একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ICT সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল সিস্টেম অধ্যায়ের সকল প্রশ্ন উত্তর

0
590

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ICT সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল সিস্টেম

এর বহুনির্বাচনী এবং জ্ঞানমূলক ও অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় অধ্যায়ঃ-

সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল সিস্টেম

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন

১. শুণ্য এর ব্যবহার ছিল না কোন সংখ্যা পদ্ধতিতে?

ক) রোমান ও ইউরোপিয়ান সংখ্যা পদ্ধতিতে

খ) ভারতীয় ও আরবীয়দের সংখ্যা পদ্ধতিতে

গ) ভারতীয় ও উপমহাদেশে

ঘ) আরবীয়দের সংখ্যা পদ্ধতিতে

সঠিক উত্তর: রোমান ও ইউরোপিয়ান সংখ্যা পদ্ধতিতে

২. ভগ্নাংশ সংখ্যা সর্বপ্রথম প্রবর্তন হয় কোথায়?

ক) গ্রিকে

খ) ইরাকে

গ) ভারতে

ঘ) মিসরে

সঠিক উত্তর: মিসরে

৩. প্রাচীন ব্যাবিলনের মানুষের বড় সংখ্যা প্রকাশের জন্য কত ভিত্তিক সংখ্যা ব্যবহার করতেন?

ক) ০২ ভিত্তিক

খ) ০৪ ভিত্তিক

গ) ৩০ ভিত্তিক

ঘ) ৬০ ভিত্তিক

সঠিক উত্তর: ৬০ ভিত্তিক

৪. বাইনারি ডিজিটকে সংক্ষেপে বলে-

ক) বাইট

খ) বিট

গ) কিলোবাইট

ঘ) বাডিজিট

সঠিক উত্তর: বিট

৫. সর্বপ্রথম ইনফিনিটি বা অসীম (∞ ) এর আবিস্কার কে প্রচলন করেন?

ক) পিথাগোরাস

খ) নিউটন

গ) এরিস্টটল

ঘ) গ্যালিলিও

সঠিক উত্তর: এরিস্টটল

৬. বর্তমান গণিতের জন্ম হয়েছে-

ক) অংক থেকে         খ) গণনা থেকে

গ) গণিত থেকে         ঘ) সংখ্যা থেকে

সঠিক উত্তর: গণনা থেকে

৭. কোন সংখ্যা পদ্ধতি শুধু মানের উপর নির্ভর করে না এবং তা অবস্থানের উপর নির্ভর করে?

ক) অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি

খ) বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি

গ) পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি

ঘ) নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি

সঠিক উত্তর: পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি।

৮. প্রায় ৫০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে এ্যারাবয়ানরা ভারতীয়দের কাছ থেকে কোন পদ্ধতি আয়ত্ত করেন?

ক) বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি

খ) অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি

গ) পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি

ঘ) নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি

সঠিক উত্তর: পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি

৯. আরবরা গণনা পদ্ধতিতে আয়ত্ব করেছিলেন কাদের কাছ থেকে?

ক) চীনদের কাছ থেকে

খ) গ্রিকদের কাছ থেকে

গ) ভারতীয়দের কাছ থেকে

ঘ) মিসরীয়দের কাছ থেকে

সঠিক উত্তর: মিসরীয়দের কাছ থেকে

১০. মানুষ কম্পিউটারে কোন সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহারে ইনপুট প্রদান করে?

ক) দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি

খ) বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি

গ) অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি

ঘ) হেক্সাডেসিমেল

সঠিক উত্তর: দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি

১১. কম্পিউটার যে সংখ্যা ব্যবহার করে কাজ সম্পূর্ণ করে সে সংখ্যা পদ্ধতি কোনটি-

ক) দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি

খ) বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি

গ) অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি

ঘ) হেক্সাডেসিমেল

সঠিক উত্তর: বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি

১২. দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির বেজ কত?

ক) 02 বেজ

খ) 08 বেজ

গ) 10 বেজ      ঘ) 16 বেজ

সঠিক উত্তর:10

১৩. দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির অংক কতটি?

ক) 16 টি

খ) 02 টি

গ) 08 টি

ঘ) 10 টি

সঠিক উত্তর:10

১৪. প্রাচীন মিসরীয় শিলালিপিতে “⌒” চিহ্ন দ্বারা নিচের কোন দশমিক সংখ্যা প্রকাশ করা হয়।

ক) ১

খ) ১০

গ) ১০০

ঘ) ১০০০০

সঠিক উত্তর: ১০

১৫. মৌলিক চিহ্ন ব্যবহৃত হয় দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে-

ক) ০৮টি

খ) ১০টি

গ) ০২টি

ঘ) ১৬ট

সঠিক উত্তর: ১০টি

১৬. ডেসিমেল ১৬ দ্বারা বাইনরি সংখ্যা পদ্ধতির মান কত?

ক) 1010

খ) 1110

গ) 10000

ঘ) 1111

সঠিক উত্তর: 10000

১৭. বর্তমান সময়ে আলোচিত IPV6 পদ্ধতিটি নিচের কোন সংখ্যা পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তৈরি?

ক) দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি

খ) বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি

গ) অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি

ঘ) হেক্সাডেসিমেল

সঠিক উত্তর: হেক্সাডেসিমেল

১৮. (AB)16 হেক্সাডেসিমেল সংখ্যার বাইনারি সমতুল্য মান-

ক) (১০১১১০১০)২

খ) (১০১০১০১১) ২

গ) (১০০১০১১০) ২

ঘ) (১০১১০০০১) ২

সঠিক উত্তর: (১০১০১০১১) ২

১৯. (১০১০১.১০১)২ সংখ্যাটির অক্টাল মান-

ক) (২৫.৫)৮

খ) (২৪.৫)৮

গ) (৫২)৮

ঘ) (২৫.৬)৮

সঠিক উত্তর: (২৫.৫)৮

২০. (০.২৬) ৮ বাইনারি মান-

(০.১০০১১)২

(০.১০০০১১)২

(০.০১০১১০)২

(০.০১০১০১১০)২

সঠিক উত্তর: (০.০১০১১০)২

২১. (১.২৫)১০ বাইনারিতে রুপান্তর করলে কত হবে?

ক) (০.০২৫)২

খ) (১.০১)২

গ) (২.০৫)২

ঘ) (১০.১)২

সঠিক উত্তর: (১.০১)২

২২. কম্পিউটার গণিতে কয়টি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়?

ক) 3টি

খ) 3টি

গ) 4টি

ঘ) 5টি

সঠিক উত্তর: 4টি

২৩. উপস্থাপন প্রকাশের পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে সংখ্যা পদ্ধতিকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়?

