরআনের নির্দেশনাবলি ও রাসুল (সা.) এর হাদিসের বিধান অনুসারে। ইসলামি অর্থব্যবস্থায় সুদ লেনদেন হারাম বা নিষিদ্ধ।
উত্তরঃ- গ উদ্দীপকে ‘খ’ রাষ্ট্রে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিদ্যমান। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণসমূহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। সম্পদের ওপর কোনো ব্যক্তিমালিকানা থাকে না। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সরকার দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনের ক্ষেত্রে মৌলিক সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে। কোনো দ্রব্য কী পরিমাণে, কখন ও কোন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত হবে এবং এই দ্রব্য কাদের নিকট সরবরাহ করা হবে এসব সরকার স্থির করে। এখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ ও বিনিয়োগের সুযোগ নেই। রাষ্ট্রই শ্রমিকের মজুরি প্রদান করে এবং উৎপাদনের অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করে। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় কেউ উৎপাদনে তার অবদান অনুসারে প্রাপ্য আয় থেকে বঞ্চিত হয় না। উদ্দীপকে ‘খ’ রাষ্ট্রের জনগণ ইচ্ছামতো উৎপাদন ও ভোগ করতে পারে না। কাজেই বলা যায় যে, ‘খ’ দেশের অর্থব্যবস্থার ধরনটি সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা।
উত্তরঃ- ঘ উদ্দীপকের আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, ‘ক’ নামক রাষ্ট্রে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং ‘খ’ নামক রাষ্ট্রে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। আমি মনে করি যে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা কার্যকর। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সকল ব্যক্তি তাদের ইচ্ছা ও সুবিধা অনুযায়ী উৎপাদন, কলকারখানা স্থাপন, ব্যবসায়-বাণিজ্য ইত্যাদি করে সম্পদ অর্জন করে। অর্থাৎ এ ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত মালিকানা বজায় থাকে। অন্যদিকে সমাজতন্ত্রে সব সম্পদ বা উৎপাদনের উপকরণগুলো রাষ্ট্রের মালিকানাধীন। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় প্রত্যেক ভোক্তা তার সামর্থ্য, ইচ্ছা ও পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো দ্রব্য অবাধে ভোগ করতে পারে। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় দেশে কেবল সরকারি উদ্যোগে সমাজের প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন ও আমদানি করা হয়। ফলে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় জনগণ কাজ না করে বসে থাকবে তথা কর্মবিমুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বুঝা যায়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বেশি কার্যকর।
প্রশ্ন- ৬ জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণ
ঘটনা ১ : তাসরিন যে শুধু ব্যক্তিগত জিনিসের প্রতি যত্নশীল ছিল, তা নয়। সে কোনোকিছুরই অপচয় পছন্দ করে না। প্রতিদিন ক্লাস শেষে শ্রেণিকক্ষের ফ্যান, লাইটের সুইচ বন্ধ করে দেয়। পানির কল খোলা দেখলে তা বন্ধ করে দেয়।
ঘটনা ২ : মৃত্তিকা নিজের ব্যাপারে বেশ সচেতন। তার স্কুল ড্রেসে যেন দাগ না লাগে, সে ব্যাপারে বেশ যত্নশীল। বইখাতা, স্কুল ব্যাগ ইত্যাদির ব্যাপারেও বেশ সজাগ। সে কখনও চিপস ও অন্য খাবারের প্যাকেট যত্রতত্র ফেলে না।
ক.অর্থনীতিতে অভাব কী? ১
খ.উপযোগ বলতে কী বোঝায়? ২
গ.ঘটনা ১-এ কোন ধরনের সম্পদকে ইঙ্গিত করা হয়েছে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.ঘটনা ১ ও ঘটনা ২-এর কার্যক্রম আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রাখে। পাঠ্যপুস্তকের আলোকে মূল্যায়ন কর। ৪
উত্তরঃ- ক অভাব হলো কোনো বস্তু বা সেবা পাবার ইচ্ছা বা আকাক্স া।
উত্তরঃ- খ উপযোগ একটি মানসিক ধারণা। সাধারণ কথায়, উপযোগ বলতে কোনো দ্রব্যের উপকারিতাকে বোঝায়। তবে অর্থনীতিতে কোনো দ্রব্য বা সেবার মধ্যে মানুষের অভাব মেটানোর যে ক্ষমতা থাকে তাকে উপযোগ বলে। যেমনÑ ভাত খেলে মানুষের ুধা মেটে, গান শুনলে মন ভালো লাগে ইত্যাদি দ্রব্য বা সেবা মানুষের বিভিন্ন অভাব মেটায়।
উত্তরঃ- গ ঘটনা-১ এ জাতীয় সম্পদকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পদ এবং সমাজের সমষ্টিগত সম্পদকে একত্রে জাতীয় সম্পদ বলে। উদ্দীপকের ঘটনা-১ এ তাসরিন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত জিনিসের প্রতিই যত্নশীল নয় বরং সে সমষ্টিগত সম্পদ ব্যবহার ও সংরক্ষণেও যত্নশীল। রাষ্ট্র ও জনগণ সম্মিলিতভাবে সমষ্টিগত সম্পদের অধিকারী। জনগণ এগুলো ব্যবহার করে ও ভোগ করে। এগুলোর পরিকল্পিত ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্র জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাই সমষ্টিগত সম্পদের অপব্যবহার ও অপচয়রোধে সচেতন ও সচেষ্ট থাকা। যেমনÑ রাষ্ট্রীয় সংস্থা কর্তৃক সরবরাহকৃত পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি অপ্রয়োজনে খরচ না করা এবং এগুলো ব্যবহারে মিতব্যয়িতা অবলম্বন করা। উদ্দীপকে তাসরিনও শ্রেণিকক্ষের ফ্যান, লাইট এর সুইচ ক্লাস শেষে বন্ধ করে দেয়। পানির কল খোলা থাকলে বন্ধ করে। সুতরাং ঘটনা ১ -এ জাতীয় সম্পদকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
উত্তরঃ- ঘ ঘটনা ১ ও ঘটনা ২-এর কার্যক্রম আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখে। ঘটনা (১)এ বিদ্যালয়ে তাসরিনের আচরণের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণ ও অপচয়রোধের চিত্র ফুটে উঠেছে। ব্যক্তিগত সম্পদ ও সমষ্টিগত সম্পদকে একত্রে জাতীয় সম্পদ বলে। মানুষ নিজ স্বার্থেই এসব সম্পদ সংরক্ষণ করে এবং এগুলোর অপচয় রোধে তৎপর হয়। উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনা ২ এ মৃত্তিকাও নিজ স্বার্থেই এসব সম্পদের সংরক্ষণ ও অপচয়রোধে উদ্যোগী হয়েছে। উদ্দীপকে তাসরিন বিদ্যালয়ে ক্লাস শেষে ফ্যান বন্ধ করে দেয়। পানির কল খোলা দেখলে বন্ধ করে দেয়। মৃত্তিকা নিজের ব্যাগ, কলম, ঘড়ি এগুলোর খুব যত্ন করে, যা জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণ ও অপচয়রোধের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। সুতরাং পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বলা যায় যে, ঘটনা ১ ও ২ এর মাধ্যমে জাতীয় সম্পদ সংরক্ষিত হয়েছে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রাখে।
প্রশ্ন- ৭ মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
প্রতীক ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পায়। কিন্তু তার বন্ধু সিয়াম ডাক্তারি পাস করে সরকারি চাকরি না পেয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করে।
ক.জাতীয় সম্পদের উৎস কয়টি? ১
খ.উদ্যোক্তা বলতে কী বোঝায়? ২
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রতীক ও তার বন্ধু কোন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কর্মরত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আয় বণ্টন প্রক্রিয়াটি কি তোমার কাছে গ্রহণযোগ্য? Ñ উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও। ৪
উত্তরঃ- ক জাতীয় সম্পদের উৎস প্রধানত দু’টি।
উত্তরঃ- খ কোনো কাজে যিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনিই উদ্যোক্তা। সকল উদ্যোগের পিছনে উদ্যোক্তা কাজ করেন। উদ্যোক্তা হলেন একজন ব্যক্তি যিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ উদ্যোগ হতে পারে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আবার সামাজিক বা মানবিক উদ্দেশ্যেও। উদ্যোক্তা তার সৃজনশীলতার মাধ্যমে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেন।
উত্তরঃ- গ উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রতীক ও তার বন্ধু ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় কর্মরত। ধনতান্ত্রিক অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতি বলা হয়। এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় দ্রব্যের উৎপাদন, বণ্টন, ভোগ সবই বাজারে দ্রব্যের চাহিদা ও যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া দ্বারা পরিচালিত হয়। ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সম্পদের ব্যক্তিমালিকানা এবং উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যেই উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। সবাই স্বাধীনভাবে নিজ নিজ পেশা ও কর্মক্ষেত্র নির্বাচন করতে পারে। প্রতীক ও তার বন্ধু নিজের ইচ্ছানুযায়ী কর্মক্ষেত্র বেছে নিয়েছে। যদিও সিয়াম সরকারি চাকরি পায়নি। কিন্তু এক্ষেত্রে সে প্রার্থী হিসেবে স্বাধীন ছিল। কাজেই বলা যায় যে, প্রতীক ও তার বন্ধু ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কর্মরত।
