নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় দশম অধ্যায় সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর

0
340

নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় দশম অধ্যায়

সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর

অধ্যায় – ১০: জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ

১.জাতিসংঘের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো –

  1. আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করা
  2. কোনো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ও রাষ্ট্রপ্রধানকে ক্ষমতাচ্যুত করা

iii. কারো মৌলিক অধিকার রক্ষা করার ব্যবস্থা করা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i

খ) ii

গ) iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (ক)

২.বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাধারণ পরিষদে কততম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন?

ক) ৪০

খ) ৪১

গ) ৪২

ঘ) ৪৩

সঠিক উত্তর: (খ)

৩.সিডও সনদ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে কত সালে গৃহীত হয়?

ক) ১৯৮০

খ) ১৯৮৫

গ) ১৯৭৯

ঘ) ১৯৯৫

সঠিক উত্তর: (গ)

৪.প্রতিবছর কত তারিখে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়?

ক) ২৫ নভেম্বর

খ) ২৮ নভেম্বর

গ) ১০ জানুয়ারি

ঘ) ২০ মার্চ

সঠিক উত্তর: (ক)

৫.১৯৪৫ সালের দিকে একটি কার্যকরী আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে কেন?

ক) বিশ্ব অর্থনীতি সচল করার জন্য

খ) বিশ্ব অর্থনীতি নির্বিঘ্ন করার জন্য

গ) বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য

ঘ) যেকোনো যুদ্ধ মোকাবেলা করার জন্য

সঠিক উত্তর: (গ)

৬.কত সালে প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়?

ক) ১৯৬২

খ) ১৯৭৫

গ) ১৯৮০

ঘ) ১৯৮৫

সঠিক উত্তর: (খ)

৭.তৃতীয় ও চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন কত বছর ব্যবধানে অনুষ্ঠিত হয়?

ক) ৫ বছর

খ) ৮ বছর

গ) ১০ বছর

ঘ) ১৫ বছর

সঠিক উত্তর: (গ)

৮.জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী জাতিসংঘের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হলো –

  1. শান্তি ভঙ্গের হুমকি ও আক্রমণাত্মক প্রবণতা দূর করা
  2. আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

iii. মানবাধিকার রক্ষা করা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) ii ও iii

গ) i ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (ঘ)

৯.বেইজিং প্লাস ফাইভ সম্মেলন কত সালে অনুষ্ঠিত হয়?

ক) ২০০৫

খ) ২০০৬

গ) ২০০০

ঘ) ২০০৪

সঠিক উত্তর: (গ)

১০.বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিশ্চিত করণে জাতিসংঘের কোন সংস্থা কাজ করছে?

ক) ইউনিসেফ

খ) ইউএন ডিপি

গ) ইউনিফেম

ঘ) এফএও

সঠিক উত্তর: (ঘ)

১১.জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গসংস্থা –

  1. নিরাপত্তা পরিষদ
  2. অছি পরিষদ

iii. তত্ত্বাবধায়ক পরিষদ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) ii ও iii

গ) i ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (ক)

১২.সিডও সনদের কোন ধারায় নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ করার উপায় ব্যাখ্যা করে?

ক) প্রথম ১৪টি ধারা

খ) শেষের ১৪টি ধারা

গ) প্রথম ১৬টি ধারা

ঘ) শেষের ১৬টি ধারা

সঠিক উত্তর: (খ)

১৩.কোনো নতুন রাষ্ট্র যদি জাতিসংঘের সদস্য হতে চায় তাহলে শান্তিকামী হওয়ার পাশাপাশি কোনটি আবশ্যক?

ক) জনবহুল রাষ্ট্র হতে হবে

খ) জাতিসংঘের আইন-কানুন মেনে চলার অঙ্গীকার

গ) নিয়মিত পর্যাপ্ত চাঁদা প্রদান করতে হবে

ঘ) নিয়মিত জাতিসংঘ দিবস পারন করতে হবে

সঠিক উত্তর: (খ)

১৪.কোন দেশে একটি সড়কের নাম দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সড়ক?

ক) সিয়েরালিওন

খ) আইভরিকোস্ট

গ) উগান্ডা

ঘ) ভারত

সঠিক উত্তর: (খ)

১৫.সিডও সনদ সমর্থনকারী দেশ মানতে বাধ্য। কারণ –

  1. প্রতিটি দেশে এটি সংসদে আইন করে পাস করানো হয়েছে
  2. আইনগত পদ্ধতিতে এ অধিকারগুলো ম্যান্ডেটভুক্ত করা হয়েছে

iii. এ আইন না মানলে সে দেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i

খ) ii

গ) iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (খ)

১৬.কোন পরিষদকে জাতিসংঘের বিতর্ক সভা বলে অভিহিত করা যায়?

ক) সাধারণ পরিষদ

খ) নিরাপত্তা পরিষদ

গ) অছি পরিষদ

ঘ) আন্তর্জাতিক পরিষদ

সঠিক উত্তর: (ক)

১৭.জাতিসংগের অছি পরিষদের কাজের পরিধি কী?

ক) যেকোনো আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান করা

খ) রাষ্ট্রীয় দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা ও মীমাংসা করা

গ) স্বাধীনতা অর্জন করে নি এরূপ এলাকার তত্ত্বাবধায়ন করা

ঘ) যেকোনো যুদ্ধ ঠেকানোর কাজ করা

সঠিক উত্তর: (গ)

১৮.সিডও-তে কতটি ধারা আছে?

ক) ২৫টি

খ) ৩০টি

গ) ৩৫টি

ঘ) ৪০টি

সঠিক উত্তর: (খ)

১৯.জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য –

  1. ইউনিসেফ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির উন্নয়ন করে
  2. ‘হু’ স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করে

iii. ‘ফাও’ খাদ্য ও কৃষির উন্নয়নে কাজ করে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) ii ও iii

গ) i ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (খ)

২০.প্রতিবছর ২৪ অক্টোবর কী দিবস পালন করা হয়?

ক) জাতিসংঘ দিবস

খ) কমনওয়েলথ দিবস

গ) জাতিপুঞ্জ দিবস

ঘ) ওআইসি দিবস

সঠিক উত্তর: (ক)

২১.বিশ্ব নারী দিবস কোনটি?

ক) ১৭ নভেম্বর

খ) ২৫ নভেম্বর

গ) ৮ মার্চ

ঘ) ১০ ডিসেম্বর

সঠিক উত্তর: (গ)

২২.সিডও সনদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্য হলো –

  1. নারী ও পুরুষের সমতার নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি
  2. নারীর মানবাধিকারের বিষয়টি উল্লেখ আছে

iii. নারীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্বকে নিশ্চিত করে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) ii ও iii

গ) i ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (ঘ)

২৩.জাতিসংঘের মহাসচিবরা এ পর্যন্ত কতবার বাংলাদেশ সফর করে গেছেন?

ক) ৪ বার

খ) ৫ বার

গ) ৬ বার

ঘ) ৭ বার

সঠিক উত্তর: (খ)

২৪.দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয় কখন?

ক) ১৯২০-১৯২৫

খ) ১৯২৯-১৯৩৩

গ) ১৯৩৯-১৯৪৫

ঘ) ১৯৪৯-১৯৫২

সঠিক উত্তর: (গ)

২৫.বিশ্বশান্তি ভঙ্গের হুমকি দেখা দিলে সম্ভাবনা দেখা দেয় –

  1. বিশ্বযুদ্ধের
  2. রাজনৈতিক সমস্যার

iii. গৃহযুদ্ধের

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i

খ) ii

গ) iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (ক)

২৬.সিডও সনদ ১৯৭৯ সালের কোন মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়?