ক) 2 ভাগে

খ) 3 ভাগে

গ) 4 ভাগে

ঘ) 6 ভাগে

সঠিক উত্তর:4 ভাগে

২৪. (২৮)১০ সংখ্যার অকটাল মান কত?

ক) (৩৪)৮

খ) (৭৭)৮

গ) (২২)৮

ঘ) (৬৬)৮

সঠিক উত্তর: (৩৪)৮

২৫. বাইনারি ১১১১ এর দশমিক মান কোনটি?

ক) ১৪

খ) ১৫

গ) ১৬

ঘ) ১৭

সঠিক উত্তর: ১৫

২৬. অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি ভিত্তি কত?

ক) ০২ভিত্তি

খ) ১০ভিত্তি

গ) ০৮ভিত্তি

ঘ) ১৬ভিত্তি

সঠিক উত্তর: ০৮ ভিত্তি

২৭. কোন বাইনারি সংখ্যা দশমিক সমতূল্য ৩৬৮?

ক) ১০১১১০০০০

খ) ১১০১১০০০০

গ) ১১১০১০০০০

ঘ) ১১১১০০০০০

সঠিক উত্তর: ১০১১১০০০০

২৮. (৭৩৪)৮ হেক্সাডেসিমেল সমতুল্য মান-

ক) ১.CID

খ) ২.DC1

গ) ৩.CCD

ঘ) ৪.1DC

সঠিক উত্তর: 1DC

২৯. দশমিক 84 কে অকটাল সংখ্যায় পরিনত করলে কত হবে?

ক) ১২৪

খ) ১২৫

গ) ১২৭

ঘ) ১২৮

সঠিক উত্তর: ১২৪

৩০. বাইনারি সংখ্যা ১০১১১ এর পূরক কত?

ক) ১১১১১

খ) ০০১১১

গ) ০১০০০

ঘ) ১১০০০

সঠিক উত্তর: ০১০০০

৩১.(১১১০১)২ এর দশমিক মান কত?

ক) ১৫

খ) ১৮

গ) ২৯

ঘ) ৩১

সঠিক উত্তর: ২৯

৩২. ১১০০ ও ১১১ এর বাইনারি যোগ-

ক) ১১০০১

খ) ১০০১০

গ) ১০০১১

ঘ) ১১০১০

সঠিক উত্তর: ১০০১১

৩৩. বাইনারি বিয়োগ কয়টি নিয়ম মেনে চলে-

ক) ২টি

খ) ৪টি

গ) ৩টি

ঘ) ৫টি

সঠিক উত্তর: ৪টি

৩৪. ১০১১ থেকে ১১০ এর বিয়োগফল বাইনারি নিয়মে-

ক) ১১০

খ) ১১১

গ) ১০১

ঘ) ০১১

সঠিক উত্তর: ১০১

৩৫. হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে B ও E এর যোগফল হবে-

(25)16

(F)16

(19)16

(BE)16

সঠিক উত্তর: (19)16

৩৬. হেক্সাডেসিমেল দুটি ডিজিটের যোগফল ১৬ এর নিচে হলে যে সংখ্যা হবে তাই হবে এবং ক্যারি হবে-

ক) ০০

খ) ০১

গ) ১৬

ঘ) ০৬

সঠিক উত্তর: ০০

৩৭. (১.৭৫)১০=()২

ক) (১১.১)২

খ) (১.১১)২

গ) (১.১০১)২

ঘ) (১.০১১)২

সঠিক উত্তর: (১.১১)২

৩৮. (৬৪)৮ এর বাইনারি মান কত?

ক) ১১০১০০

খ) ১০১০০১

গ) ১১০১১০

ঘ) ১১১০০১

সঠিক উত্তর: ১১০১০০

৩৯. চিহ্ন বা সাইনযুক্ত সংখ্যাকে বলে-

ক) চিহ্ন মুক্ত

খ) নম্বর

গ) সাইন্ড নম্বর

ঘ) বাইনারি নাম্বার

সঠিক উত্তর: সাইন্ড নম্বর

৪০. চিহ্ন বোঝানোর জন্য সাধারণত ব্যবহার করা হয়-

ক) অতিরিক্ত বাইট

খ) অতিরিক্ত সংখ্যা

গ) অতিরিক্ত নম্বর

ঘ) অতিরিক্ত বিট

সঠিক উত্তর: অতিরিক্ত বিট

৪১. বাইনারি সংখ্যাকে কত বিটে প্রকাশ করা হবে তা নির্ভর করে রেজিষ্ট্যারের-

ক) বিটের উপর

খ) শব্দ দৈর্ঘ্যরে উপর

গ) শব্দের উপর

ঘ) বিটের দৈর্ঘ্যরে উপর

সঠিক উত্তর: শব্দ দৈর্ঘ্যরে উপর

৪২. 2’s complement এর নির্ণয়ের সূত্র নিম্নরুপ-

ক) 1’s complement+1

খ) 1’s complement-1

গ) 2” + সংখ্যাটি

ঘ) 2” – সংখ্যাটি

সঠিক উত্তর: 1’s complement+1

৪৩. ২৫০ কে বাইনারিতে প্রকাশ করতে গেলে কত বিট প্রয়োজন?

ক) ৪বিট

খ) ৩বিট

গ) ৯বিট

ঘ) ৫বিট

সঠিক উত্তর: ৯বিট

৪৪. BCD কত বিটের কোড?

ক) 1বিট

খ) 4বিট

গ) 9বিট

ঘ) 8বিট

সঠিক উত্তর: 4বিট

৪৫. (469)10 এর BCD মান কত?

ক) (010001101001)BCD

খ) (100001001)BCD

গ) (1001101001)BCD

ঘ) (1010101010)BCD

সঠিক উত্তর: (010001101001)BCD

৪৬. EBCDIC কত বিটের কোড?

ক) 8 বিট

খ) 4 বিট

গ) 2 বিট

ঘ) 16 বিট

সঠিক উত্তর: 8 বিট

৪৭. তিন বিট বিশিষ্ট বাইনারি কোডকে কী বলে?

ক) অকটাল কোড

খ) হেক্সাডেসিমেল কোড

গ) বাইনারি কোড

ঘ) অ্যাসকি কোড

সঠিক উত্তর: অকটাল কোড

৪৮. চার বিটের বাইনারি কোডকে কী বলে?

ক) অকটাল কোড

খ) হেক্সাডেসিমেল কোড

গ) বাইনারি কোড

ঘ) অ্যাসকি কোড

সঠিক উত্তর: হেক্সাডেসিমেল কোড

৪৯. বাইনারি নেগেটিভ সংখ্যা ও বাইনারি পজেটিভ সংখ্যা বুঝানোর জন্য সংখ্যার কোথায় অতিরিক্ত সাইন বিট ব্যবহার করা হয়?