উত্তরঃ- ঘ ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আয় বণ্টন প্রক্রিয়াটি আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য থাকে বিধায় উদ্যোক্তা/ পুঁজিপতিরা দ্রব্যের উৎপাদন ব্যয় কম রাখতে ও বেশি মূল্য পেতে চেষ্টা করে। উৎপাদন ব্যয় কম রাখার জন্য শ্রমিককে তার ন্যায্য মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া হয়। এই উদ্বৃত্ত মজুরি পুঁজিপতি ও উদ্যোক্তার কাছে মুনাফা হিসেবে সঞ্চিত হয়। এইভাবে উৎপাদিত সম্পদ বণ্টনে অসমতা ও বৈষম্য সৃষ্টি হয়। শ্রমিক প্রাপ্যের চেয়ে কম মজুরি পান আর পুঁজিপতি ও উদ্যোক্তা তাদের প্রাপ্যের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করেন। যেহেতু পুঁজিপতির সংখ্যা কম, তাই একটি ুদ্র জনগোষ্ঠীর হাতেই সমাজের অধিকাংশ সম্পদ কেন্দ্রিভূত হয়। আর যেহেতু শ্রমিক অগণিত, তাই সমাজের বিশাল জনগোষ্ঠী মোট সম্পদের ুদ্র অংশের সুবিধা ভোগ করে। এভাবে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সুষম বণ্টন হয় না। একারণেই আমার মতে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আয় বণ্টন প্রক্রিয়াটি গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রশ্ন- ৮ সমাজতান্ত্রিক ও মিশ্র অর্থব্যবস্থার পার্থক্য
কামাল ও তার ইউরোপ প্রবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বন্ধুর মধ্যে ফেসবুকে চ্যাটিং হচ্ছেÑ
কামাল : দোস্ত, বর্তমানে তুমি কত টাকা বৃত্তি পাচ্ছ?
নূর : আগের মতোই, মাসিক ১০০০ রুবল।
কামাল : বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে এ অর্থ দিয়ে তোমার কী সারা মাস চলে?
নূর : হ্যাঁ, কেননা, এদেশে কেউ ইচ্ছে করলে দ্রব্যের দাম বাড়াতে পারে না। সবকিছুতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকে।
ক.অভাব কী? ১
খ.উৎপাদন বলতে কী বোঝায়? ২
গ.নূরের অধ্যয়নরত দেশে কী ধরনের অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.আমাদের দেশের অর্থব্যবস্থার সাথে উক্ত অর্থব্যবস্থার সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর। ৪
উত্তরঃ- ক অভাব হলো কোনো বস্তু বা সেবা পাবার ইচ্ছা বা আকাক্স ।
উত্তরঃ- খ উৎপাদন হলো দ্রব্য বা সম্পদের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর। উৎপাদনের জন্য ৪টি উপাদান আবশ্যক : ভূমি, শ্রম, মূলধন, সংগঠন। যেমন- চেয়ারের জন্য কাঠ সংগ্রহ হয় ভূমি থেকে। কাঠ সংগ্রহের জন্য অর্থ এবং কাঠকে চেয়ারে রূপান্তরের জন্য যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরণ প্রয়োজন। এই অর্থ ও যন্ত্রপাতি মূলধন। এরপর প্রয়োজন শ্রমিক বা কারিগর, যিনি যন্ত্রপাতি ও নিজ শ্রমের সাহায্যে কাঠ থেকে চেয়ার প্রস্তুত করবেন। আর এই ভূমি, মূলধন ও শ্রমকে সমন্বিত করে চেয়ার উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পাদন করবেন সংগঠক বা উদ্যোক্তা।
উত্তরঃ- গ নূরের অধ্যয়নরত দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। উদ্দীপক থেকে জানা যায়, নূরের অধ্যয়নরত দেশে দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি বা হ্রাস সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে অর্থাৎ জনসাধারণের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এ ধরনের রাষ্ট্রে বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় জমি, কলকারখানা, খনিজ ও অন্যান্য সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা বজায় থাকে। সম্পদের ব্যক্তিগত মালিকানা না থাকায় উৎপাদন, ব্যবসায় বাণিজ্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিগত উদ্যোগ নেই। এখানে একটি কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ থাকে। দেশে কোন কোন দ্রব্য, কী পরিমাণে ও কীভাবে উৎপাদিত হবে এবং কীভাবে বণ্টন করা হবে এসবই পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের দ্বারা নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ ব্যক্তিগত মুনাফার সুযোগ নেই। সার্বিক সামাজিক চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হয়। ফলে নূরও দ্রব্যমূল্যের দুর্মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয়। যা প্রমাণ করে নূরের অধ্যয়নরত দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান।
উত্তরঃ- ঘ আমাদের দেশে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রাধান্যসহ মিশ্র অর্থনৈতিক অবস্থা বিদ্যমান। যার সাথে উক্ত অর্থ ব্যবস্থা অর্থাৎ সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার সাদৃশ্য নেই বলা চলে। স্বাধীনতা পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও নানারকম সংস্কার এবং পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে চলেছে। বর্তমানে দেশে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রাধান্যসহ মিশ্র অর্থনৈতিক অবস্থা বিদ্যমান বলা চলে। এক্ষেত্রে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার কোনো প্রভাব নেই। তবে প্রধান প্রধান শিল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রয়ত্ত খাতের অন্তর্ভুক্ত। অবশ্য বর্তমানে অর্থনীতির প্রায় সব খাত ক্রমশ বেসরকারি উদ্যোগের নিয়ন্ত্রণাধীনে চলে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আর একটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বেসরকারি উদ্যোগ সম্প্রসারণের সাথে সাথে বাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। যা সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত, আমাদের দেশে উৎপাদনের জন্য যে মূলধন বা পুঁজি প্রয়োজন, তা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেই বেশিরভাগ সংগৃহীত হয়। তবে বৈদেশিক ঋণ, সাহায্য, অনুদান এবং ব্যক্তিগত পুঁজিও এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ দেশে উৎপাদন ও বণ্টন প্রক্রিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহাবস্থান রয়েছে। দেশে বেসরকারি খাত ক্রমশঃ সম্প্রসারিত হচ্ছে। ফলে উদ্যোক্তা ও ভোগকারীর স্বাধীনতা আছে। যে কোনো উদ্যোক্তা বা উৎপাদনকারী যে কোনো দ্রব্য যে কোনো পরিমাণ উৎপাদন করতে পারে। এই উৎপাদন কার্য অবশ্য সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হয়। এভাবে বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থায় সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।
প্রশ্ন- ৯ সমষ্টিগত সম্পদ
রমনা পার্ক বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সড়ক বরেন্দ্র জাদুঘর
ক.উপযোগ কাকে বলে? ১
খ.সম্পদের অপ্রাচুর্যতা বলতে কী বোঝায়? ২
গ.ছকের বিষয়গুলো কোন ধরনের সম্পদের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“সচেতনতাই উক্ত সম্পদের অপব্যবহার ও অপচয়রোধে একমাত্র উপায়”Ñ উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪
উত্তরঃ- ক কোনো দ্রব্যের মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে উপযোগ বলে।
উত্তরঃ- খ অপ্রাচুর্যতা বলতে বোঝায় চাহিদার তুলনায় যোগানের সীমাবদ্ধতা।
কোনো দ্রব্য বা সেবার চাহিদার তুলনায় যোগান বা সরবরাহের পরিমাণ কম হলে দ্রব্যটির অপ্রাচুর্যতা দেখা দেয়। যেমন : খাদ্য। যে কোনো দেশে যে কোনো সময়ে খাদ্যের সরবরাহ এর চাহিদার তুলনায় কম। সেজন্য খাদ্য পেতে হলে এর দাম পরিশোধ করতে হয়। অর্থাৎ খাদ্যের অপ্রাচুর্যতা আছে।
উত্তরঃ- গ ছকের বিষয়গুলো সমষ্টিগত সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে যে সকল সম্পদ ভোগ করে, সেগুলো সমষ্টিগত সম্পদ। এই সম্পদের ওপরে সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও এগুলোর প্রতি তাদের সমান দায়িত্ব রয়েছে। রাস্তাঘাট, রেলপথ, বাঁধ, পার্ক, সরকারি হাসপাতাল ও স্কুল, সরকারি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রের মালিকানাধীন সকল প্রাকৃতিক সম্পদ যেমনÑ বনাঞ্চল, খনিজসম্পদ, নদ-নদী ইত্যাদি সমষ্টিগত সম্পদ। ছকে উল্লিখিত বিষয়গুলো হলোÑ রমনা পার্ক, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সড়ক ও বরেন্দ্র জাদুঘর। এই সম্পদগুলো সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে ভোগ করে এবং এগুলোর ওপর সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে। সুতরাং বলা যায়, ছকে উল্লিখিত বিষয়গুলো হলো সমষ্টিগত সম্পদ।