ক) জানুয়ারি

খ) ফেব্রুয়ারি

গ) নভেম্বর

ঘ) ডিসেম্বর

সঠিক উত্তর: (ঘ)

২৭.জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র সমন্বয়ে কোন পরিষদ গঠিত?

ক) সাধারণ পরিষদ

খ) নিরাপত্তা পরিষদ

গ) তত্ত্বাবধায়ক পরিষদ

ঘ) আন্তর্জাতিক পরিষদ

সঠিক উত্তর: (ক)

২৮.আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষী বাহিনীর হয়ে কাজ করে বাংলাদেশি সৈন্যরা পেয়েছে স্থানীয় মানুষের –

  1. শ্রদ্ধা
  2. ভালোবাসা

iii. ঘৃণা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) ii ও iii

গ) i ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (ক)

২৯.জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য দেশ কতটি?

ক) ৫টি             খ) ১০টি

গ) ১৫টি

ঘ) ২০টি

সঠিক উত্তর: (খ)

৩০.জাতিসংঘ সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তার ভূমিকা পালন করতে পারলে –

  1. আগামী বিশ্ব বিপদমুক্ত থাকবে
  2. সুন্দর একটি বিশ্ব গড়ে তুলতে সক্ষম হবে

iii. মানবাধিকার সুসংহত হবে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i

খ) ii

গ) i ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (ক)

৩১.বিশ্বব্যাপী শরনার্থীদের জন্য কাজ করে –

  1. WHO
  2. FAO

iii. UNHCR

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i

খ) ii

গ) iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (গ)

৩২.১৯৪৯ সালে জাতিসংঘ সনদে অনুমোদন পায় –

  1. মানুষ পাচার দমন
  2. পতিতাবৃত্তির অবসান

iii. নারী কর্মসংস্থানে বৈষম্য বিলোপ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) ii ও iii

গ) i ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (ক)

৩৩.প্রতিবচর কত তারিখে জাতিসংঘ দিবস পালন করা হয়?

ক) ২৪ জানুয়ারি

খ) ২৪ মার্চ

গ) ২৪ অক্টোবর

ঘ) ২৪ নভেম্বর

সঠিক উত্তর: (গ)

৩৪.জাতিসংঘের সদর দফতর কোন দেশে অবস্থিত?

ক) কানাডা

খ) ফ্রান্স

গ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

ঘ) ইতালি

সঠিক উত্তর: (গ)

৩৫.জাতিসংঘ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

ক) ১৯৪৪ সালের ১০ জানুয়ারি

খ) ১৯৪৪ সালের ২৪ অক্টোবর

গ) ১৯২১ সালের ১০ জানুয়ারি

ঘ) ১৯২২ সালের ১০ জানুয়ারি

সঠিক উত্তর: (খ)

৩৬.বর্তমানে বিশ্বের কতটি দেশে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ কাজ করছে?

ক) ১০টি

খ) ১১টি

গ) ১২টি

ঘ) ১৩টি

সঠিক উত্তর: (খ)

৩৭.উত্তর সুদান ও দক্ষিণ সুদানের সীমানা সংক্রান্ত সমস্যা নিরসন করতে পারে জাতিসংঘের কোন সংস্থা?

ক) সাধারণ পরিষদ

খ) নিরাপত্তা পরিষদ

গ) প্রশাসনিক বিভাগ

ঘ) আন্তর্জাতিক বিচারালয়

সঠিক উত্তর: (ঘ)

৩৮.জাতিসংঘের সেক্রেটারিয়েট মূলত কী?

ক) প্রশাসনিক বিভাগ

খ) নিরাপত্তা বিভাগ

গ) সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভাগ

ঘ) অছি পরিষদ

সঠিক উত্তর: (ক)

৩৯.জাতিসংঘের কয়টি অঙ্গ সংস্থা রয়েছে?

ক) ৩টি

খ) ৪টি

গ) ৫টি

ঘ) ৬টি

সঠিক উত্তর: (গ)

৪০.জাতিসংঘের কোন শাখার মাধ্যমে বিশ্বশান্তি, সহযোগিতা ও যোগাযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ সম্পাদিত হয়?

ক) সাধারণ পরিষদ

খ) নিরাপত্তা পরিষদ

গ) সেক্রেটারিয়েট

ঘ) অছি পরিষদ

সঠিক উত্তর: (ক)

৪১.ইউনিসেফ কী?

ক) জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি

খ) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

গ) জাতিসংঘ শিশু তহবিল

ঘ) জাতিসংঘ নারী উন্নয়ন তহবিল

সঠিক উত্তর: (গ)

৪২.বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের কোন সংস্থা কাজ করছে?

ক) FAO

খ) UNICEF

গ) WHO

ঘ) UNDP

সঠিক উত্তর: (ক)

৪৩.জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করে কীভাবে?

ক) আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে

খ) জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে

গ) বিরোধের সাহায্যে

ঘ) সামাজিক অবস্থার সাহায্যে

সঠিক উত্তর: (ক)

৪৪.‘লীগ অব নেশনস’ – এর ব্যর্থতার কারণ কী?

ক) সাংগঠনিক দুর্বলতা

খ) যোগ্য নেতার অভাব

গ) দূরদর্শিতার অভাব

ঘ) ক্ষমতা প্রয়োগের অভাব

সঠিক উত্তর: (ক)

৪৫.উন্নত দেশগুলো চাঁদা দিয়ে জাতিসংঘে অবদান রাখছে আর বাংলাদেশ ভূমিকা রাখছে –

  1. শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ করে
  2. শান্তি মিশনে জীবন বিসর্জন দিয়ে

iii. দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দিয়ে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) ii ও iii

গ) i ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (ক)

৪৬.প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপরই কোন সংগঠনের জন্ম হয়?

ক) ওআইসি

খ) ন্যাম

গ) লীগ অব নেশনস

ঘ) ইউনাইটেড নেশনস

সঠিক উত্তর: (গ)

৪৭.স্বাধীনতা পায়নি এরূপ এলাকার তত্ত্বাবধানের জন্য জাতিসংঘের কোন পরিষদ গঠিত?

ক) সামাজিক পরিষদ

খ) নিরাপত্তা পরিষদ

গ) অছি পরিষদ

ঘ) সাধারণ পরিষদ

সঠিক উত্তর: (গ)

৪৮.দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কীভাবে বিশ্ব বিবেককে আতঙ্কিত করে তোলে?

ক) দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ভয়াবহতা

খ) ধ্বংসলীলায়

গ) নিরাপত্তায়

ঘ) সংকট নিরসনে

সঠিক উত্তর: (ক)

৪৯.বাংলাদেশ কীভাবে জাতিসংঘে অবদান রাখছে?

ক) প্রাকৃতিক সম্পদ দিয়ে

খ) বিশাল জনগোষ্ঠী দিয়ে

গ) প্রযুক্তি দিয়ে

ঘ) শান্তিরক্ষী বাহিনী দিয়ে

সঠিক উত্তর: (ঘ)

৫০.দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রমাণিত হয় –

  1. লীগ অব নেশনস-এর দুর্বলতা
  2. লীগ অব নেশনস-এর ভুল সিদ্ধান্ত

iii. মানুষের অসভ্যতা এবং হিংসা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i

খ) ii

গ) iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (ক)

৫১.জাতিসংঘ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি বৃন্দ –

  1. ব্রিটেনের
  2. ফ্রান্সের

iii. রাশিয়ার

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) ii ও iii

গ) i ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (ঘ)

৫২.হেগ শহর কোথায়?