ক) সর্ববামে

খ) ডানদিকে

গ) যেকোন পার্শে

ঘ) উভয় পার্শে

সঠিক উত্তর: সর্ববামে

৫০. ঋণাত্মক সংখ্যা কয়টি উপায়ে গঠন করা যায়?

ক) ২টি

খ) ৩টি

গ) ৪টি

ঘ) ৫টি

সঠিক উত্তর: ২টি

৫১. আসকি কোডে মোট সংকেত সংখ্যা কত?

ক) ১২৮

খ) ২৫৬

গ) ৬৪

ঘ) ৫১২

সঠিক উত্তর: ২৫৬

৫২. জর্জ বুল কত সালে বুলিয়ান অ্যালজেবরা আবিস্কার করেন?

ক) ১৮৫৪

খ) ১৯৫৪

গ) ১৮৩৪

ঘ) ১৯৮৫

সঠিক উত্তর: ১৮৫৪

৫৩. কত সালে জর্জ বুল গণিত ও যুক্তির মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করেন?

ক) ১৯২২

খ) ১৯৯৫

গ) ১৯৮৭

ঘ) ১৮৫৪

সঠিক উত্তর: ১৮৫৪

৫৪. বুলিয়ান অ্যালজেবরায় প্রত্যেক চলকের কয়টি মান থাকে?

ক) ০২টি

খ) ০৪টি

গ) ০৩টি

ঘ) ০৭টি

সঠিক উত্তর: ০২টি

৫৫. বুলিয়ান অ্যালজেবরায় প্রত্যেক চলকের মান নিচের কোনটি সঠিক-

ক) ০ ও ১

খ) ১ ও ১

গ) ০ ও ০

ঘ) ০১ ও ১০

সঠিক উত্তর: ০ ও ১

৫৬. আধুনিক কম্পিউটার ও ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্সে কয় ধরণের সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়?

ক) ২টি

খ) ৩টি

গ) ৪টি

ঘ) ৫টি

সঠিক উত্তর: ৪টি

৫৭. বুলিয়ান ধ্রবক কাকে বলে?

ক) ০ -কে

খ) ১ -কে

গ) ০ ও ১ কে

ঘ) কোনটিই নয়

সঠিক উত্তর: ০ ও ১ কে

৫৮. বুলিয়ান অ্যালজেবরায় কয় ধরণের মৌলিক যুক্তিমূলক অপারেশন হয়?

ক) ২ ধরনের

খ) ৩ ধরনের

গ) ৪ ধরনের

ঘ) ৫ ধরনের

সঠিক উত্তর: ৩ ধরনের

৫৯. BCD এর পূর্ণরূপ কী?

ক) Binary Coded Decimal

খ) Binary Coded Dot

গ) Basic Code Decimal

ঘ) Binary Coded Dollar

সঠিক উত্তর: Binary Coded Decimal

৬০. যে সকল টেবিল বা সারণির মাধ্যমে বিভিন্ন গেইটের ফলাফল প্রকাশ করা হয় তাকে বলে-

ক) সত্যক

খ) সত্যক সারণি

গ) টেবিল

ঘ) সারণি

সঠিক উত্তর: সত্যক সারণি

৬২. ২৩ টি ইনপুট দিলে ধাপ হবে-

ক) 02

খ) 04

গ) 08

ঘ) 16

সঠিক উত্তর: 08

৬৩. A=1, B=0 এবং C=1 হলে

ক) 01

খ) 10

গ) 00

ঘ) 11

সঠিক উত্তর:00

৬৪. A=0, B=1 এবং C=0 হলে

ক) 10

খ) 11

গ) 01

ঘ) 00

সঠিক উত্তর:11

৬৬. নিচের কোনটি একই ধরনের গেইট?

ক) AND, NOR, NOT

খ) OR, NOT, XNOR

গ) XOR, AND, NOT      ঘ) AND, NOT, OR

সঠিক উত্তর: AND, NOT, OR

৬৭. AND গেইটে A ও B দুটি ইনপুটই ০ হলে আউটপুট কত হবে?

ক) ১

খ) ০১

গ) ১০

ঘ) ০

সঠিক উত্তর: ০

৬৮. দুটি NOR গেইটে – হিসেবে কাজ করে –

ক) OR গেইট

খ) AND গেইট

গ) NOR গেইট

ঘ) NAND গেইট

সঠিক উত্তর:OR গেইট

৬৯.NAND গেইটে দুইটি ইনপুটই ১ হলে আউটপুট কত হবে?

ক) ১

খ) ০১

গ) ১০

ঘ) ০

সঠিক উত্তর: ০

৭০. কোন ধরনের গেইটে দুটি ইনপুটের মান একই মানের জন্য আউটপুট ১ এবং দুটি ভিন্ন মানের জন্য আউটপুট ০ হয়?

ক) AND

খ) NOR

গ) XNOR

ঘ) XOR

সঠিক উত্তর: XOR

৭১. XNOR গেইট তৈরির জন্য XOR গেইটের সাথে যুক্ত করতে হয়-

ক) NOT গেইট

খ) NOR গেইট

গ) AND গেইট

ঘ) OR গেইট

সঠিক উত্তর: NOT গেইট

৭২. সাধরণত দুটি বিট একই কিনা তা তুলনা করার জন্য কাজে ব্যবহৃত হয়-

ক) XOR গেইট

খ) XNOR গেইট

গ) AND গেইট

ঘ) OR গেইট

সঠিক উত্তর: ১৯০৭

৭৩. ৮টি ইনপুটের থেকে এনকোডারের আউটপুট পাওয়া যায়-

ক) ১৬টি

খ) ০৩টি

গ) ০২টি

ঘ) ০৪টি

সঠিক উত্তর: ০৩টি

৭৪. যে ডিজিটাল বর্তনীয় মাধ্যমে আনকোডেড ডেটাকে কোডেড ডেটায় পরিনত করা হয়, তাকে কী বলে?

ক) ডিকোডার

খ) এনকোডার

গ) উভয়ই

ঘ) কোনটিই নয়

সঠিক উত্তর: এনকোডার

৭৫. কোন গেইটের ইনপুট দুটি অসমান হলে আউটপুট ১ হবে-

ক) XNOR গেইট

খ) AND গেইট

গ) OR  গেইট

ঘ) XOR গেইট

সঠিক উত্তর: ১৯০৭

৭৬. NAND গেইট – হিসেবে কাজ করে –

ক) দুটি AND গেইট

খ) দুটি NOT গেইট

গ) দুটি OR গেইট

ঘ) একটি AND গেইট

সঠিক উত্তর: দুটি AND গেইট

৭৭. এককোডারের সাহায্যে যেকোন আলফানিউমেরিক বর্ণকে কোন কোডে পরিণত করা যায়?