উত্তরঃ- ঘ সচেতনতাই সমষ্টিগত সম্পদের অপব্যবহার ও অপচয়রোধের একমাত্র উপায় নয় বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্র ও জনগণ সম্মিলিতভাবে সমষ্টিগত সম্পদের অধিকারী। জনগণ এগুলো ব্যবহার করে ও ভোগ করে। এগুলোর পরিকল্পিত ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্র জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাই এসব সমষ্টিগত সম্পদ সংরক্ষণে প্রতিটি নাগরিকেরই বিশেষ যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। সচেতনতা সমষ্টিগত সম্পদের অপব্যবহার ও অপচয়রোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর উপায়। তবে একমাত্র উপায় নয়। সমষ্টিগত সম্পদ সংরক্ষণের জন্য নিজ নিজ কর্তব্য বিষয়ে প্রতিটি নাগরিক সচেতন ও সচেষ্ট থাকলে সমষ্টিগত সম্পদ সংরক্ষণ ও এগুলোর অপচয় রোধ করা কঠিন নয়। তবে সচেতনতার পাশাপাশি সমষ্টিগত সম্পদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের যথাযথভাবে তার দায়িত্ব পালন করা আবশ্যক। এসব দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রয়োজন। সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, সচেতনতা সমষ্টিগত সম্পদের অপব্যবহার ও অপচয়রোধের গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর উপায় হলেও একমাত্র উপায় নয়।
প্রশ্ন- ১০ ধনতান্ত্রিক ও মিশ্র ও অর্থব্যবস্থা
ক.বর্তমান বিশ্বে প্রধানত কয় ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কার্যকর আছে। ১
খ.অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়? ২
গ.‘অ’ দ্বারা কোন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ইঙ্গিত করছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘অ’ ও ‘ই’-এর সমন্বিত রূপ যেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থারই প্রতিচ্ছবি যুক্তি দাও। ৪
উত্তরঃ- ক বর্তমান বিশ্বে প্রধানত চার ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কার্যকর আছে।
উত্তরঃ- খ যে ব্যবস্থা বা কাঠামোর আওতায় উৎপাদনের উপাদানসমূহের মালিকানা নির্ধারিত হয় এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া, উৎপাদিত সম্পদের বণ্টন ও ভোগ প্রক্রিয়া সম্পাদিত হয়, তাকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে। এ ব্যবস্থা জনগণের অর্থনৈতিক কার্যাবলি এবং অর্থনীতি বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত কাঠামোর সমন্বয়ে গড়ে ওঠে।
উত্তরঃ- গ উদ্দীপকের ‘অ’ ছক দ্বারা ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ইঙ্গিত করেছে। ধনতান্ত্রিক অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতি বলা হয়। এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় দ্রব্যের উৎপাদন, বণ্টন ভোগ সবই বাজারে দ্রব্যের চাহিদা ও যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া দ্বারা পরিচালিত হয়। ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সম্পদের ব্যক্তিমালিকানা এবং উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যেই উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য থাকে বলে উদ্যোক্তা বা পুঁজিপতিরা দ্রব্যের উৎপাদন ব্যয় কম রাখতে ও মূল্য বেশি পেতে চেষ্টা করে। উৎপাদন ব্যয় কম রাখার জন্য শ্রমিককে তার ন্যায্য মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া হয়। ফলে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তুষ্টি বিরাজ করে। উদ্দীপকের ‘অ’ ছকে এসব বিষয় দেখানো হয়েছে। তাই ‘অ’ ছক দ্বারা ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ইঙ্গিত করছে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
উত্তরঃ- ঘ উদ্দীপকে ‘অ’ ছকে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং ‘ই’ ছকে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উভয় ব্যবস্থার কিছু কিছু দিক নিয়ে গড়ে উঠেছে। তাই প্রশ্নে উল্লিখিত ‘অ’ ও ‘ই’-এর সমন্বিত রূপ যেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থারই প্রতিচ্ছবি মন্তব্যটি যুক্তিযুক্ত। বর্তমানে বাংলাদেশে মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। বর্তমান বিশ্বে বিরাজমান অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে তাল মেলানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে মিশ্র অর্থনীতির রূপ দেওয়া হচ্ছে। এখানে প্রধান প্রধান শিল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত্ত্ব খাতের অন্তর্ভুক্ত। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বর্তমানে লোকসানের সম্মুখীন হওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে বেসরকারি খাত ও ব্যক্তি উদ্যোগ সম্প্রসারিত হচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোগ সম্প্রসারণের সাথে সাথে বাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। ফলে আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উদ্যোক্তা ও ভোগকারীর স্বাধীনতা আছে। যেকোনো উদ্যোক্তা বা উৎপাদনকারী যেকোনো দ্রব্য যেকোনো পরিমাণ উৎপাদন করতে পারে। এই উৎপাদন কার্য অবশ্য সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হয়। আয় বণ্টনের ক্ষেত্রে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতো শ্রমিকদের মজুরির নিম্নহার এবং উদ্যোক্তাদের মুনাফার উচ্চহার লক্ষণীয়। অর্থাৎ বাংলাদেশে উৎপাদন ও বণ্টন প্রক্রিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহাবস্থান রয়েছে।
প্রশ্ন- ১১ সম্পদের শ্রেণিবিভাগ
মৎস্য রপ্তানিকারক জনাব মেহেদি তার ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। সুদূর আমেরিকার সমুদ্র পাড়ি দিয়ে তার রপ্তানি করা চিংড়ি আজ শিপমেন্টে যাচ্ছে।
ক.জাতীয় সম্পদের উৎস কয়টি? ১
খ.‘অপ্রাচুর্য’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ.জনাব মেহেদি কীভাবে জাতীয় সম্পদ সৃষ্টি করেন। ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে সম্পদের প্রতিটি ধরনের উদাহরণ রয়েছেÑ পাঠ্যপুস্তকের আলোকে প্রমাণ কর। ৪
উত্তরঃ- ক জাতীয় সম্পদের উৎস দু’টি।
উত্তরঃ- খ কোনো দ্রব্য বা সেবার চাহিদার তুলনায় যোগান বা সরবরাহের পরিমাণ কম হলে দ্রব্যটির অপ্রাচুর্য দেখা দেয়। যেমন : খাদ্য। যেকোনো দেশে যেকোনো সময়ে খাদ্যের সরবরাহ এর চাহিদার তুলনায় কম। সেজন্য খাদ্য পেতে হলে এর দাম পরিশোধ করতে হয়। অর্থাৎ খাদ্যের অপ্রাচুর্য আছে।
উত্তরঃ- গ জনাব মেহেদি সম্পদ স্থানান্তরের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদ সৃষ্টি করেন। জাতীয় সম্পদের দ্বিতীয় উৎস মানবসৃষ্ট। কোনো দেশের অভিবাসীরা তাদের শ্রম ও মূলধনের সাহায্যে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার, সংগ্রহ ও উত্তোলন করে, সেগুলোর রূপান্তর বা স্থানান্তর করে নতুন সম্পদ সৃষ্টি করে। যেমন মানুষ ভূমি আবাদ করে শস্য-ফল-ফুল-গাছপালা উৎপাদন করে। জলাশয়ে মাছ চাষ করে, খনিজ সম্পদ উত্তোলন করে ব্যবহার উপযোগী করে। উদ্দীপকের জনাব মেহেদি এ প্রক্রিয়াতেই দেশ থেকে আমেরিকায় চিংড়ি রপ্তানি করছেন। সম্পদের এরূপ উপযোগিতা বৃদ্ধি ছাড়াও জাতীয় সম্পদ সৃষ্টিতে ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে বা সরকারের অর্থ ও পরিচালনায় রাস্তাঘাট, কলকারখানা, যন্ত্রপাতি, যানবাহন, বাঁধ ও সেতু, নানারকম স্থাপনা নির্মাণ করে, নানারকম শিল্প দ্রব্য উৎপাদন করে। এভাবে দেশের নাগরিকেরা বছরব্যাপী নানারকম অর্থনৈতিক দ্রব্য ও সেবা অর্থাৎ সম্পদ সৃষ্টির কাজে নিয়োজিত থাকে। যেমন : উদ্দীপকের মেহেদি সাহেব জাতীয় সম্পদ সৃষ্টি করেন।