ক) আমেরিকায়

খ) ব্রিটেনে

গ) নেদারল্যান্ডে

ঘ) নিউজিল্যান্ডে

সঠিক উত্তর: (গ)

৫৩.১৯৯৩ সালে অস্ট্রিয়ার ভিযেনায় অনুষ্ঠিত নারী সম্মেলনের ফলাফল ছিল –

  1. নারীর অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দান
  2. নারীকে যেকোনো স্থানে যেতে অধিকার প্রদান

iii. নারীদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ও রেজিস্ট্রেশন ফরম নির্ধারণ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i

খ) ii

গ) iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (ক)

৫৪.যুদ্ধ বয়ে আনে মানব জাতির জন্য অবর্ণনীয় –

  1. দুর্যোগ
  2. দুর্ভোগ

iii. অশান্তি

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) ii ও iii

গ) i ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (খ)

৫৫.বাংলাদেশে ইউএনডিপির মিলেনিয়াম উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা কতটি?

ক) ৬টি

খ) ৭টি

গ) ৮টি

ঘ) ৯টি

সঠিক উত্তর: (গ)

৫৬.ডিসেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশি সৈন্য বিশ্ব শান্তির জন্য শহিদ হয়েছেন?

ক) ৮৭ জন

খ) ৮৮ জন

গ) ৯৮ জন

ঘ) ১৮৮ জন

সঠিক উত্তর: (খ)

৫৭.পৃথিবীতে কয়টি বড় যুদ্ধ হয়েছে?

ক) একটি

খ) দুইটি

গ) তিনটি

ঘ) চারটি

সঠিক উত্তর: (খ)

৫৮.কোন যুদ্ধের ফলে জাতিসংঘের জন্ম হয়?

ক) প্রথম বিশ্বযুদ্ধের

খ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের

গ) ইরাক-ইরান যুদ্ধের

ঘ) ভিয়েতনাম যুদ্ধের

সঠিক উত্তর: (খ)

৫৯.১৯৪১-১৯১৯ সাল পর্যন্ত কোন যুদ্ধ সংঘটিত হয়?

ক) প্রথম বিশ্বযুদ্ধ

খ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

গ) উপসাগরীয় যুদ্ধ

ঘ) পাক-ভারত যুদ্ধ

সঠিক উত্তর: (ক)

৬০.ইউনিসেফ কাজ করছে কাদের জন্য?

ক) সুবিধাবঞ্চিম শিশুদের জন্য

খ) খাদ্যের জন্য              গ) কৃষির উন্নয়নের জন্য

ঘ) নারীদের নিরাপদ শ্রমের জন্য

সঠিক উত্তর: (ক)

৬১.বাংলাদেশে UNICEF – এর কার্যক্রম হলো –

  1. নিরক্ষরতা দূরীকরণ
  2. প্রতিরোধমূলক ওষুধ সরবরাহ

iii. বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) ii ও iii

গ) i ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (গ)

৬২.জাতিসংঘের কতজন মহাসচিব এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করেছেন?

ক) ২

খ) ৩

গ) ৪

ঘ) ৫

সঠিক উত্তর: (গ)

৬৩.কোনটি জাতিসংঘের প্রশাসনিক বিভাগ?

ক) মানবাধিকার

খ) সেক্রেটারিয়েট

গ) সদর দপ্তর

ঘ) কার্যকরী সভা

সঠিক উত্তর: (খ)

৬৪.জাতিসংঘের কোনো প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে কতটি সদস্য রাষ্ট্রের?

ক) চারটি

খ) পাঁচটি

গ) আটটি

ঘ) দশটি

সঠিক উত্তর: (খ)

৬৫.‘নারী বছর’ কোনটি?

ক) ১৯৬২

খ) ১৯৭৫

গ) ১৯৭৯

ঘ) ১৯৮৫

সঠিক উত্তর: (খ)

৬৬.কোন দেশগুলোতে বাংলাদেশি সৈন্যদের সাফল্য জাতিসংঘে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতাকে বৃদ্ধি করেছে?

ক) আমেরিকার

খ) এশিয়ার

গ) আফ্রিকার

ঘ) মধ্যপ্রাচ্যের

সঠিক উত্তর: (গ)

৬৭.১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কী ঘোষণা করে?

ক) মানবাধিকার দলিল

খ) নারী চিত্রের বিশ্বরূপ

গ) নারীর অধিকার ঘোষণাপত্র

ঘ) মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র

সঠিক উত্তর: (ঘ)

৬৮.জাতিসংঘ গঠনের লক্ষ্যে ১৯৪৩ সালে কোথায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়?

ক) লন্ডন ও প্যারিস

খ) রোম ও অটোয়া

গ) ব্রাসেলস ও কায়রো

ঘ) তেহরান ও মস্কো

সঠিক উত্তর: (ঘ)

* উদ্ধৃত অংশটুকু পড় এবং নিচের ২টি প্রশ্নের উত্তর দাও:

পাড়ার ছেলেরা এলাকায় দ্বন্ধকলহ নিরসনে একটি ‘শান্তি ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু ক্লাবটি ঠিকমতো কাজ করতে পারছিল না। অবশেষে আশপাশের সবগুলো পাড়াকে নিয়ে পুরো গ্রাম ব্যাপী ‘গ্রাম শান্তি পরিষদ’ গঠন করে। এতে করে পুরো গ্রামে শান্তির সুবাতাস বইতে থাকে।

৬৯.‘গ্রাম শান্তি পরিষদ’ কোন বিশ্ব সংস্থার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?

ক) FAO

খ) জাতিসংঘ

গ) OIC

ঘ) WHO

সঠিক উত্তর: (খ)

৭০.উক্ত সংস্থা গঠনের উদ্দেশ্য হলো –

  1. বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
  2. জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা

iii. নারীদের সর্বোচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) ii ও iii

গ) i ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: (ক)

 

 

 

 

নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-দশম

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- ১  জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা

মাহি বাংলাদেশের সৈনিকদের নিয়ে নির্মিত একটি প্রতিবেদনের অংশবিশেষ দেখার সুযোগ পায়। সেখানে বলা হয়, আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন অংশে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি ও দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে এ পর্যন্ত ৮৮ জন বাংলাদেশি সৈন্য শহিদ হন। মাহি তার বাবার নিকট জানতে চায় বাংলাদেশ এখনও কোনো দেশের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে কিনা। বাবা তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন।

ক.কোন দেশের একটি সড়কের নাম ‘বাংলাদেশ সড়ক’? ১

খ.নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে সিডও সনদের গুরুত্ব বর্ণনা কর।    ২

গ.উদ্দীপকে যে বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.উক্ত ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নানাভাবে লাভবান হচ্ছে  তুমি কী এর সাথে একমত?       ৪

উত্তরঃ- ক আইভরিকোস্টে একটি অন্যতম ব্যস্ত সড়কের নাম ‘বাংলাদেশ সড়ক’।

উত্তরঃ- খ নারী ও পুরুষের সমতার নীতির ওপর ভিত্তি করে সিডও সনদটি তৈরি করা হয়। নারীর মানবাধিকারের বিষয়টি এখানে উঠে এসেছে। এই সনদে স্বীকার করা হয় যে, বিভিন্ন দেশে নারীর আইনগত অধিকার বলবৎ থাকলেও বৈষম্য রয়েছে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নারীর অধিকার খর্ব করার মাধ্যমেই তা করা হয়ে থাকে। তাই এ সনদ নারীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্বকে নিশ্চিত করে। এই সনদের ৩০টি ধারার মধ্যে ১৬টি ধারা বৈষম্য বিশ্লেষণ এবং ১৪টি ধারা বৈষম্য বিলোপের উপায় সংক্রান্ত।