ক) Binary কোড

খ) BCD কোড

গ) ASCII কোড

ঘ) সবগুলোই

সঠিক উত্তর: সবগুলোই

৭৮. বাইনারি নিয়মে গুণ করা মানে –

ক) বার বার যোগ করা

খ) বার বার বিয়োগ করা

গ) বার বার গুণ করা

ঘ) বার বার ভাগ করা

সঠিক উত্তর: বার বার যোগ করা

৭৯. পূরক পদ্ধতিতে যোগের মাধ্যমে করা হয় –

ক) বিয়োগের কাজ

খ) যোগের কাজ

গ) গুণের কাজ

ঘ) ভাগের কাজ

সঠিক উত্তর: বিয়োগের কাজ

৮০. যে বর্তনীতে দুটি ইনপুট যোগ করলে ১টি সাম ও ১টি ক্যারি থাকে তাকে বলে –

ক) ফুল অ্যাডার

খ) হাফ অ্যাডার

গ) রেজিস্টার

ঘ) সঠিক উত্তর: হাফ অ্যাডার

৮১. যে সমবায় বর্তনীয় সাহায্যে যোগের কাজ করা হয়, তাকে বলে –

ক) ফ্যারাডে

খ) অ্যাডার

গ) অ্যাড

ঘ) ক্যাড

সঠিক উত্তর: অ্যাডার

৮২. অ্যাডার কত প্রকার?

ক) দুই প্রকার

খ) তিন প্রকার

গ) চার প্রকার

ঘ) পাঁচ প্রকার

সঠিক উত্তর: দুই প্রকার

৮৩. বিশেষ রেজিষ্টার কত প্রকার?

ক) দুই প্রকার

খ) তিন প্রকার

গ) আট প্রকার

ঘ) নয় প্রকার

সঠিক উত্তর: নয় প্রকার

৮৪. ৫টি ফ্লিপ-ফ্লপ দ্বারা গঠিত একটি রিং কাইন্টারের স্টেট থাকে –

ক) ৫টি

খ) ১০টি

গ) ১৬টি

ঘ) ৩২টি

সঠিক উত্তর: ৩২টি

৮৫. রেজিষ্টার হলো এমন একটি সমন্মিত সার্কিট যা গঠিত হয় একগুচ্ছ –

ক) মেমোরি নিয়ে

খ) ফ্লিপ-ফ্লপ ও গেইট নিয়ে

গ) তার দিয়ে

ঘ) গেইট দিয়ে

সঠিক উত্তর: ফ্লিপ-ফ্লপ ও গেইট নিয়ে

৮৬. ইনপুটের উপর ভিত্তি করে কাউন্টার কত প্রকার?

ক) দুই প্রকার

খ) তিন প্রকার

গ) চার প্রকার

ঘ) পাঁচ প্রকার

সঠিক উত্তর: দুই প্রকার

৮৭. ডেটা ট্রান্সফারের ভিত্তিতে রেজিষ্টারকে কতভাগে ভাগ করা যায়?

ক) দুই ভাগে

খ) তিন ভাগে

গ) চার ভাগে

ঘ) পাঁচ ভাগে

সঠিক উত্তর: তিন ভাগে

৮৮. রেজিষ্টারের নতুন তথ্য রাখাকে কী বলে?

ক) Coding

খ) Loading

গ) Booting

ঘ) Encounting

সঠিক উত্তর: Loading

৮৯. গঠন অনুসারে রেজিষ্টার কত প্রকার?

ক) দুই প্রকার

খ) তিন প্রকার

গ) চার প্রকার

ঘ) পাঁচ প্রকার

সঠিক উত্তর: দুই প্রকার

৯০. ১টি কাউন্টারের সবচেয়ে সরল সিকুয়েন্স হলো –

ক) বাইনরি সিকুয়েন্স

খ) প্যারালাল সিকুয়েন্স

গ) অকটাল সিকুয়েন্স

ঘ) ডেসিমেল সিকুয়েন্স

সঠিক উত্তর: বাইনরি সিকুয়েন্

৯১. কাউন্টার সর্বাধিক যতগুলো গুণতে পারে, তাকে বলে –

ক) ফ্লিপ ফ্লপ

খ) মডিউলাস

গ) ঘাত

ঘ) তাওয়ার

সঠিক উত্তর: মডিউলাস

৯২. যে সমবায় বর্তনীয় সাহায্যে যোগের কাজ করা হয়, তাকে বলে –

ক) ফ্যারাডে

খ) অ্যাডার

গ) অ্যাড

ঘ) ক্যাড

সঠিক উত্তর: অ্যাডার

৯৩. ইনপুট ক্লক পালসের উপর ভিত্তি করে কাউন্টার কত প্রকার?

ক) দুই প্রকার

খ) তিন প্রকার

গ) চার প্রকার

ঘ) পাঁচ প্রকার

সঠিক উত্তর: দুই প্রকার

৯৪.অ্যাসিনক্রোনাস কাউন্টার কত প্রকার?

ক) দুই প্রকার

খ) তিন প্রকার

গ) চার প্রকার

ঘ) পাঁচ প্রকার

সঠিক উত্তর: দুই প্রকার

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

…………………………………….

৯৫. সংখ্যা পদ্ধতি লিখে প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার হয়-

(i) সাংকেতিক চিহ্ন

(ii) মৌলিক চিহ্ন

(iii) রোমান চিহ্ন

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: i ও ii

৯৬. বিভিন্ন ধরনের গণনা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে –

(i) রোমান

(ii)ব্যাবিলিয়ান

(iii) গ্রিক

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: i, ii ও iii

৯৭. একটি সংখ্যায় থাকতে পারে –

(i) পূর্ণাংশ

(ii) ভগ্নাংশ

(iii) র‌্যাডিক্স পয়েন্ট

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: i, ii ও iii

৯৮. ৪৩৮ সংখ্যাটি হতে পারে –

(i) অকটাল

(ii) ডেসিম্যাল

(iii) হেক্সাডেসিম্যাল

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: ii ও iii

৯৯. একটি সংখ্যার মান বের করার জন্য ডেটার দরকার –

(i) সংখ্যাটিতে ব্যবহৃত অংকগুলোর নিজস্ব মান

(ii) সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি

(iii) সংখ্যাটিতে ব্যবহৃত অংকগুলোর স্থানীয় মান

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: i, ii ও iii

১০০. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেন –

(i) গটফ্রিড লিবনিজ

(ii) জর্জ বুল

(iii) মার্শাল ম্যাক

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: i ও ii

১০১. ঋনাত্মক সংখ্যার ক্ষেত্রে সংখ্যার মান বোঝানোর জন্য পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়-