উত্তরঃ- ঘ উদ্দীপকে সম্পদের প্রতিটি ধরনের উদাহরণ রয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের আলোচনায় দেখা যায়, সম্পদকে ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক এই চার শ্রেণিতে বিন্যস্ত করা যায়। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গাজমি, বাড়িঘর, কলকারখানা, অর্থসম্পদ, গাড়ি, দ্রব্যসামগ্রী ইত্যাদি ব্যক্তিগত সম্পদ। উদ্দীপকের জনাব মেহেদি নিজের গাড়ি ব্যবহার করেন। এছাড়া নিজস্ব প্রতিভা, ব্যক্তির দক্ষতা ইত্যাদি যদিও হস্তান্তরযোগ্য নয়, কিন্তু ব্যক্তি এগুলো ব্যবহার করে সম্পদ সৃষ্টি করতে পারে। তাই এগুলোও ব্যক্তিগত সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে যেসব সম্পদ ভোগ করে, সেগুলো সমষ্টিগত সম্পদ। রাস্তাঘাট, রেলপথ, বাঁধ, পার্ক, সরকারি হাসপাতাল ও স্কুল, রাষ্ট্রের মালিকানাধীন সকল প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন : বনাঞ্চল, খনিজসম্পদ, নদ-নদী ইত্যাদি সমষ্টিগত সম্পদ। উদ্দীপকে জনাব মেহেদি গাড়ি চালাতে রাস্তা ব্যবহার করেন। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পদ এবং সমাজের সমষ্টিগত সম্পদকে একত্রে জাতীয় সম্পদ বলে। যেমন : কর্মদক্ষতা, উদ্ভাবনী শক্তি, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ইত্যাদি জাতীয় সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। কোনো কোনো সম্পদ আছে, যা বিশেষ কোনো রাষ্ট্রের মালিকানাধীন নয়। যেমন : সাগর-মহাসাগর, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, প্রযুক্তি ইত্যাদি। এগুলো আন্তর্জাতিক সম্পদ। উদ্দীপকে মি. মেহেদি চিংড়ি রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক সমুদ্র পথ ব্যবহার করেন। আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত সম্পদের সবগুলো উদাহরণ রয়েছে।
প্রশ্ন- ১২ জাতীয় সম্পদের অপচয় রোধে করণীয়
নবম শ্রেণির ছাত্র আবীর তার বাবা-মার সাথে মধুপুর ও ভাওয়াল বনভূমি দেখতে যায়। সেখানে তারা বিশাল গাছের সমারোহ দেখে বিস্মিত হয়। কিন্তু বনের মধ্যে কিছু লোককে গাছ কাটতে দেখে তাদের মন ব্যথিত হয়। সে মনে মনে প্রতিরোধের উপায় পরিকল্পনা করে।
ক.বনভূমি কী ধরনের সম্পদ? ১
খ.উদ্যোগ গ্রহণের স্বাধীনতা বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর। ২
গ.আবীরের ব্যথিত হওয়ার কারণ কী আলোচনা কর। ৩
ঘ.উক্ত সমস্যা সমাধানে আবীর কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে। ৪
উত্তরঃ- ক বনভূমি ‘সমষ্টিগত সম্পদ’।
উত্তরঃ- খ উদ্যোগ গ্রহণের স্বাধীনতা বলতে বোঝায় যেখানে দ্রব্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য ব্যক্তি নিজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে এবং বিনিয়োগ করে। এখানে কোনোরকম বাধানিষেধ থাকে না।
উত্তরঃ- গ আবীরের ব্যথিত হওয়ার কারণ হলো জাতীয় সম্পদের অপচয়। সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে যে সম্পদ ভোগ করে সেগুলো সমষ্টিগত সম্পদ। এসব সম্পদের ওপর সব নাগরিকের সমান অধিকার আছে এবং এগুলো সংর ণেরও সকলের দায়িত্ব আছে। রাস্তাঘাট বনভূমি, বাঁধ, পার্ক এগুলো সবার কাজে লাগে। তাই যত্নবান ও সচেতন থাকা উচিত। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রচুর বৃক্ষরোপণ প্রয়োজন। সেগুলো যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে সজাগ থাকা উচিত। উদ্দীপকে যেহেতু নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে তাই আবীর এসব তি দেখে ব্যথিত হয়।
উত্তরঃ- ঘ উক্ত সমস্যাটি হলো জাতীয় সম্পদের অপচয় যার সমাধান কল্পে আবীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। জাতীয় সম্পদ সংর ণের জন্য রাষ্ট্রীয় যেসব ব্যবস্থা আছে সেগুলো যাতে ব্যহত না হয় সেদিকে আবীর লক্ষ রাখতে পারে। কেউ যেন এসব সম্পদের কোনো তিসাধন না করে সে বিষয়ে সচেতন থাকবে। এ ধরনের কোনো অপচেষ্টার বিষয়ে জানলে বা দেখলে যথাযথ ব্যক্তি/কর্তৃপ কে অবহিত করবে। সংর িত বনাঞ্চল থেকে অবৈধভাবে গাছ কাটা, পশুপাখি শিকার করা ইত্যাদি জাতীয় সম্পদের তিসাধন করা হলে আবীর সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। এসব সম্পদের উন্নয়ন ও বৃদ্ধিসাধনের জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে। সমষ্টিগত/ জাতীয় সম্পদের অপব্যবহার ও অপচয়রোধে সচেতন ও সচেষ্ট থাকতে পারে। রাষ্ট্রীয় সংস্থা কর্তৃক সরবরাহকৃত পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি অপ্রয়োজনে খরচ না করা এবং এগুলো ব্যবহারে মিতব্যয়িতা অবলম্বন করতে পারে।
প্রশ্ন- ১৩ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
আজমল সাহেব একজন পাট ব্যবসায়ী। তিনি তার ব্যবসায়ের সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়ে থাকেন। বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তিনি বেশ কিছু কৌশলও অবলম্বন করেন। আশা করা যায় তিনি ব্যবসায় সফল হবেন এবং প্রচুর মুনাফা অর্জন করবেন।
ক.প্রাচীন বাংলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভূমির মালিককে কী বলা হতো? ১
খ.অর্থনীতিতে বণ্টন বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর। ২
গ.উদ্দীপকে যে ধরনের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর, আজমল সাহেব যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যবসা করছেন তাতে শ্রমিকদের ওপর শোষণের আশঙ্কা বেশি থাকে? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
উত্তরঃ- ক প্রাচীন বাংলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভূমির মালিককে বলা হতো ভূস্বামী।
উত্তরঃ- খ সাধারণ অর্থে বণ্টন হলো ভাগ বা বিলি করা। অর্থনীতিতে বণ্টন বলতে জাতীয় আয় বা সম্পদের ভাগ বা বিলি করা বোঝায়। উৎপাদনের জন্য ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন এ চারটি উপাদান অপরিহার্য। উৎপাদিত সম্পদ উৎপাদনের উপাদানসমূহের মধ্যে ভাগ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে বণ্টন বলা হয়।
উত্তরঃ- গ উদ্দীপকে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে। যে অর্থব্যবস্থায় জমি, খনি, কলকারখানা প্রভৃতি উৎপাদন উপকরণ ব্যক্তি মালিকানায় থাকে তাকে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বলা হয়। এই অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনকার্যের সিদ্ধান্ত গ্রহণে পুঁজিপতিরা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। এসব ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কোনো হস্তক্ষেপ করে না। ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির কিছু বৈশিষ্ট্য হলো :
১. উৎপাদনের উপকরণের মালিকানা : ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানসমূহ যথা : ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন ব্যক্তি মালিকানাধীন। যেমন : আজমল সাহেব তার ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
২. মুনাফা অর্জনই মূল লক্ষ্য : ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যেই উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। যেসব দ্রব্যের ক্ষেত্রে মুনাফার সম্ভাবনা বেশি, উৎপাদনকারীরা সেসব দ্রব্যেই বেশি বিনিয়োগ করে।
৩. উদ্যোগ গ্রহণের স্বাধীনতা : ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যক্তি এককভাবে বা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে যেকোনো দ্রব্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে এবং সেজন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে পারে। উদ্দীপকের আজমল সাহেবও নিজ উদ্যোগে সর্বাধিক মুনাফার আশায় ব্যবসায় পরিচালনা করেন। সুতরাং উদ্দীপকে তার মাধ্যমে ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে।
উত্তরঃ- ঘ আমি মনে করি, এ ধরনের অর্থব্যবস্থায় শ্রমিক শোষণের আশঙ্কা বেশি থাকে। আজমল সাহেব যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যবসা করছেন তা হলো ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য থাকে বিধায় উদ্যোক্তা বা পুঁজিপতিরা দ্রব্যের উৎপাদন ব্যয় কম রাখতে এবং বেশি মূল্য পেতে চেষ্টা করে। উৎপাদন ব্যয় কম রাখার জন্য শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া হয়। এ উদ্বৃত্ত মজুরি পুঁজিপতিরা মুনাফা হিসেবে সঞ্চয় করে। এভাবে উৎপাদিত সম্পদ বণ্টনে অসমতা ও বৈষম্য সৃষ্টি হয়। শ্রমিক প্রাপ্যের চেয়ে কম মজুরি পায় আর পুঁজিপতি বা উদ্যোক্তা তাদের প্রাপ্যের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করে। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সকল সিদ্ধান্ত ব্যক্তি নিজে গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে সরকারি কোনো হস্তক্ষেপ থাকে না, তাই আমি মনে করি, এ ব্যবস্থায় শ্রমিক শোষণের আশঙ্কা বেশি থাকে।
প্রশ্ন- ১৪ সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা
রফিক পড়াশোনার জন্য ‘ণ’ নামক দেশে গিয়েছিল। সেখানে সে দেখল, সমাজে সকলেই সমান। কলকারখানা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। সেখানে দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনের মৌলিক বিষয়গুলো সরকার নির্ধারণ করে। জনগণ ইচ্ছা করলেই যে কোনো দ্রব্যসামগ্রী ভোগ করতে পারে না।
ক.অপ্রাচুর্য কী? ১
খ.অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বলতে কী বোঝ? ২
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘ণ’ নামক দেশে ভোক্তার স্বাধীনতার অভাব রয়েছে-ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর, ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে ‘ণ’ দেশের অর্থনৈতিক কার্যাবলিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ বেশি? ব্যাখ্যা কর। ৪
উত্তরঃ- ক অপ্রাচুর্য হলো চাহিদার তুলনায় সীমাবদ্ধ যোগান।
উত্তরঃ- খ উৎপাদন কাজে নিয়োজিত অর্থ হচ্ছে বিনিয়োগ। মূলত বিনিয়োগ বলতে বিদ্যমান মূলধন সামগ্রীর সাথে নতুন মূলধন যেমন : অর্থ বা যন্ত্রপাতি, সাজসরঞ্জাম, উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল যুক্ত হওয়াকে বোঝায়।
উত্তরঃ- গ উদ্দীপকে যে দেশের কথা বলা হয়েছে, সেটি হলো সমাজতান্ত্রিক দেশ। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদকের যেমন উৎপাদনবিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাধীনতা নেই, তেমনি ভোগকারীর নিজ ইচ্ছামতো দ্রব্যসামগ্রী ভোগের সুযোগ নেই। উৎপাদক সরকার নির্ধারিত দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করে এবং ভোগকারী সেগুলো প্রয়োজনমতো ক্রয় ও ভোগ করে। তবে সামাজিকভাবে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নির্বাচন ও ক্রয়ের ব্যাপারে ভোক্তার স্বাধীনতা আছে।
উত্তরঃ- ঘ ‘ণ’ নামক দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত। আমি মনে করি, ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার চেয়ে এ ধরনের ব্যবস্থাধীন অর্থনৈতিক কার্যাবলিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ বেশি। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উৎপাদনকারীদের যে কোনো দ্রব্য উৎপাদনের স্বাধীনতা থাকে। ফলে ঐ দ্রব্য উৎপাদনে অবাধ প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়। আবার যেকোনো দ্রব্য ক্রয় ও ভোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির ওপর কোনো বিধি নিষেধ নেই। তাই বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দ্রব্যের দাম নির্ধারিত হয়। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সরকার দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনের ক্ষেত্রে মৌলিক সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে। কোনো দ্রব্য কী পরিমাণে, কখন ও কোনো প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত হবে এবং এই দ্রব্য কাদের নিকট সরবরাহ করা হবে এসবই সরকার স্থির করে। এসব সিদ্ধান্ত সরকারের কেন্দ্রীয় পরিকল্পনারই অংশ। এখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ ও বিনিয়োগের সুযোগ নেই।
প্রশ্ন- ১৫ মিশ্র অর্থব্যবস্থা
মি. সাইফুদ্দিন একরাম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। তিনি বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে অর্থনীতিবিষয়ক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। সাম্যবাদী চিন্তাধারার মানুষ হিসেবে তিনি ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ঘোরবিরোধী। আবার সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বাস্তবে অসাড় বলে তিনি দেশের জন্য মিশ্র অর্থনীতির সফল প্রয়োগ চান।
ক.বর্তমান বিশ্বে প্রধানত কয় ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আছে? ১
খ.ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ? ২
গ.মি. সাইফুদ্দিনের চাওয়া পূরণ হলে সরকারি ও বেসরকারি খাতের পারস্পরিক অবস্থান কিরূপ হবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মন কর, সাম্যবাদী মি. সাইফুদ্দিনের চাওয়া পূরণ হলে সর্বক্ষেত্রে আয়ের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হবে? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
উত্তরঃ- ক বিশ্বে বর্তমানে প্রধানত চার ধরনের অর্র্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু আছে।
উত্তরঃ- খ ধনতন্ত্র এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে উৎপাদনের উপকরণসমূহ ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত হয়। এখানে প্রত্যেক ব্যক্তি উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগের েত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে।
উত্তরঃ- গ মি. সাইফুদ্দিনের চাওয়া পূরণ হলে দেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থার সফল প্রয়োগ ঘটবে। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহাবস্থান দেখা যাবে। মিশ্র অর্থনীতিতে ব্যক্তিমালিকানা ও ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি কিছু কিছু খাতে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে সরকারি মালিকানা, উদ্যোগ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যকর থাকে। জনসাধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য ও সেবা যেমন যোগাযোগ ব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, শিক্ষার আয়োজন এসব প্রধানত সরকারি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়। তবে এক্ষেত্রেও আংশিক ব্যক্তিগত বা বেসরকারি উদ্যোগে উৎপাদন ও সরবরাহ দেখা যায়। এছাড়া মৌলিক ও বৃহদাতয়ন শিল্প, জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, বড় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রধান আমদানি ও রপ্তানি দ্রব্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, শিশুখাদ্য এসবও সাধারণত সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকে। আবার মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য যেমন : কৃষিপণ্য, কাপড় ও তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, হোটেল-রেস্তোরাঁ, ব্যক্তিগত যানবাহন ইত্যাদি প্রধানত ব্যক্তিগত উদ্যোগে উৎপাদিত ও সরবরাহ করা হয়।
উত্তরঃ- ঘ উদ্দীপকের সাম্যবাদী মি. সাইফুদ্দিনের চাওয়া পূরণ হলে অর্থাৎ মিশ্র অর্থব্যবস্থা চালু হলেও সর্বক্ষেত্রে আয়ের সুষম বণ্টন সম্ভব নয়। মিশ্র অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি মালিকানার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকা ের একটি বড় অংশ যেমন : বড় বড় কলকারখানা, ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন এবং আমদানি-রপ্তানি সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। অর্থনীতির ব্যক্তি মালিকানাধীন অংশ ব্যক্তির দ্বারা সম্পূর্ণভাবে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। এ খাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতোই শ্রমিককে প্রাপ্য মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া হয় এবং উদ্বৃত্ত মজুরি মুনাফার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে উৎপাদিত সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন হয় না। উৎপাদনের বিভিন্ন উপাদানের আয়ে বৈষম্য দেখা দেয়। এতে সমাজের সকল জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ নিশ্চিত করা যায় না। মিশ্র অর্থনীতিতে উৎপাদনের যে অংশ সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন, সে অংশে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য নয় বরং সর্বাধিক সামাজিক কল্যাণ অর্জনের উদ্দেশে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ খাতের আওতাধীন কলকারখানা ও উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকরা সাধারণত ন্যায্য মজুরি পায়। ফলে সম্পদের সুষম বণ্টন সম্ভব হয়। এভাবে দেখা যায় যে, মিশ্র অর্থনীতিতে সম্পদ বা আয়ের আংশিক সুষ্ঠু বণ্টন ঘটে। আর অংশ বিশেষে শ্রমিক শোষিত ও বঞ্চিত হয় এবং আয় বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়।
অধ্যায় – ১১: জাতীয় সম্পদ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
১.ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি তার সম্পদ কীভাবে ভোগ করতে পারে?