উত্তরঃ- গ উদ্দীপকে জাতিসংঘে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। আর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা হয়েছে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই। তাই স্বভাবতই জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনগুলোতে বাংলাদেশের অবদান ঈর্ষর্ণীয়। বর্তমানে প্রায় ১১,০০০ এর বেশি বাংলাদেশি সৈন্য বিশ্বের ১১টি দেশে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘের শান্তি মিশন সহজ ছিল না। আফ্রিকা, এশিয়ার দেশগুলোতে যুদ্ধংদেহী দুই বা ততোধিক সশস্ত্র গেরিলা গোষ্ঠীর মাঝে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশি সৈন্যরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে অস্ত্র বিরতি পর্যবেক্ষণ করেছে, শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করেছে। এ কাজে এখন পর্যন্ত ৮৮ জন সৈন্য বিশ্বশান্তির জন্য শহিদ হয়েছেন, আহত হয়েছে অনেকে। উদ্দীপকে মাহি প্রতিবেদনে এ বিষয়টিই লক্ষ করেছে। মূলত বাংলাদেশি সৈন্যরা প্রমাণ করেছে শান্তির জন্য তারা জীবন দিতে ও রাজি।

উত্তরঃ-ঘ হ্যাঁ, আমি মনে করি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগের অন্যরা বিশ্বশান্তি রক্ষী বাহিনীতে কাজ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নানাভাবে লাভবান হচ্ছে। বিশ্বশান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা গৌরোবজ্জ্বল। এক্ষেত্রে আমাদের প্রাপ্তিও অনেক। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনীর এককথায় শান্তিরক্ষা বাহিনী তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে এমনকি প্রাণ বিসর্জন দিয়ে দেশের মর্যাদা, গৌরব বৃদ্ধি করছে এবং বিশ্বশান্তিতে রেখেছে এক নজিরবিহীন অনন্য অবদান। আবার অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্র বিশাল জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশ বেশ লাভবানও হচ্ছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশি সৈন্যদের অভূতপূর্ব সাফল্য সেই দেশগুলোতে তথা সারাবিশ্বে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতাকে অনেক বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ পেয়েছে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি। বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার মডেল হিসেবে এবং শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছে। আফ্রিকার এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের কারণে অন্যান্য দেশের সৈন্যরা যেখানে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছিল না সেখানে বাংলাদেশি সৈন্যরা শুধু গ্রহণযোগ্যতা নয়, পেয়েছে স্থানীয় মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা। সিরেয়ালিওনে বাংলা ভাষা পেয়েছে সেই দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। আইভরিকোস্ট অন্যতম ব্যস্ত সড়কের নাম হয়েছে ‘বাংলাদেশ সড়ক’। সুতরাং, বিশ্বশান্তি রক্ষার দ্বারা বাংলাদেশ নানাভাবে লাভবান হচ্ছে- তা একবাক্যে বলা যায়।

প্রশ্ন- ২  জাতিসংঘ গঠন ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যক্রম

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত তিন্নির বাবা একটি বিশেষ সংস্থার অধীনে লিবিয়াতে কর্মরত ছিলেন। দেশে ফিরে তিনি তার কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, উক্ত সংস্থা বিভিন্ন ধরনের সৃষ্টিশীল উদ্যোগের পাশাপাশি নারীদের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ক.বিশ্ব নারী দিবস কোন তারিখে পালন করা হয়? ১

খ.স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। ২

গ.উদ্দীপকে বর্ণিত সংস্থাটির গঠন ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.“বাংলাদেশে উক্ত সংস্থার বহুমুখী কার্যক্রম রয়েছে”  উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪

উত্তরঃ- ক ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস পালন করা হয়।

উত্তরঃ- খ স্থানীয় প্রশাসন বলতে স্থানীয় পর্যায়ের বিভাগীয় জেলা এবং উপজেলা শাসনব্যবস্থাকে বুঝায়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, রাজস্ব আদায় ও সরকারি সিদ্ধান্ত ইত্যাদি কাজ সম্পাদন করে থাকে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্থানীয় প্রশাসনের ফলে বিভাগ, জেলা, উপজেলার সাথে কেন্দ্রের সংযোগ স্থাপন হয়। সুতরাং স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয়তা অধ্যধিক।

উত্তরঃ- গ উদ্দীপকে বর্ণিত সংস্থাটি জাতিসংঘ। উদ্দীপকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য তিন্নির বাবা জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে লিবিয়ায় কর্মরত ছিলেন। পাঁচটি প্রধান অঙ্গ এবং একটি সেক্রেটারিয়েট নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত। এ পাঁচটি অঙ্গ হচ্ছে : সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, অছি পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক বিচারালয় বা আদালত। জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত। নিরাপত্তা পরিষদ হচ্ছে জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী পরিষদ। ৫টি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী সদস্যসহ মোট ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে এটি গঠিত। অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কাজ হচ্ছে সদস্য দেশগুলোর উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করা। স্বাধীনতা প্রাপ্ত নয়-এরূপ বিশেষ এলাকার তত্ত্বাবধানের জন্য অছি পরিষদ গঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিবাদ মীমাংসা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের কাজ। আর সেক্রেটারিয়েট হচ্ছে জাতিসংঘের প্রশাসনিক বিভাগ।

উত্তরঃ- ঘ বাংলাদেশে উক্ত সংস্থা তথা জাতিসংঘের বহুমুখী কার্যক্রম রয়েছে। প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ সত্যবলে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশে জাতিসংঘের সবকটি অঙ্গ সংস্থার মিশন আছে। জাতিসংঘের সবকটি অঙ্গ সংস্থা শুরু থেকেই বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে নানামুখী কার্যক্রম চালাচ্ছে। যেমন :বাংলাদেশের আর্থিক ও সামাজিক অর্থাৎ আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ইউএনডিপি দেশব্যাপী অসংখ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও মেয়ে শিশুদের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিশেষত শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিসেফ কাজ করছে। বাংলাদেশের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি উন্নয়নের লক্ষ্যে সংস্থাটি কাজ করছে। তাছাড়া এ দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা কাজ করছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। বাংলাদেশ-মায়ানমার রোহিংগা ইস্যুতে কার্যালয় মধ্যস্থতা করছে। ইউনিফেম বাংলাদেশে নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করছে এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা কার্যক্রম তহবিল (টঘঋচঅ) এই সংস্থাটি বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিস্থিতি উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কাজেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে জাতিসংঘের বহুমুখী কার্যাবলি খুবই প্রশংসনীয়। তাই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রশ্ন- ৩ জাতিসংঘ গঠন ও জাতিসংঘ নারী উন্নয়ন তহবিল

চিত্র : চিত্রে জাতিসংঘের একটি প্রধান অঙ্গ এবং একটি অঙ্গ সংস্থার উল্লেখ রয়েছে

ক.প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?  ১

খ.মানবাধিকার ছাড়া কোনো মানুষ পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না”। উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। ২

গ.ক’ চিহ্নিত চিত্রে জাতিসংঘের কোন অঙ্গটির উল্লেখ রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ‘খ’ চিহ্নিত অঙ্গ সংস্থাটির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে”। উক্তিটির সাথে তুমি কি একমত? বিশ্লেষণ কর। ৪

উত্তরঃ- ক প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলন মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হয়।

উত্তরঃ- খ মানবাধিকার হলো প্রত্যেক মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সুযোগ-সুবিধার অধিকার। মানবাধিকার মানুষের সম্মান ও অধিকার রক্ষা করে। সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করে। মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হলে জাতিতে জাতিতে যুদ্ধ ও ধ্বংসলীলা সৃষ্টি হবে। তাই বলা যায়, মানবাধিকার ছাড়া কোনো মানুষ পূর্ণাঙ্গভাবে বিকশিত হতে পারে না।