(i) প্রকৃতমান গঠন

(ii) ১ -এর পরিপূরক গঠন

(iii) ২ -এর পরিপূক গঠন

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: i, ii ও iii

১০২. NAND গেইটে আউটপুট 1 পেতে হলে ইনপুট দিতে হবে –

(i) A=0, B=1

(ii) A=1, B=0

(iii) A=1, B=1

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: i ও ii

১০৩. সমীকরণগুলো লক্ষ্য কর –

(i) A+AB=A

(ii) A(A+B)=A

(iii) (A+B)(A+C)A+BC

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: i, ii ও iii

১০৪. ৬ দশমিক সংখ্যার মান-

(i) ১ম বিট চিহ্ন বিট

(ii) ৭ বিট হল ডেটা বিট

(iii) ৮ বিট রেজিষ্টারের ধনাত্মক মান ০০০০০১১০

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: i, ii ও iii

১০৫. NOR গেইট দিয়ে তৈরি করা যায় –

(i) AND গেইট

(ii) OR গেইট

(iii) XOR গেইট

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: i ও ii

১০৬. NOR এবং NAND গেইট দুটিকে বলা হয়-

(i) মৌলিক গেইট

(ii) যৌগিক গেইট

(iii) সার্বজনীন গেইট

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii

খ) i ও iii

গ) ii ও iii

ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: ii ও iii

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

………………………………..

নিচের উদ্দিপকটি পড় এবং ১০৭, ১০৮ ও ১০৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কম্পিউটারের অবদান অনস্বীকার্য। হিসাব পরিচালনা ও ব্যাংকের তথ্যাদি সংরক্ষণে বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক এস.এম আলমগীর প্রতিদিন অফিসে কাজ করেন।

১০৭. কম্পিউটার কোন ধরনের সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করে?

ক) দশমিক

খ) বাইনারি

গ) অকটাল

ঘ) হেক্সাডেসিমেল

সঠিক উত্তর: বাইনারি

১০৮. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট মৌলিক চিহ্ন বা অংক কয়টি?

ক) ১০টি

খ) ১৬টি

গ) ০২টি

ঘ) ০৮টি

সঠিক উত্তর: ০২টি

১০৯. একটি বাইনারি সংখ্যাকে কোন সংখ্যায় পরিণত করা যায়?

ক) দশমিক ও অকটাল

খ) অকটাল ও হেক্সাডেসিমেল

গ) দশমিক ও হেক্সাডেসিমেল

ঘ) অকটাল, দশমিক ও হেক্সাডেসিমেল

সঠিক উত্তর: অকটাল, দশমিক ও হেক্সাডেসিমেল

নিচের সারণিটি দেখ এবং ১১০ ও ১১১ নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

A B X

0 0 0

0 1 0

1 0 0

1 1 1

১১০. উপরোক্ত সারনীটি কোন গেইটের?

ক) NOT  গেইট এর

খ) OR   গেইট এর

গ) NAND গেইট এর

ঘ) AND গেইট এর

সঠিক উত্তর: AND গেইট এর

১১১. নিচের কোনটি মৌলিক লজিক গেইট?

ক) NOT গেইট

খ) XOR গেইট

গ) NAND গেইট

ঘ) XNOR গেইট

সঠিক উত্তর: NOT গেইট

নিচের উদ্দিপকটি পড় এবং ১১২, ১১৩ ও ১১৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

ফ‌েনী সিটি কলেজের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির শিক্ষক তার ক্লাসে সংখ্যা পদ্ধতি পাঠদান শেষে বোর্ডে DADA লিখলেন। অতঃপর শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলেন যে ত‌িনি কি লিখেছেন।

১১২. তিনি উক্ত কোডটি কোন সংখ্যা পদ্ধতির মাধ্যমে লিখেছেন?

ক) বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি

খ) অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি

গ) দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি

ঘ) হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি

সঠিক উত্তর: হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি

১১৩. DADA সমতুল্য দশমিক সংখ্যা কত?

ক) ১৫৫৩৩২

খ) ৫৬০২৬

গ) ৪৩৯৬২

ঘ) ১২৫৬৭২

সঠিক উত্তর: ৫৬০২৬

১১৪. DADA সমতুল্য অকটাল সংখ্যা কত?

ক) ১৫৫৩৩২

খ) ৫৬০২৬

গ) ৪৩৯৬২

ঘ) ১২৫৬৭২

সঠিক উত্তর: ১৫৫৩৩২

নিচের উদ্দিপকটি পড় এবং ১১৫ ও ১১৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

নুরুল হুদা একজন ফ‌েনী স‌িটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তার কলেজের আই.সি.টি শিক্ষক তাকে বুলিয়ান অ্যালজেবরার কিছু সমস্যা সমাধান করতে বললেন।

১১৫. বুলিয়ান অ্যালজেবরা আবিষ্কার করেন?

ক) ডি-মরগ্যান

খ) জর্জ বুল

গ) জন নেপিয়ার

ঘ) নিউটন

সঠিক উত্তর: জর্জ বুল

১১৬. নিচের কোনটি বুলিয়ান অ্যালজেরার মৌলিক ক্রিয়া?

ক) OR  গেইট

খ) AND গেইট

গ) NOT গেইট

ঘ) NAND গেইট

সঠিক উত্তর: NAND1. শুণ্য এর ব্যবহার ছিল না কোন সংখ্যা পদ্ধতিতে?

আইসিটি অধ্যায়-৩ : সংখ্যাপদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস

জ্ঞানমূলক ও অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তরঃ-

১। সংখ্যা পদ্ধতি কী?

উত্তরঃ–সংখ্যা গণনা বা হিসাব করার জন্য বিভিন্ন প্রতীক বা সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। এই সকল প্রতীক লেখার নিয়ম সমূহকেই সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়। অর্থাৎ যে পদ্ধতির মাধ্যমে সংখ্যা প্রকাশ এবং গণনা করা হয়, তাহাই সংখ্যা পদ্ধতি নামে পরিচিত।

২। পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কী?

উত্তরঃ– যে সকল সংখ্যার প্রতিটি অংক সমূহের নিজস্ব মান, স্থানীয় মান এবং ঐ সংখ্যার ভিত্তি (Base) দেওয়া থাকে। যেমন- বাইনারি, অক্ট্যাল, দশমিক, হেক্সাডেসিমেল ইত্যাদি।

৩। নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কী?

উত্তরঃ–এই ধরনের সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত সংখ্যার অংক সমূহের কোনো স্থানীয় মান থাকে না। শুধু সংখ্যার নিজস্ব মান থাকে। যেমন- হায়ারোগ্লিফিক্স (Hieroglyphics), ম্যায়ন(Mayan) ইত্যাদি।

৪। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি কী?

উত্তরঃ–দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি- যে সংখ্যা পদ্ধতিতে দশটি অংক বা প্রতীক ব্যবহার করা হয় তাকে দশমিক বা ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। প্রতীক সমূহ- ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯

৫। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কী?