ক) নিয়মের মধ্যে ভোগ এবং বিক্রি করতে পারে
খ) স্বাধীনভাবে ভোগ এবং হস্তান্তর করতে পারে
গ) ভোগ করতে পারবে তবে হস্তান্তর করতে পারবে না
ঘ) কেবল হস্তান্তর করতে পারে
সঠিক উত্তর: (খ)
২.সম্পদের বৈশিষ্ট্য কয়টি?
ক) তিন
খ) চার
গ) পাঁচ
ঘ) ছয়
সঠিক উত্তর: (খ)
৩.ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানসমূহ কার মালিকানাধীন থাকে?
ক) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন
খ) ব্যক্তিমালিকানাধীন
গ) সংগঠন মালিকানাধীন
ঘ) গোষ্ঠী মালিকানাধীন
সঠিক উত্তর: (খ)
৪.জাতীয় সম্পদের প্রধান উৎস কয়টি?
ক) দুইটি
খ) তিনটি
গ) চারটি
ঘ) পাঁচটি
সঠিক উত্তর: (ক)
৫.কোন অর্থ ব্যবস্থায় প্রত্যেক উৎপাদনকারীর লক্ষ্য সর্বাধিক মুনাফা অর্জন করা?
ক) সমাজতান্ত্রিক
খ) মিশ্র
গ) ধনতান্ত্রিক
ঘ) ইসলামী
সঠিক উত্তর: (গ)
৬.সাহারা এমন এক দেশের নাগরিক যে দেশে ব্যক্তি তার নিজস্ব সম্পদ স্বাধীনভাবে ভোগ ও হস্তান্তর করতে পারে। সাহারার দেশে কোন অর্থব্যবস্থা চালু আছে?
ক) ধনতান্ত্রিক
খ) সমাজতান্ত্রিক
গ) পুঁজিবাদী
ঘ) ইসলামী
সঠিক উত্তর: (ক)
৭.কোনটি সম্মিলিতভাবে ভোগ করা যায়?
ক) প্রতিভা
খ) দক্ষতা
গ) রাস্তাঘাট
ঘ) গাড়ি
সঠিক উত্তর: (গ)
৮.ইসলামী অর্থব্যবস্থায় যেকোনো ব্যক্তি শরিয়তসম্মতে দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদনের জন্য বিনিয়োগ করতে পারে –
- এককভাবে
- গোষ্ঠীবদ্ধভাবে
iii. বেসরকারিভাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)
৯.যে বস্তু কারো নিকট থেকে পাওয়া বা কাউকে দেওয়া যায় তাকে কী বলে?
ক) প্রদান
খ) দান
গ) হস্তান্তরযোগ্যতা
ঘ) অস্তিত্ব
সঠিক উত্তর: (গ)
১০.দেশে উৎপাদন ও বন্টন প্রক্রিযায় সহাবস্থান করছে –
- যৌথ খাত
- সরকারি খাত
iii. বেসরকারি খাত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)
১১.সুন্দরভাবে বাঁচতে হলে কীসের প্রয়োজন?
ক) খাদ্য
খ) মজুরি
গ) শিক্ষা
ঘ) বিনোদন
সঠিক উত্তর: (ঘ)
১২.একজন বৈজ্ঞানিকের উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে কোন ধরনের সম্পদ বলে?
ক) ব্যক্তিগত
খ) সমষ্টিগত
গ) প্রযুক্তিগত
ঘ) আন্তর্জাতিক
সঠিক উত্তর: (ক)
১৩.সংরক্ষণ কাজের অন্তর্ভুক্ত –
- কোন সম্পদ কোথায় কী অবস্থায় আছে তার খোঁজখবর রাখা
- সম্পদের কোনোরকম ক্ষতি হলে তা দূর করা
iii. সম্পদ নষ্ট হলে যথাযথভাবে পূরণ করার ব্যবস্থা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)
১৪.বিশেষভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানকে কী বলা হয়?
ক) সুষম বন্টন
খ) সংরক্ষণ
গ) বাহ্যিকতা
ঘ) নিবিড় পর্যবেক্ষণ
সঠিক উত্তর: (খ)
১৫.অর্থনীতিতে সব কাজকে কাজ বলা যায় না। অর্থনৈতিক কাজ হিসেবে তুমি চিহ্নিত করবে –
- কৃষিকাজকে
- শ্রমিকের কারখানায় কাজ করাকে
iii. মায়ের সন্তান পরিচর্যা করাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)
১৬.ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় যে মুনাফা অর্জিত হয় তা গ্রহণ করে কে?
ক) সরকারি ও পুঁজিপতি
খ) শ্রমিক ও রাষ্ট্র
গ) রাষ্ট্র পতি উদ্যোক্তা
ঘ) পুঁজিপতি ও উদ্যোক্তা
সঠিক উত্তর: (ঘ)
১৭.আন্তর্জাতিক সম্পদ ব্যবহারের ফলে মানুষের মাঝে কীসের উন্নতি সাধিত হয়?
ক) দৈনন্দিন জীবনের চাহিদার উন্নতি
খ) বিজ্ঞান, আবিষ্কার, প্রযুক্তি ও সভ্যতার উন্নতি
গ) চাহিদা ও অভাবের উন্নতি
ঘ) সরবরাহ এবং ব্যবহারের উন্নতি
সঠিক উত্তর: (খ)
১৮.সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক কার্যাবলির উদ্দেশ্য হলো –
- সকলের মর্যাদা আলাদা করা
- প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণ
iii. জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ সাধন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)
১৯.রাস্তাঘাত, রেলপথ, বাঁধ ইত্যাদি কেমন সম্পদ?
ক) ব্যক্তিগত
খ) পারিবারিক
গ) সমষ্টিগত
ঘ) রাজনৈতিক
সঠিক উত্তর: (গ)
২০.দেশের প্রয়োজনীয় মূলধন সংগৃহীত হলো –
- অভ্যন্তরীণ উৎস হতে
- ব্যক্তিগত পুঁজি হতে
iii. বৈদেশিক সাহায্য হতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)
২১.ইসলামী অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য সকল কার্যাবলি কীভাবে পরিচালিত হয়?
ক) শরীয়তের বিধান অনুযায়ী
খ) একটি কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার আওতায়
গ) পুঁজিবাদীদের ইচ্ছা অনুযায়ী
ঘ) শ্রমিকদের প্রয়োজন অনুসারে
সঠিক উত্তর: (ক)
২২.অভাব কী?
ক) কোনো বস্তু বা সেবা পাবার ইচ্ছা
খ) যে জিনিস নেই তা পাবার তীব্র আশা
গ) যা চাইলেও পাওয়া যায় না
ঘ) যা পেতে আশা প্রকাশ করা হয়
সঠিক উত্তর: (ক)
২৩.সম্পত্তি হস্তান্তরে কীসের প্রয়োজন পড়ে?
ক) মালিকের ক্ষমতা
খ) মূল বা দাম প্রদান
গ) সম্পত্তি গ্রহীতার উপযুক্ত অর্থ
ঘ) কিছু জরুরি কাগজপত্র ও দলিল
সঠিক উত্তর: (খ)
২৪.দেশের অধিকাংশ মূলধন ও সম্পদ একটি ক্ষুদ্র অংশের হাতে কেন্দ্রিভূত হয় কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়?
ক) সামন্ততান্ত্রিক
খ) সমাজতান্ত্রিক
গ) ইসলামিক
ঘ) ধনতান্ত্রিক
সঠিক উত্তর: (ঘ)
২৫.মোট উৎপাদিত সম্পদ থেকে প্রাপ্ত অর্থ কতটি উপাদানের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়?
ক) ছয়
খ) তিন
গ) চার
ঘ) পাঁচ
সঠিক উত্তর: (গ)
২৬.বিশ্বে বর্তমানে কয় ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে?