উত্তরঃ- গ ‘ক’ চিহ্নিত চিত্রে জাতিসংঘের প্রধান একটি অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদের উল্লেখ রয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদ হচ্ছে জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরি পরিষদ। ৫টি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী মোট ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে এটি গঠিত। ৫টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হচ্ছে : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন। এদের প্রত্যেকের ‘ভেটো’ প্রদান বা কোনো প্রস্তাব নাকচ করে দেয়ার ক্ষমতা আছে। ‘ক’ চিহ্নিত চিত্রে ফ্রান্স একটি স্থায়ী সদস্য বলে এ নিরাপত্তা পরিষদকেই নির্দেশ করা হয়েছে।

উত্তরঃ- ঘ নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ‘খ’ চিহ্নিত অঙ্গ সংস্থা তথা ইউনিফেমের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। জাতিসংঘ নারী উন্নয়ন তহবিল বা ইউনিফেম নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় তৎপর। সংস্থাটি উন্নয়নকামী দেশের নারীদের নিরাপদে অন্য দেশে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করে চলেছে। উদ্দীপকে ‘খ’ চিহ্নিত চিত্রে তা উল্লিখিত হয়েছে। বস্তুত নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে সংস্থাটি প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখে। নারীর ক্ষমতায়ন বলতে আমরা যখন সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ এবং মতামত ও অবদান রাখার ক্ষমতাকে বুঝব, তখন ইউনিফেমের গুরুত্ব স্বীকার করতেই হয়। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশে নারীদের উন্নয়নে ইউনিফেম নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছে। যাতে তারা সমাজে অবদান রাখতে পারে। ফলশ্রুতিতে নারীর ক্ষমতায়ন ঘটে। এদেশে ইউনিফেম নারীদের বিভিন্ন অধিকার আদায় এবং অর্থনৈতিক কর্মকা   র সাথে সংশ্লিষ্ট করছে। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন ঘটছে। উপরন্তু তারা নারীদের নিরাপদ শ্রম অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করছে। ইউনিফেমের এই সার্বিক কর্মকাÊ প্রকারান্তরে নারীর ক্ষমতায়ন ঘটাচ্ছে। তাই প্রশ্নোক্ত উক্তিটির এর সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।

প্রশ্ন- ৪  বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের ভূমিকা

জাইমা তার বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ক্লাসে শিক্ষকের আলোচনায় জানতে পারল একটি বিশ্বসংস্থা ও তার আওতাভুক্ত বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থাগুলো বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার সংরক্ষণ ও বৃহৎ জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। স্যার আরও বলেছেন    বিশ্ব সংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

ক.দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় কত সালে?   ১

খ.লীগ অব নেশনস’ কেন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলÑ ব্যাখ্যা কর।২

গ.উদ্দীপকে যে বিশ্বসংস্থা ওতার অঙ্গ সংস্থাগুলোর কথা জাইম জেনেছে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম ব্যাখ্যা কর।   ৩

ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘বিশ্বসংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে’Ñ কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।  ৪

উত্তরঃ-  ক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১৯৩৯ সালে

উত্তরঃ- খ যুদ্ধের কারণে মানবজাতির অবর্ণনীয় দুর্ভোগ এবং অশান্তি সৃষ্টি হয়। এছাড়া সাধিত হয় ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপকতা এবং ধ্বংসলীলা মানুষকে যুদ্ধের প্রতি বীতশ্রদ্ধ এবং শান্তির জন্য আগ্রহী করে তোলে। এজন্যই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘লীগ অব নেশনস’।

উত্তরঃ- গ জাইমা যে বৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থার কথা জানতে পেরেছে তা হলো জাতিসংঘ এবং এই বৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থার অনেক অঙ্গ সংস্থাই বাংলাদেশে কাজ করছে। জাতিসংঘের এই সব অঙ্গ সংস্থার মধ্যে টঘউচ, টঘওঈঊঋ, ঋঅঙ উল্লেখযোগ্য। উদ্দীপকে জাইকা এসব সংস্থার কার্যক্রমই জেনেছে।

১. জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপি (টঘউচ) : বাংলাদেশের আর্থিক ও সামাজিক অর্থাৎ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ইউএনডিপি দেশব্যাপী অসংখ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ইউএনডিপি মিলেনিয়াম উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এমডিজি) ৮টি।

২. জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ (টঘওঈঊঋ) :  দেশের সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও মেয়ে শিশুদের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিশেষত শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিসেফ কাজ করছে।

৩. জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা বা এফএও (ঋঅঙ) : বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা কাজ করছে।

এসব সংস্থা ছাড়াও জাতিসংঘ  টঘঊঝঈঙ, ডঐঙ, টঘঐঈজ, টঘওঋঊগ, টঘঋচঅ এর মাধমে বাংলাদেশে নানা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কাজেই আমরা দেখি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে জাতিসংঘের কার্যাবলি খুবই প্রশংসনীয়।

উত্তরঃ- ঘ উক্ত সংস্থাটি হচ্ছে জাতিসংঘ। বিশ্ব শান্তি রক্ষায় জাতিসংঘ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা অনুধাবন করে বিশ্বব্যাপী শান্তি আনয়নের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতিসংঘ। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলোÑ আন্তজাতিক শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বের সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষায় কাজ করে আসছে। বিশ্বের কোথাও যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাত বাধলে জাতিসংঘ তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। কখনো কখনো যুদ্ধ বন্ধে বা যুদ্ধের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য জাতিসংঘ তার শান্তিরক্ষী বাহিনীকেও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় পাঠায়। এছাড়াও বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূর করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ দূষিতজনিত সমস্যা মোকাবিলা, জনসংখ্যা বিস্ফোরণরোধ, নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কর্মকাÊ পরিচালনার মাধ্যমেও জাতিসংঘ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও জাতিসংঘ সরকার গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিচ্ছে। সুতরাং বলা যায়, বিশ্বব্যাপী শান্তি আনয়নে জাতিসংঘ নামক সংস্থাটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

প্রশ্ন- ৫ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের ভূমিকা

‘ক’ এলাকায় প্রায়শই গোলমাল, ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। এলাকার মানুষের মধ্যে কোনো সদ্ভাব নেই। এগুলো দেখে এ ধরনের কাজ বন্ধ করতে এলাকার কিছু যুবক সম্মিলিতভাবে একটি সংঘ গঠন করে। এলাকার যেখানেই অশান্তি সৃষ্টি হয় সংঘটি সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত করতে চেষ্টা করে এবং এলাকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদন করে। বর্তমানে ঐ এলাকাসহ অন্যান্য এলাকায়ও সংঘটি শান্তির দূত হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।

ক.লীগ অব নেশানস’ কত সালে সৃষ্টি হয়েছিল?    ১

খ.নারীর প্রতি বৈষম্যের ক্ষেত্রে সিডও সনদের ভূমিকা বর্ণনা কর। ২

গ.ক’ এলাকায় গঠিত সংঘটি বিশ্বমানের কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছে? তা ব্যাখ্যা কর।           ৩

ঘ.বিশ্বমানের উক্ত সংঘটির কাজের মূল্যায়ন কর।               ৪

উত্তরঃ- ক ‘লীগ অব নেশনস’ ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি সৃষ্টি হয়েছিল।