উত্তরঃ–বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি- যে সংখ্যা পদ্ধতিতে দুটি অংক বা প্রতীক ব্যবহার করা হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়। প্রতীক সমূহ- ০, ১

৬। অক্ট্যাল সংখ্যা পদ্ধতি কী?

উত্তরঃ–অক্ট্যাল সংখ্যা পদ্ধতি- যে সংখ্যা পদ্ধতিতে আটটি অংক বা প্রতীক ব্যবহার করা হয় তাকে অক্ট্যাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। প্রতীক সমূহ- ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭

৭। হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কী?

উত্তরঃ–হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি- যে সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট ১৬ টি অংক বা প্রতীক ব্যবহার করা হয় তাকে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়। প্রতীক সমূহ- ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, A, B, C, D, E, F

৮। সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি কী?

উত্তরঃ–কোনো সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মোট চিহ্ন বা প্রতীককে ঐ সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি বলা হয়। যেমন- দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতীক বা চিহ্নের সংখ্যা ১০ সুতরাং এই সংখ্যার বেজ বা ভিত্তি হচ্ছে ১০।

৯। বিট, বাইট কী?

উত্তরঃ–বিটঃ- Binary Digit এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে Bit. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ডিজিট 0 এবং 1 প্রত্যেকটিকে এক একটি বিট বলা হয়।

বাইটঃ- বাইনারি ডিজিট ০ এবং ১ সর্বমোট আট বার পাশাপাশি অবস্থান করে এক বাইট সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ ১ বাইট= ৮ বিট। যেমন- 10001001=এক বাইট।

১০। প্যারিটি বিট কী?

উত্তরঃ–কম্পিউটার বা অন্য সকল ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের মধ্যে একাধিক বিট আদান-প্রদান হয়। এ সকল বিট প্যাটার্ন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণের সময় বিটের নির্ভরশীলতা বাড়ানোর জন্য সহজ একটি উপায় হলো তথ্যের সাথে অতিরিক্ত একটি বিট সংযোজন করা। সংযোগকৃত এই বিটকে প্যারিটি বিট বলে।

প্যারিটি বিট দুই ধরনের। যথা-

জোড় প্যারিটি এবং বিজোড় প্যারিটি বিট।

১১। ১-এর পরিপূরক বা 1’s complement কী?

উত্তরঃ–কোন বাইনারি সংখ্যার বিটসমূহকে উল্টিয়ে অর্থাৎ 0-এর স্থলে 1 এবং 1-এর স্থলে 0 বসিয়ে সংখ্যাটির ১-এর পরিপূরক বা 1’s complement পাওয়া যায়। যেমন-

১২। ২-এর পরিপূরক বা 2’s complement কী?

উত্তরঃ–কোন বাইনারি সংখ্যার বিটসমূহকে উল্টিয়ে অর্থাৎ 0-এর স্থলে 1 এবং 1-এর স্থলে 0 বসিয়ে সংখ্যাটির ১-এর পরিপূরক বা 1’s complement পাওয়া যায়। প্রাপ্ত ১-এর পরিপূরকের সাথে ১ যোগ করলে বাইনারি সংখ্যার ২-এর পরিপূরক বা 2’s complement পাওয়া যায়। ২-এর পরিপূরকের মাধ্যমে ধনাত্মক চিহ্নযুক্ত সংখ্যাকে ঋণাত্মক চিহ্নযুক্ত সংখ্যায় রূপান্তর করা যায়।

১৩। নিগেশন বা বিপরীতকরণ কী?

উত্তরঃ–কোন ধনাত্মক সংখ্যাকে ঋণাত্মক সংখ্যায় কিংবা কোন ঋণাত্মক সংখ্যাকে ধনাত্মক সংখ্যায় পরিবর্তন করাকে বিপরীতকরণ বা নিগেশন বলে। চিহ্ন যুক্ত বাইনারি সংখ্যাকে ২-এর পরিপূরক এর মাধ্যমে নিগেশন করা হয়।

১৪। কোড (Code) কী?

উত্তরঃ–অংক, অক্ষর এবং অন্যান্য চিহ্নকে কম্পিউটারে প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত বিটের বিন্যাসকে বা সুবিন্যস্ত রূপকে কোড (Code) বলা হয়। যেমন-

অক্ট্যাল কোড

হেক্সাডেসিমেল কোড

বিসিডি কোড (BCD Code)

১৫। এনকোডিং এবং ডিকোডিং কী?

উত্তরঃ–

এনকোডিং- কম্পিউটারে ব্যবহৃত বর্ণ, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্নসমূহের বাইনারি রূপান্তর প্রক্রিয়াকে এনকোডিং বলে।

ডিকোডিং- কম্পিউটারে প্রসেসিংকৃত বাইনারি কোড সমূহকে পুনরায় বর্ণ, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্নসমূহে রূপান্তর করা হয়। এই পদ্ধতিকে ডিকোডিং বলে।

১৬। বিসিডি (BCD) কোড কী?

উত্তরঃ–BCD শব্দের পূর্ণরূপ হলো Binary Coded Decimal। দশমিক সংখ্যার প্রতিটি অংককে সমতুল্য বাইনারি সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করার পদ্ধতিকে বিসিডি কোড বলে। ৪ টি বিট দ্বারা 24 অর্থাৎ ১৬ টি ভিন্ন অবস্থা নির্দেশ করা যায়। এই ১৬ টি অবস্থা ব্যবহার করে কয়েক ধরনের বিসিডি কোড তৈরি সম্ভব।

১৭। আলফানিউমেরিক কোড কী?

উত্তরঃ–কতকগুলো বিশেষ চিহ্ন(!, @, #, $, %, *, / ইত্যাদি), অক্ষর(a-z, A-Z), অংক(0-9) এবং বিভিন্ন গাণিতিক চিহ্ন(+, -, =, x ইত্যাদি) জন্য ব্যবহৃত কোডকে আলফানিউমেরিক কোড বলা হয়।

অ্যাসকি কোড (ASCII Code)

ইবিসিডিক কোড (EBCDIC Code)

ইউনিকোড (Unicode)

১৮। অ্যাসকি (ASCII) কোড কী?

উত্তরঃ–ASCII এর পূর্ণরূপ American standard code for information interchange। ১৯৬৫ সালে রবার্ট বিমার সাত বিটের ASCII কোড তৈরি করেন। এটি বহুল প্রচলিত ৭ বিট বিশিষ্ট আলফানিউমেরিক কোড। যা ইউনিকোডের পূর্বে জনপ্রিয় ছিল। ASCII কোড দুই ধরনের।একটি ASCII-7 যা সাতটি বিট নিয়ে গঠিত। অন্যটি ASCII-8 যা আটটি বিট নিয়ে গঠিত।

১৯। ইবিসিডিক(EBCDIC) কোড কী?