ক) তিন
খ) চার
গ) পাঁচ
ঘ) ছয়
সঠিক উত্তর: (খ)
২৭.ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সম্পদ বন্টনে কখন অসমতা ও বৈষশ্য সৃষ্টি হয়?
ক) শ্রমিককে বেশি মজুরি দিলে
খ) শ্রমিককে কম মজুরি দিলে
গ) শ্রমিককে প্রাপ্য মজুরি দিলে
ঘ) শ্রমিকের মজুরি সঠিক সময়ে দিলে
সঠিক উত্তর: (খ)
২৮.উৎপাদন কাজে নিয়োজিত অর্থকে কী বলা হয়?
ক) খরচ
খ) মূলধন
গ) সঞ্চয়
ঘ) বিনিয়োগ
সঠিক উত্তর: (ঘ)
২৯.কোনটিকে সামনে রেখে বর্তমান অর্থনীতিকে পরিচালনা করা হচ্ছে?
ক) শিল্প কারখানা বিরাষ্ট্রীয়করণ
খ) রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ সম্প্রসারণ
গ) শিল্প কারখানা সরকারিকরণ
ঘ) মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৩০.প্রাচীন বাংলা এবং ব্রিটিশ আমলেও এদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ছিল –
- সামন্ততান্ত্রিক
- ভূ-স্বামীকেন্দ্রিক
iii. ধনতান্ত্রিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)
৩১.ভূমির মালিক কোনটির সাহায্যে অভাব পূরণ করে?
ক) খাজনা
খ) মজুরি
গ) সংগঠন
ঘ) মুনাফা
সঠিক উত্তর: (ক)
৩২.সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় কীসের অভাব রয়েছে?
ক) দ্রব্যের উৎপাদন ব্যবস্থার
খ) উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজির
গ) সদিচ্ছা এবং জনগণের উন্নয়নের
ঘ) নিজ ইচ্ছামতো দ্রব্যসামগ্রী ভোগের
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৩৩.সম্পদকে কয় শ্রেণিতে ভাগ করা যায়?
ক) তিন
খ) চার
গ) পাঁচ
ঘ) ছয়
সঠিক উত্তর: (খ)
৩৪.কোন অর্থনৈতিক অর্থব্যবস্থায় কেউ বেকার থাকে না?
ক) ধনতান্ত্রিক
খ) সমাজতান্ত্রিক
গ) কল্যাণমূলক পুঁজিবাদ
ঘ) ইসলামী
সঠিক উত্তর: (খ)
৩৫.প্রকৃতি প্রদত্ত সম্পদের কীভাবে ব্যবহার হয়?
ক) গোপনে এবং এককভাবে
খ) কয়েকটি দেশের জন্য এবং সীমাবদ্ধ আয়তনে
গ) সকলের জন্য এবং উন্মুক্তভাবে
ঘ) সকলের জন্য সমানভাবে
সঠিক উত্তর: (গ)
৩৬.কোনো দ্রব্যের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে কী বলে?
ক) খরচ
খ) বিলাসিতা
গ) উপযোগ
ঘ) ভোগ
সঠিক উত্তর: (গ)
৩৭.পাকিস্তান আমলের শেষের দিকে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রাধান্য লাভ করে?
ক) জমিদারি
খ) সামন্ততান্ত্রিক
গ) ধনতান্ত্রিক
ঘ) ইসলামী
সঠিক উত্তর: (গ)
৩৮.জাতীয় সম্পদের উদাহরণ হচ্ছে –
- কলকারখানা ও নদ-নদী
- রেলপথ ও সরকারি হাসপাতাল
iii. নাগরিকের কর্মদক্ষতা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৩৯.কোন যুগে ভূস্বামীদেরকে জমিদার বলা হতো?
ক) সামন্ত যুগে
খ) প্রাচীন যুগে
গ) সম্রাট অশোকের শাসনামলে
ঘ) ব্রিটিশ শাসনামলে
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৪০.যে পদ্ধতি, প্রক্রিয়া এবং নিয়ম-নীতির আওতায় কোনো দেশের অর্থনীতি পরিচালিত হয় তাকে কী বলা হয়?
ক) অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান
খ) অর্থনৈতিক আওতা
গ) অর্থনৈতিক ব্যবহার
ঘ) অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৪১.পাকিস্তান আমলে কোন ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়?
ক) সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা
খ) ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা
গ) জমিদারি প্রথা
ঘ) নবাবি প্রথা
সঠিক উত্তর: (গ)
৪২.সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় শ্রমিকের মজুরি প্রদানের মূলনীতি কী?
ক) প্রত্যেক শ্রমিক একটি কাজ পাবে এবং সমান মজুরি পাবে
খ) প্রত্যেক শ্রমিক কাজের চেয়ে মজুরি কম পাবে
গ) প্রত্যেকে সমান মজুরি পাবে
ঘ) প্রত্যেকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাবে এবং কাজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাবে
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৪৩.সম্পদ অপচয় করলে আমাদের জীবনে কী ঘটবে?
ক) জীবন ধ্বংসের মুখে পড়বে
খ) চাহিদা দিন দিন হ্রাস পাবে
গ) অভাব ও চাহিদা বৃদ্ধি পাবে ঘ)
সম্পদের কোনো অভাব দেখা দিবে না
সঠিক উত্তর: (গ)
৪৪.হাসপাতাল কোন ধরনের সম্পদ?
ক) একক
খ) নিজস্ব
গ) জাতীয়
ঘ) ব্যক্তিগত
সঠিক উত্তর: (গ)
৪৫.দেশীয় মূলধন বা পুঁজি কোথা থেকে সংগৃহীত হয়?
ক) অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে
খ) বৈদেশিক সাহায্য থেকে
গ) ভূস্বামীদের থেকে
ঘ) বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে
সঠিক উত্তর: (ক)
৪৬.সম্পদ হিসেবে নিজস্ব দক্ষতা, প্রতিভা এগুলো –
- সহজে হস্তান্তর করা যায়
- হস্তান্তরযোগ্য নয়
iii. সকলের মাঝেই পাওয়া যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i
খ) ii
গ) iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)
৪৭.উৎপাদনের জন্য কয়টি উপাদান আবশ্যক?
ক) তিনটি
খ) চারটি
গ) পাঁচটি
ঘ) ছয়টি
সঠিক উত্তর: (খ)
৪৮.অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে –
- অর্থনৈতিক কার্যাবলির সমন্বয়ে
- অর্থনৈতিক বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর সমন্বয়ে
iii. উৎপাদনের সমন্বয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)
৪৯.কোন অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি তার সম্পদ স্বাধীনভাবে ভোগ ও হস্তান্তর করতে পারে?
ক) ধনতান্ত্রিক
খ) সমাজতান্ত্রিক
গ) কল্যাণমূলক
ঘ) ইসলামী
সঠিক উত্তর: (ক)
৫১.রাষ্ট্রীয় মালিকানা শিল্প কারখানা ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান লোকসানের কারণ –
- যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত না করা
- যুদ্ধকালীন সময়ে মানব সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি
iii. সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)
৫২.হস্তান্তরযোগ্যতা তখনই হবে যখন কোনো বস্তু –
- একজনের নিকট হতে আরেকজন পাবে
- এই পাওয়ার জন্য মূল্য বা দাম দিতে হবে
iii. সম্পদের ব্যবহার সঠিক থাকতে হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)
৫৩.সমষ্টিগত সম্পদ কাকে বলে?
ক) যে সম্পদ একজনে ব্যবহার করে
খ) যে সম্পদ পরিবারের সকলে ভোগ করে
গ) সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে যেসব সম্পদ ভোগ করে
ঘ) যে সম্পদের মালিক সকলে
সঠিক উত্তর: (গ)
৫৪.অভাব পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ কীরূপ?
ক) অপ্রতুল
খ) স্বাধীন
গ) অসীম
ঘ) প্রতুল
সঠিক উত্তর: (ক)
৫৫.দেশের সকল সম্পদকে এক কথায় কী বলে?
ক) ব্যক্তিগত সম্পদ
খ) সরকারি সম্পদ
গ) জাতীয় সম্পদ
ঘ) প্রাকৃতিক সম্পদ
সঠিক উত্তর: (গ)
৫৬.সাগর-মহাসাগর কোন ধরনের সম্পদ?
ক) ব্যক্তিগত
খ) জাতীয়
গ) আন্তর্জাতিক
ঘ) সমষ্টিগত
সঠিক উত্তর: (গ)
৫৭.যেকোনো দ্রব্য ক্রয় ও ভোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই – এটি কোন অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য?