উত্তরঃ- খ সিডও (ঈঊউঅড) সনদটি নারী ও পুরুষের সমতা নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। আইনগত পদ্ধতিতে এ সনদ সমর্থনকারী দেশগুলো এ সনদের ম্যান্ডেটভুক্ত নারী অধিকারসমূহ মেনে চলতে বাধ্য। এ সনদ নারীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্বকে নিশ্চিত করে।

উত্তরঃ- গ উদ্দীপকে ‘ক’ এলাকায় গঠিত সংঘটি বিশ্বমানের জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছে। কেননা জাতিসংঘ যেমন বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নমূলক কাজ করে তেমনি উদ্দীপকেও সংস্থাটি শান্তি ও উন্নয়নমূলক কাজ করছে। গত শতকের প্রথমদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং চল্লিশের দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। মূলত এ ধরনের জাতিগত দ্বন্দ্ব নিরসনে মধ্যস্থতাকারী শান্তিকামী জনতা যুদ্ধের ধ্বংসলীলায় চুপ করে থাকেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “লীগ অব নেশনস” সৃষ্টি হয়। কিন্তু “লীগ অব নেশনস” তার সাংগঠনিক দুর্বলতা ও অন্যান্য কারণে বিশ্বশান্তি বিধানে ব্যর্থ হয়। ১৯৩৯ সালে পুনরায় দ্বিতীয়বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা পৃথিবীকে গ্রাস করে। ফলে বিশ্বের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য আর একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে এবং ১৯৪৫ সালের ২৪ শে অক্টোবর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। উদ্দীপকেও দেখা যায় ‘ক’ এলাকায় বিভিন্ন বিষয়ে গোলমাল ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। আর এলাকার যুবকদের গঠিত সংঘটি শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। অর্থাৎ সংঘটি জাতিসংঘের প্রতিনিধিত্ব করছে।

উত্তরঃ- ঘ বিশ্বমানের উক্ত সংঘটি হচ্ছে জাতিসংঘ। সংঘটি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নমূলক কাজ করে। উদ্দীপকেও দুইটি কাজের কথা বলা হয়েছে; ১. বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও ২. উন্নয়নমূলক কাজ।

১. শান্তি : ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা বিশ্ব বিবেককে ভীষণ আতঙ্কিত করে তোলে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘জাতিসংঘ’ প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি ও সহযোগিতার বিধানের লক্ষ্যে কতকগুলো উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

২. উন্নয়নমূলক কাজ : জাতিসংঘ বিশ্বে আর্থিক সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, খাদ্য, কৃষি, শরণার্থীদের আশ্রয় দান, শিশু ও নারীদের অধিকার ইত্যাদি উন্নয়নমূলক কাজ করে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘ অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে। জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংস্থা যেমন  টঘউচ, টঘওঈঊঋ, টঘঊঝঈঙ, ডঐঙ, টঘঐঈজ, টঘওঋঋগ, টঘঋচঅ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন- ৬ জাতিসংঘ গঠনের পটভূমি এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভূমিকা

ক.বিশ্ব নারী দিবস কোন তারিখে পালিত হয়?       ১

খ.নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে সিডও সনদের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ২

গ.উদ্দীপকে ‘অ’ চিহ্নিত সংস্থাটির সৃষ্টির প্রেক্ষাপট পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।      ৩

ঘ.বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে উক্ত সংস্থাটি কী ভূমিকা পালন করছেÑ তোমার মতামত দাও।  ৪

উত্তরঃ- ক বিশ্ব নারী দিবস ৮ মার্চে পালিত হয়।

উত্তরঃ- খ সিডও (ঈঊউঅড) সনদটি নারী ও পুরুষের সমতা নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। আইনগত পদ্ধতিতে এ সনদ সমর্থনকারী দেশগুলো এ সনদের ম্যান্ডেটভক্তি নারী অধিকারসমূহের মেনে চলতে বাধ্য। এ সনদ নারীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্বকে নিশ্চিত করে।

উত্তরঃ- গ উদ্দীপকে ‘অ’ চিহ্নিত সংস্থাটি হচ্ছে জাতিসংঘ। বিশ শতকে পৃথিবী জুড়ে দু’টি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। গত শতকের প্রথমদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৯) এবং ৪০ এর দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-৪৫) সংঘটিত হয়। মূলত জাতিগত দ্বন্দ্ব নিরসনে মধ্যস্থতাকারী শান্তিকামী জনতা যুদ্ধের ধ্বংসলীলায় চুপ করে থাকেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “লীগ অব নেশনস” সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু “লীগ অব নেশনস” এর সাংগঠনিক দুর্বলতা ও অন্যান্য কারণে বিশ্বশান্তি বিধানে তা ব্যর্থ হয়। ১৯৩৯ সালে পুনরায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা পৃথিবীকে গ্রাস করে। লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত ও আহত, গৃহহারা, পঙ্গুত্ব বরণ করেন। প্রতিটি দেশ হারায় তাদের কর্মক্ষম যুব সম্প্রদায়কে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা বিশ্ব বিবেককে ভীষণ আতঙ্কিত করে তোলে এবং নাড়া দেয়। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য আর একটি নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। এরপর ১৯৪৩ সালে তেহরানে ও মস্কোতে ৪টি প্রধান শক্তির মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ফ্রান্সের প্রতিনিধিবৃন্দ সম্মিলিত জাতিসংঘ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অবশেষে ১৯৪৫ সালের ২৪ শে অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ আত্মপ্রকাশ করে।

উত্তরঃ- ঘ উক্ত সংস্থা তথা জাতিসংঘ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। যেমন-

ইউএনডিপি (টঘউচ) : বাংলাদেশের আর্থিক ও সামাজিক অর্থাৎ আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ইউএনডিপি দেশব্যাপী অসংখ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ইউএনডিপি মিলেনিয়াম উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৮টি।

ইউনিসেফ (টঘওঈঊঋ) : দেশের সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও মেয়ে শিশুদের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিশেষত শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিসেফ কাজ করছে।

ইউনেস্কো (টঘঊঝঈঙ) : বাংলাদেশের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সংস্থাটি কাজ করছে।

এফএও (ঋঅঙ) : বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা কাজ করছে।

ডব্লিউএইচও (ডঐঙ) : স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। যেমন : সংস্থাটি বাংলাদেশের পোলিও নিবারণের জন্য শিশুদেরকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়াচ্ছে এবং টিকা দিচ্ছে।

জাতিসংঘের জনসংখ্যা কার্যক্রম তহবিল (টঘঋচঅ) : এই সংস্থাটি বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিস্থিতি উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সুতরাং বলা যায়, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির জন্য জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রশ্ন- ৭ জাতিসংঘের গঠন ও বিশ্বশান্তি রক্ষায় এর ভূমিকা

‘ক’ আন্তর্জাতিক সংস্থাটি ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বের ১৯৩টি দেশ এ সংস্থার সদস্য। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে সংস্থাটির সদস্যপদ লাভ করে।

ক.জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? ১

খ.জাতিসংঘ সৃষ্টি হয় কেন? ২

গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থাটির গঠন ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.বিশ্বশান্তি রক্ষায় উক্ত সংস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে- মন্তব্যটির পক্ষে যুক্তি দাও। ৪

উত্তরঃ- ক জাতিসংঘের সদর দপ্তর আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত।

উত্তরঃ- খ কতকগুলো লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হয়। জাতিসংঘ সৃষ্টির পেছনে প্রধানত যেসব বিষয় জড়িত ছিল সেগুলো হলো-

১.আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা।

২.জাতিসমূহের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা।

৩.আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্তর্জাতিক বিরোধসমূহের মীমাংসা করা ইত্যাদি।