উত্তরঃ–EBCDIC এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Extendend Binary Coded Decimal Information Code। এই ধরনের কোডকে ৮-বিট BCD কোডও বলা হয়ে থাকে। এই কোড দ্বারা ২৮ অর্থাৎ ২৫৬ টি অদ্বিতীয় অংক, অক্ষর এবং চিহ্নকে বাইনারিতে প্রকাশ করা হয়।

২০। ইউনিকোড(UNICODE) কোড কী?

উত্তরঃ–ইউনিকোডের পূর্ণরূপ হচ্ছে Universal Code। বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটার কোডে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য Apple computer corporation এবং Xerox corporation-এর প্রকৌশলীগণ ১৯৯১ সালে ইউনিকোড উদাভাবন করেন।ইউনিকোড মূলত ২ বাইট বা ১৬ বিটের কোড। এই কোডের মাধ্যমে ২১৬ অর্থাৎ ৬৫,৫৩৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়।

অনুধাবন প্রশ্ন উত্তরঃ-

১। পজিশনাল এবং নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ–সংখ্যা ব্যবহার পদ্ধতির ভিত্তিতে সংখ্যা পদ্ধতিকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-

নন-পজিশনাল (Non Positional) সংখ্যা পদ্ধতি

পজিশনাল (Positional) সংখ্যা পদ্ধতি

নন-পজিশনালঃ- এই ধরনের সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত সংখ্যার অংক সমূহের কোনো স্থানীয় মান থাকে না। শুধু সংখ্যার নিজস্ব মান থাকে। যেমন- হায়ারোগ্লিফিক্স (Hieroglyphics),ম্যায়ন (Mayan) ইত্যাদি।

পজিশনালঃ- এক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংখ্যার অংক সমূহের নিজস্ব মান, স্থানীয় মান এবং ঐ সংখ্যার ভিত্তি (Base) দেওয়া থাকে। যেমন- বাইনারি, অক্ট্যাল, দশমিক, হেক্সাডেসিমেল ইত্যাদি।

২। তিন/পাঁচ/সাত/নয় ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ– কোনো সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তির উপর নির্ভর করে ঐ সংখ্যা পদ্ধতিতে কতগুলো মৌলিক চিহ্ন আছে। অর্থাৎ কোনো সংখ্যা পদ্ধতির বেজ যত ঐ সংখ্যা পদ্ধতিতে তত গুলো মৌলিক প্রতীক বা অংক রয়েছে। তিন ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি বলতে বুঝায় ঐ সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট তিনটি মৌলিক প্রতীক বা অংক রয়েছে। যথা-০, ১, ২

পাঁচ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি বলতে বুঝায় ঐ সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট পাঁচটি মৌলিক প্রতীক বা অংক রয়েছে। যথা- ০, ১, ২, ৩,৪

সাত ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি বলতে বুঝায় ঐ সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট সাতটি মৌলিক প্রতীক বা অংক রয়েছে। যথা- ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫,৬

নয় ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি বলতে বুঝায় ঐ সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট নয়টি মৌলিক প্রতীক বা অংক রয়েছে। যথা- ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮

৩। কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ কাজে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহারের কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ–কম্পিউটার ডিজাইনে অন্যান্য সংখ্যা পদ্ধতির তুলনায় বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বহুল ব্যবহৃত হয়। কারণ সমূহ নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি অন্যান্য সংখ্যা পদ্ধতি অপেক্ষা সরলতম সংখ্যা পদ্ধতি।

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে দুইটি বিট ব্যবহৃত হয়। যা সহজে ইলেক্ট্রনিক উপায়ে নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়েছে বলে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

মাত্র দুটি অবস্থান থাকায় যেকোনো ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র তৈরিতে বর্তনী বা সার্কিট অনেক ছোট হয়। বাইনারি বিট ব্যবহারের ফলে দ্রুততার সাথে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করা সম্ভব হচ্ছে।

দশমিক পদ্ধতির সকল হিসাব বাইনারি পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়।

৪। 5D/988 সংখ্যাটি কী ধরনের? ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ–5D একটি হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা। আমরা জানি, হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট ১৬ টি মৌলিক চিহ্ন বা প্রতীক ব্যবহার করা হয়। ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, A, B, C, D, E, F। হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে A, B, C, D, E, F এই প্রতীক সমূহের সমকক্ষ দশমিক মান যথাক্রমে ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫। যেহেতু 5D সংখ্যাটিতে D প্রতীক বিদ্যমান যা শুধু মাত্র হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতেই রয়েছে। সুতরাং 5D একটি হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা। অপরদিকে 988 সংখ্যাটি দশমিক ও হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি। কারণ শুধুমাত্র দশমিক এবং হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে ৮ এবং ৯ অংক দুইটি বিদ্যমান।

৫। “অক্ট্যাল তিন বিট বিশিষ্ট সংখ্যা পদ্ধতি”-ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ–অক্ট্যাল সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ৮। এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংক সমূহ ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭। কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ সকল কাজ শুধুমাত্র বাইনারি পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয় যেখানে ০ এবং ১ এই দুইটি অংক বিদ্যমান। সেজন্য অক্ট্যাল সংখ্যা পদ্ধতিকে বাইনারি সংখ্যার সংক্ষিপ্ত রূপ বলা হয়ে থাকে। অক্ট্যাল থেকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে রুপান্তরের জন্য প্রতিটি অক্ট্যাল সংখ্যাকে ডান দিক থেকে তার সমতুল্য তিন বিট বাইনারি অংকে সাজিয়ে লিখে এদের একত্র করলেই অক্ট্যাল সংখ্যার সমমান বাইনারি পাওয়া যায়। যেমন- (123)8 এর বাইনারি হবে (001010111)2

৬। 3+5=10 কেন? ব্যাখ্যা কর।/ 7+1=10 কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ–3+5=10 এবং 7+1=10 মূলত একটি অক্ট্যাল সংখ্যা পদ্ধতির যোগফল। অক্ট্যাল সংখ্যা পদ্ধতিতে 0-7 পর্যন্ত মোট ৮টি সংখ্যা ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ অক্ট্যাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ৮ এবং ৯ এর কোন ব্যবহার নেই। এই কারণে অক্ট্যাল সংখ্যার যোগের ক্ষেত্রে যোগফলটি পরের সংখ্যা ৮ না হয়ে ১০ হয়। কারণ ১০ হলো দুটি আলাদা অংক ০ এবং ১ এর সমন্বয়ে তৈরি সংখ্যা। এই ০ এবং ১ অক্ট্যাল সংখ্যা পদ্ধতির অন্তর্গত।