ক) ধনতান্ত্রিক
খ) সমাজতান্ত্রিক
গ) পুঁজিবাদী
ঘ) ইসলামী
সঠিক উত্তর: (ক)
৫৮.স্বপন সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় বিশ্বাস করে। এক্ষেত্রে তার চাহিদা হবে –
- রাষ্ট্রীয় চাহিদা অনুযায়ী
- সামাজিক চাহিদা অনুযায়ী
iii. ভোক্তার চাহিদা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i
খ) ii
গ) iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)
৫৯.অবাধ প্রতিযোগিতা কোন অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য?
ক) ধনতন্ত্র
খ) সমাজতন্ত্র
গ) পুঁজিতন্ত্র
ঘ) ইসলামী
সঠিক উত্তর: (ক)
৬০.একটি বস্তুর দৃশ্যমানতাকে কী বলে?
ক) বাহ্যিকতা
খ) অস্তিত্ব
গ) ওজন
ঘ) ভোগ
সঠিক উত্তর: (ক)
৬১.জাতীয় সম্পদের প্রকৃতি ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে –
- দেশের উন্নতি
- দেশের সমৃদ্ধি
iii. দেশের গতি ও ধারণা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)
৬২.জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণ বলতে কী বুঝায়?
ক) ব্যক্তিগত সম্পদ ও সমষ্টিগত সম্পদ উভয়েরই সংরক্ষণ
খ) ব্যক্তিগত সম্পদ সংরক্ষণ
গ) সকল ধরনের সম্পদ সংরক্ষণ
ঘ) সকল প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ
সঠিক উত্তর: (ক)
৬৩.সম্পদ ব্যবহারের উদ্দেশ্য কী?
ক) সম্পদকে আরো বৃদ্ধি করা
খ) সম্পদকে কার্যকর এবং উপযুক্ত করা
গ) ব্যবহারের মাধ্যমে অভাব পূরণ করা
ঘ) সম্পদ নষ্ট না করা
সঠিক উত্তর: (গ)
৬৪.‘কবির প্রতিভা’ সম্পদ নয়। কারণ এতে নেই –
- উপযোগ
- বাহ্যিকতা
iii. হস্তান্তরযোগ্যতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)
৬৫.মিশ্র অর্থনীতিতে কীভাবে সম্পদ বা আয়ের বন্টন হয়?
ক) পুরোপুরি সুষ্ঠুভাবে
খ) সুস্থ পদ্ধতিতে
গ) আংশিক পদ্ধতিতে
ঘ) কাজের ভিত্তিতে
সঠিক উত্তর: (গ)
৬৭.বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার কোন ধরনের সম্পদ?
ক) ব্যক্তিগত
খ) সমষ্টিগত
গ) মাথাপিছু আয়
ঘ) আন্তর্জাতিক
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৬৮.উৎপাদনের প্রকৃতি ও পরিমাণ এবং ক্রেতার ভোগকে কোনটি প্রভাবিত করে?
ক) উদ্যোক্তা
খ) রেমিটেন্স
গ) দ্রব্যের দাম
ঘ) ব্যবসায়িক সংগঠন
সঠিক উত্তর: (ক)
৬৯.বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈকি অবস্থা কোন প্রকৃতির?
ক) ধনতান্ত্রিক
খ) সমাজতান্ত্রিক
গ) মিশ্র
ঘ) পুঁজিবাদী
সঠিক উত্তর: (গ)
৭০.কোন অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণসমূহ সকল সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন?
ক) ধনতান্ত্রিক
খ) কল্যাণতান্ত্রিক
গ) সমাজতান্ত্রিক
ঘ) ইসলামী অর্থব্যবস্থায়
সঠিক উত্তর: (গ)
৭১.মিশ্র অর্থব্যবস্থায় বৃহদায়তন শিল্প কোন প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণাধীনে?
ক) সরকারি
খ) বেসরকারি
গ) ব্যক্তিগত
ঘ) সরকারি ও বেসরকারি
সঠিক উত্তর: (ক)
৭২.প্রাকৃতিক সম্পদ দ্বারা কীভাবে নতুন সম্পদ সৃষ্টি হয়?
ক) স্বয়ংক্রিয়ভাবে
খ) প্রাকৃতিক নিয়মে
গ) স্থানান্তর করে
ঘ) স্থানান্তর ও রূপান্তর করে
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৭৩.বাহ্যিকতা বলতে কোনো বস্তুর কোনটিকে বোঝায়?
ক) পরিবর্তনযোগ্যতা
খ) উপযোগিতা
গ) হস্তান্তরযোগ্যতা
ঘ) অদৃশ্যমানতা
সঠিক উত্তর: (খ)
৭৪.নওয়াব আব্দুল লতিফ ছিলেন একজন প্রভাবশালী জমিদার। তখন যে অর্থ ব্যবস্থা এ দেশে ছিল তাতে যে সময়ের বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায় –
- বাংলার প্রাচীন সময়ের
- বাংলার মুসলিম শাসনামলের
iii. বাংলার ইংরেজ শাসনামলের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৭৫.ইসলামী অর্থব্যবস্থায় উৎপাদিত পণ্য কী হতে হবে?
ক) খাঁটি
খ) উপকারি
গ) হালাল
ঘ) পরিচ্ছন্ন
সঠিক উত্তর: (গ)
৭৬.এক শিল্পোদ্যোক্তার একটি পোশাক তৈরির কারখানা আছে। চলতি বছরে সে আরও ৩০টি সেলাই মেশিন তার কারখানায় যুক্ত করল। এই নতুন ৩০টি মেশিন হলো –
- বিনিয়োগ
- বন্টন
iii. সঞ্চয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i
খ) ii
গ) iii
ঘ) i ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)
৭৭.স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়?
ক) সমাজতান্ত্রিক
খ) ধনতান্ত্রিক
গ) সামন্ত্রতান্ত্রিক
ঘ) ইসলামী
সঠিক উত্তর: (ক)
৭৮.নাগরিকের সকল সম্পদকে একত্রে কী সম্পদ বলে?
ক) জাতীয় সম্পদ
খ) ব্যক্তিগত সম্পদ
গ) সামষ্টিক সম্পদ
ঘ) নিজস্ব সম্পদ
সঠিক উত্তর: (ক)
৭৯.কোন সম্পদ অতিরিক্ত ব্যয় না করার ক্ষেত্রে ব্যক্তি সতর্ক থাকে?
ক) ব্যক্তিগত
খ) সমষ্টিগত
গ) জাতীয়
ঘ) মালিকানাধীন
সঠিক উত্তর: (ক)
৮০.উৎপাদন কী?
ক) একটা জিনিস থেকে হুবহু আরেকটা জিনিস তৈরি
খ) কোনো জিনিসের রূপের পরিবর্তন ঘটানো
গ) ভোগের জন্য দ্রব্যের সংখ্যা বৃদ্ধি করা
ঘ) দ্রব্য বা সম্পদের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর
সঠিক উত্তর: (ঘ)
* উদ্ধৃত অংশটুকু পড় এবং নিচের ৩টি প্রশ্নের উত্তর দাও:
শামিম প্রতিদিন সকালে জাল দিয়ে নদীতে মাছ ধরে। এ কাজে তার মহাজন তাকে নিয়োগ দেয়।
৮১.শামিমের কাজে ভূমি হলো –
- মাছ
- নদী
iii. জাল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i
খ) ii
গ) iii
ঘ) ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৮২.উৎপাদনের ক্ষেত্রে শামিমের জালটিকে কী বলে?
ক) ভূমি
খ) শ্রম
গ) মূলধন
ঘ) মজুরি
সঠিক উত্তর: (ক)
৮৩.শামিম এ কাজের বিনিময়ে পায় –
ক) মূলধন
খ) মুনাফা
গ) মজুরি
ঘ) খাজনা
সঠিক উত্তর: (গ)
Download From Google Drive
Download
আরো পড়ুনঃ-
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় প্রথম অধ্যায় বহুনির্বাচনি ও জ্ঞান মূলক প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় দ্বিতীয় অধ্যায় বহুনির্বাচনি ও জ্ঞান মূলক প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় তৃতীয় অধ্যায় বহুনির্বাচনি ও জ্ঞান মূলক প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় চতুর্থ অধ্যায় বহুনির্বাচনি ও জ্ঞান মূলক প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পঞ্চম অধ্যায় বহুনির্বাচনি ও জ্ঞান মূলক প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-ষষ্ঠ বহুনির্বাচনি ও জ্ঞান মূলক প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সপ্তম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অষ্টম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় নবম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় দশম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় একাদশ অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর অধ্যায়-১২
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর অধ্যায়-১৩
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর অধ্যায়-১৪
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর অধ্যায়-১৫