উত্তরঃ- গ উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থাটি হলো জাতিসংঘ। ‘ক’ আন্তর্জাতিক সংস্থাটি ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে সংস্থাটির সদস্যপদ লাভ করে। এছাড়া বিশ্বের ১৯৩টি দেশ ‘ক’ সংস্থার সদস্য, যা জাতিসংঘের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ থেকে বোঝা যায়, সংস্থাটি হচ্ছে জাতিসংঘ। পাঁচটি প্রধান অঙ্গ এবং একটি সেক্রেটারিয়েট নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত। পাঁচটি অঙ্গ হচ্ছে : সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, অছি পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক বিচারালয় বা আদালত। জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত। নিরাপত্তা পরিষদ হচ্ছে জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী পরিষদ। ৫টি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী সদস্যসহ মোট ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে এটি গঠিত। অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কাজ হচ্ছে সদস্য দেশগুলোর উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করা। স্বাধীনতা প্রাপ্ত নয়Ñ এরূপ বিশেষ এলাকার তত্ত্বাবধানের জন্য অছি পরিষদ গঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিবাদ মীমাংসা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের কাজ। আর সেক্রেটারিয়েট হচ্ছে জাতিসংঘের প্রশাসনিক বিভাগ।

উত্তরঃ- ঘ উক্ত সংস্থাটি হচ্ছে জাতিসংঘ। বিশ্বশান্তি রক্ষায় জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা অনুধাবন করে বিশ্বব্যাপী শান্তি আনয়নের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতিসংঘ। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো- আন্তর্জাতিক শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বের সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষায় কাজ করে আসছে। বিশ্বের কোথাও যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাত বাধলে জাতিসংঘ তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। কখনো কখনো যুদ্ধ বন্ধে বা যুদ্ধের পর বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। কখনো কখনো যুদ্ধ বন্ধে বা যুদ্ধের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য জাতিসংঘ তার শান্তিরক্ষী বাহিনীকেও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় পাঠায়। এছাড়াও বিশ্ব থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূর করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ দূষণজনিত সমস্যা মোকাবিলা, জনসংখ্যা বিস্ফোরণরোধ, নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কর্মকাÊ পরিচালনার মাধ্যমেও জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও জাতিসংঘ সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিচ্ছে। সুতরাং বলা যায়, বিশ্বব্যাপী শান্তি আনয়নে জাতিসংঘ নামক সংস্থাটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন- ৮ সিডও সনদ

বিশ্ব নারী দিবসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পড়ে তৌফিক জানতে পারে, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই পেশাক্ষেত্রে নারী শ্রমিকরা পুরুষ শ্রমিকদের চেয়ে কম বেতন পায়। শিক্ষাক্ষেত্রেও পুরুষরা নারীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এছাড়া এসব দেশের নারীদেরকে বিভিন্ন প্রলোভনে অন্য দেশেও পাচার করে দেওয়া হয়। প্রতিবেদনটি পড়ে তৌফিকের মন খারাপ হয়ে যায়।

ক.জাতিসংঘ ৮ মার্চকে কী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে?              ১

খ.‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য’- ব্যাখ্যা কর।  ২

গ.উদ্দীপকে বর্ণিত নারীদের সমস্যা দূরীকরণে জাতিসংঘ কী ধরনের কাজ করে থাকে? ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.উক্ত সমস্যা সমাধানে সিডও সনদ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেÑ মূল্যায়ন কর। ৪

উত্তরঃ- ক জাতিসংঘ ৮ মার্চকে বিশ্ব নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।

উত্তরঃ- খ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ১১,০০০-এরও বেশি বাংলাদেশি সৈন্য শান্তিরক্ষার কাজ করছেন। আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশি সৈন্যদের সাফল্য সেই দেশগুলোতে তথা সরাবিশ্বে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ রোল মডেল এবং শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তাই বলা যায়, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য।

উত্তরঃ- গ উদ্দীপকে বর্ণিত তৌফিক বিশ্ব নারী দিবসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পড়ে জানতে পারে, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই নারী শ্রমিকরা পুরুষ শ্রমিকদের চেয়ে কম বেতন পায়। শিক্ষাক্ষেত্রেও পুরুষরা নারীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এছাড়া এসব দেশের নারীদেরকে বিভিন্ন প্রলোভনে অন্য দেশেও পাচার করে দেওয়া হয়। নারীদের এসব সমস্যা দূরীকরণের জন্য জাতিসংঘ বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সনদ ও ঘোষণাপত্র পেশ করেছে। অর্থাৎ উদ্দীপকে পেশাক্ষেত্রে নারীদের বৈষম্য, শিক্ষাক্ষেত্রে পশ্চাতপদতা ও নারী পাচার এই তিনটি সমস্যার প্রতিফলন ঘটেছে। যেমন :

১.১৯৪৯ – মানবপাচার দমন ও পতিতাবৃত্তি অবসানের জন্য জাতিসংঘ সনদ অনুমোদন।

২.১৯৫১ – আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ওখঙ) কর্তৃক এক ধরনের কাজের জন্য নারী ও পুরুষ শ্রমিকের একই বেতন প্রদান।

৩.১৯৬০ – নারীদের কর্মসংস্থান ও পেশাক্ষেত্রে বৈষম্য বিলোপ সনদ।

৪.১৯৬২ – বালিকা ও নারীদের শিক্ষাক্ষেত্রে সমান অধিকার।

৫.১৯৭৯ – নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ, যা ঈঊউঅড নামে অভিহিত। সনদটি ১৯৮১ সালে কার্যকর হয়।

উত্তরঃ- ঘ উক্ত সমস্যা হচ্ছে পেশাক্ষেত্রে নারীদের বৈষম্য, শিক্ষাক্ষেত্রে পশ্চাৎপদতা এবং নারী পাচার। যা উদ্দীপকের বর্ণনা থেকে বোঝা যায় নারীদের এসব সমস্যা সমাধানে সিডও সনদ অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদটি সিডও (ঈঊউঅড) সনদ নামে পরিচিত, যা ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। নারী ও পুরুষের সমতার নীতির ওপর ভিত্তি করে সনদটি তৈরি হয়েছে। নারীর মানবাধিকারের বিষয়টিও এখানে উঠে এসেছে। আইনগত পদ্ধতিতে এই অধিকারগুলো ম্যান্ডেটভুক্ত করায় সমর্থনকারী দেশগুলো এই সনদ মেনে চলতে বাধ্য। এই সনদে স্বীকার করা হয় যে, বিভিন্ন দেশে নারীর আইনগত অধিকার বলবৎ থাকলেও বৈষম্য রয়েছে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নারীর প্রবেশাধিকার খর্ব করার মাধ্যমেই তা করা হয়ে থাকে, যা উদ্দীপকেও দেখা যায়। এই সনদ নারীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্বকে নিশ্চিত করে। সিডও সনদে ৩০টি ধারা আছে। এর প্রথম ১৬টি ধারা নারীর প্রতি কত প্রকার বৈষম্য আছে তা বিশ্লেষণ করে। পরের ১৪টি ধারা ব্যাখ্যা করে এ বৈষম্যগুলো কীভাবে বিলোপ করা যায়। সুতরাং বলা যায়, নারীদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের সমস্যা দূরীকরণে সিডও সনদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

প্রশ্ন- ৯  জাতিসংঘে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা

একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার শান্তিরক্ষা মিশন থেকে ফেরার পথে বেনিনে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা। এদের একজন মেজর ইমতিয়াজ। ছেলের জন্য সারাক্ষণ কান্না করে মেজর ইমতিয়াজের মা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা তার মাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে বলেন, আপনার ছেলের মতো যারা বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে তারা বিশ্ববাসীর নিকট চির অমর হয়ে থাকবে। তাদের মৃত্যু বিশ্ব শান্তির জন্য প্রেরণা হয়ে থাকবে চিরকাল।

ক.জাতিসংঘের কতজন মহাসচিব বাংলাদেশ সফর করেছেন?     ১

খ.পাঁচটি প্রধান অঙ্গ এবং একটি সেক্রেটারিয়েট নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত’-ব্যাখ্যা কর।            ২

গ.মেজর ইমতিয়াজ যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে যেয়ে মারা গেছেন সে সংস্থায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।         ৩

ঘ.শুধু বাংলাদেশে নয় মেজর ইমতিয়াজের মতো অমররা বিদেশের স্থানীয় মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে থাকবে চিরকাল- তোমার মতামত দাও।   ৪

উত্তরঃ- ক জাতিসংঘের ৪ জন মহাসচিব বাংলাদেশ সফর করেছেন।

উত্তরঃ- খ পাঁচটি প্রধান অঙ্গ এবং একটি সেক্রেটারিয়েট নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত। পাঁচটি অঙ্গ হচ্ছে সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, অছি পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক বিচারালয় বা আদালত। আর সেক্রেটারিয়েট হচ্ছে জাতিসংঘের প্রশাসনিক বিভাগ।

উত্তরঃ- গ মেজর ইমতিয়াজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে দায়িত্বরত অবস্থায় মারা গেছেন। জাতিসংঘ একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের আমন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধরত দেশ বা অঞ্চলে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণ করা হয়। আর এসব দেশে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী নিজেদের জীবন দিয়ে হলেও শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। অনেক সদস্যই বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এবং বিদ্রোহীদের হাতে প্রাণ হারান। উদ্দীপকে বর্ণিত মেজর ইমতিয়াজ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনগুলোতে বাংলাদেশের অবদান ঈষর্ণীয়। বর্তমানে প্রায় ১১,০০০ এর বেশি বাংলাদেশি সৈন্য বিশ্বের ১১টি দেশে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশি সৈন্যদের অভূতপূর্ব সাফল্য সেই দেশগুলোতে তথা সারা বিশ্বে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতাকে অনেক বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ পেয়েছে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি। বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার মডেল হিসেবে এবং শান্তি প্রিয় জাতি হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছে।

উত্তরঃ- ঘ উদ্দীপকে ইমতিয়াজের মৃত্যু বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধরত অঞ্চলে শান্তি স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু শান্তিরক্ষার কারণে ইমতিয়াজের মতো এইসব বীররা বিশ্ববাসীর কাছে অমর হয়ে আছে। শান্তিরক্ষীবাহিনীর বাংলাদেশি সদস্যরা তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিভিন্ন কার্যক্রম সফল করার জন্য বিদেশে স্থানীয় মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়েছে। আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের কারণে অন্যান্য দেশের সৈন্যরা যেখানে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছিলনা সেখানে বাংলাদেশি সৈন্যরা শুধু গ্রহণযোগ্যতাই নয়, পেয়েছে স্থানীয় মানুষদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। সিয়েরালিওনে বাংলা ভাষা পেয়েছে সেই দেশের দ্বিতীয় মাতৃভাষার মর্যাদা, আইভরিকোস্টে অন্যতম ব্যস্ত সড়কের নাম হয়েছে ‘বাংলাদেশ সড়ক’। শান্তি মিশনে শুধু বাংলাদেশের সেনাবাহিনী নয়, পাশাপাশি পুলিশ বাহিনী, মহিলা পুলিশ বাহিনীও নিয়োজিত আছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে জাতিসংঘে তথা বিশ্বে বাংলাদেশ পেয়েছে ব্যাপক পরিচিতি ও শ্রদ্ধা। যেসব দেশে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী শান্তি স্থাপনে কাজ করেছে সেসব দেশে তারা স্থানীয় মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে থাকবে চিরকাল।

প্রশ্ন- ১০ বিশ্ব শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘের ভূমিকা ও জাতিসংঘ সৃষ্টির পটভূমি

‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের মধ্যে সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। ‘ক’ রাষ্ট্র তার সামরিক বাহিনী নিয়ে ‘খ’ রাষ্ট্রের ভূখ    আগ্রাসী তৎপরতা চালায়। ‘খ’ রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে সাহায্য চাইলে বিবদমান রাষ্ট্রের বিরোধ মীমাংসায় সংস্থাটি এগিয়ে আসে এবং তা সমাধান করে দেয়।

ক.সিডও সনদে কয়টি ধারা আছে? ১

খ.জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ- ব্যাখ্যা কর।         ২

গ.‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের বিরোধ মীমাংসায় কোন সংস্থাটি কাজ করেছে? ব্যাখ্যা কর।       ৩

ঘ.উক্ত সংস্থাটি সৃষ্টির পটভূমি বিশ্লেষণ কর।           ৪

উত্তরঃ- ক সিডও সনদে ৩০টি ধারা আছে।

উত্তরঃ- খ বাংলাদেশ সবসময়ই জাতিসংঘের বিশেষ নজর পেয়ে থাকে। জাতিসংঘের সবকটি অঙ্গ সংস্থা শুরু থেকেই বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশের সৈন্যরা প্রাণ উৎসর্গ করে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এছাড়া জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করার পর থেকে বাংলাদেশ এই বিশ্বসংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

উত্তরঃ- গ ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের বিরোধ মীমাংসায় জাতিসংঘ কাজ করেছে।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। জাতিসংঘের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো বিবাদমান রাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা করে সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা। এ সংস্থাটি আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বের সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকে। দুটি দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত বেধে গেলে জাতিসংঘ তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়।  অনুরূপভাবে উদ্দীপকেও দেখা যায়- ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। ‘ক’ রাষ্ট্র তার সামরিক বাহিনী নিয়ে ‘খ’ রাষ্ট্রের ভূখ    আগ্রাসী তৎপরতা চালালে ‘খ’ রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে সাহায্য চায়। ফলে সংস্থাটি তাদের মধ্যকার বিরোধ মীমাংসা করে দেয়।

উত্তরঃ- ঘ উক্ত সংস্থাটি হচ্ছে জাতিসংঘ। বিশ শতকে পৃথিবী জুড়ে দু’টি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। গত শতকের প্রথমদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৯) এবং ৪০ এর দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-৪৫) সংঘটিত হয়। মূলত জাতিগত দ্বন্দ্ব নিরসনে মধ্যস্থতাকারী শান্তিকামী জনতা যুদ্ধের ধ্বংসলীলায় চুপ করে থাকেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “লীগ অব নেশনস” সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু “লীগ অব নেশনস” এর সাংগঠনিক দুর্বলতা ও অন্যান্য কারণে বিশ্বশান্তি বিধানে তা ব্যর্থ হয়। ১৯৩৯ সালে পুনরায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা পৃথিবীকে গ্রাস করে। লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত ও আহত, গৃহহারা, পঙ্গুত্ব বরণ করেন। প্রতিটি দেশ হারায় তাদের কর্মক্ষম যুব সম্প্রদায়কে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা বিশ্ব বিবেককে ভীষণ আতঙ্কিত করে তোলে এবং নাড়া দেয়। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য আর একটি নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। এরপর ১৯৪৩ সালে তেহরানে ও মস্কোতে ৪টি প্রধান শক্তির মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ফ্রান্সের প্রতিনিধিবৃন্দ সম্মিলিত জাতিসংঘ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অবশেষে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ আত্মপ্রকাশ করে।

Download From Google Drive

Download

আরো পড়ুনঃ-

Download From Yandex

Download