৭। “বিট এবং বাইট এক নয়”-ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ–বিটঃ- Binary Digit এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে Bit. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ডিজিট 0 এবং 1 প্রত্যেকটিকে এক একটি বিট বলা হয়।

বাইটঃ- বাইনারি ডিজিট ০ এবং ১ সর্বমোট আট বার পাশাপাশি অবস্থান করে এক বাইট সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ ১ বাইট= ৮ বিট। যেমন- 10001001= এক বাইট।

৮। কম্পিউটারে কেন ০ এবং ১ এর ব্যবহার সুবিধাজনক? ব্যাখ্যা কর।/ “কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশের কার্যপদ্ধতির সাথে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি সামঞ্জস্যপূর্ণ”-ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ–বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে দুইটি অংক ০ এবং ১ ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটার ডিজাইনে অন্যান্য সংখ্যা পদ্ধতির তুলনায় বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বহুল ব্যবহৃত হয়। কারণ সমূহ নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি অন্যান্য সংখ্যা পদ্ধতি অপেক্ষা সরলতম সংখ্যা পদ্ধতি।

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে দুইটি বিট ব্যবহৃত হয়। যা সহজে ইলেক্ট্রনিক উপায়ে নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়েছে বলে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

মাত্র দুটি অবস্থান থাকায় যেকোনো ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র তৈরিতে বর্তনী বা সার্কিট অনেক ছোট হয়। বাইনারি বিট ব্যবহারের ফলে দ্রুততার সাথে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করা সম্ভব হচ্ছে।

দশমিক পদ্ধতির সকল হিসাব বাইনারি পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়।

৯। (১৪)১০ সংখ্যাটি লিখতে BCD কোড এবং বাইনারি কোডের মধ্যে কোনটিতে বেশি মেমোরি প্রয়োজন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ– BCD শব্দের পূর্ণরূপ হলো Binary Coded Decimal। দশমিক সংখ্যার প্রতিটি অংককে সমতুল্য বাইনারি সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করার পদ্ধতিকে বিসিডি কোড বলে। ৪ টি বিট দ্বারা 24 অর্থাৎ ১৬ টি ভিন্ন অবস্থা নির্দেশ করা যায়। (১৪)১০ এর BCD কোড হবে ০০০১০১০০ অর্থাৎ (১৪)১০=০০০১০১০০ যাতে মোট ৮ টি বিট প্রয়োজন হয়। অপরদিকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে (১৪)১০ এর মান হয় ১১১০ অর্থাৎ (১৪)১০=১১০০। বাইনারি পদ্ধতিতে (১৪)১০ এর বাইনারি লিখতে মাত্র ৪ টি বিট প্রয়োজন হয়। সুতরাং কোন একটি সংখ্যা BCD কোডে লিখতে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় বিটের তুলনায় বেশি বিট অর্থাৎ বেশি মেমোরি প্রয়োজন হয়।

১০। “যোগের মাধ্যমে বিয়োগের কাজ সম্ভব”-ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ– সকল ধরনের গাণিতিক হিসাব যোগ(+), বিয়োগ(-), গুণ(*) এবং ভাগের(/) মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। আবার যোগের মাধ্যমে গুণের এবং বিয়োগের মাধ্যমে যোগের কাজ করা সম্ভব। ঠিক তেমনি ২-এর পরিপূরক পদ্ধতি ব্যবহার করে যোগ এবং বিয়োগের কাজ সম্পন্ন করা যায়। তাই আধুনিক কম্পিউটারে সকল গাণিতিক হিসাব সম্পন্ন করার জন্য শুধু মাত্র যোগের বর্তিনী ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত বর্তনী অনেক সরল, দামে সস্তা এবং দ্রুত গতি সম্পন্ন। যেকোনো বাইনারি সংখ্যার ১-এর পরিপূরক অর্থাৎ ঐ বাইনারি মানের ০ এর স্থলে ১ এবং ১ এর স্থলে ০ বসিয়ে প্রাপ্ত বাইনারি মানের সাথে ১ যোগ করে ২-এর পরিপূরক মান পাওয়া যায়।

১১। ২-এর পরিপূরকের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ– ইলেক্ট্রনিক্স প্রযুক্তির যন্ত্র সমূহে ২-এর পরিপূরক পদ্ধতি ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম। নিচে ২-এর পরিপূরকের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হলো-

প্রকৃত মান পাঠ এবং ১-এর পরিপূরক গঠনে ০ এর জন্য দুটি বাইনারি শব্দ (+০ এবং -০) সম্ভব। বাস্তবে +০ এবং -০ বলতে কিছু নেই, শুধু ০ আছে। ২-এর পরিপূরক গঠনে এই ধরনের কোন সমস্যা হয় না।

প্রকৃত মান পাঠ ও ১-এর পরিপূরকে যোগ এবং বিয়োগের জন্য পৃথক বর্তনী ব্যবহৃত হয়, ২-এর পরিপূরকে একই বর্তনীর মাধ্যমে যোগ এবং বিয়োগের কাজ করা হয়।

১-এর পরিপূরকের ক্ষেত্রে দুইটি সমান সংখ্যার বিয়োগফল আসে -০, অপরদিকে ২-এর পরিপূরকে আসে ০।

১-এর পরিপূরকে ব্যবহৃত বর্তনী অনেক জটিল। কিন্তু ২-এর পরিপূরকে ব্যবহৃত বর্তনী সরল।

২-এর পরিপূরকে তৈরিকৃত বর্তনী দামে অনেক সস্তা।

২-এর পরিপূরকে তৈরিকৃত বর্তনী দ্রুত কাজ করে।

১২। “ইউনিকোড পদ্ধতি পৃথিবীর সকল ভাষার মানুষের জন্য আশীর্বাদ”-ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ– ইউনিকোড মূলত ২ বাইট বা ১৬ বিটের কোড। এই কোডের মাধ্যমে ২১৬ অর্থাৎ ৬৫,৫৩৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়। এর ফলে যেসব ভাষাকে কোডের অন্তর্ভুক্ত করতে ৮ বিট পর্যাপ্ত ছিল না ( যেমন- বাংলা, চাইনিজ, জাপানিজ ইত্যাদি), সেসকল ভাষার সকল চিহ্নকে কোডভুক্ত করা অনেক সহজ হয়ে যায়। বর্তমানে এই কোডের ব্যবহার পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

ইউনিকোড ২ বাইট বা ১৬ বিটের কোড। যার দ্বারা ২১৬ বা ৬৫৫৩৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়।

যেকোনো ক্যারেক্টারকে কোড করার জন্য ১৬ বিট ব্যবহার করা হয়।

এই কোডের সাহায্যে বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারে কোডভুক্ত করা সম্ভব।

ইউনিকোড থেকে অন্যান্য যেকোনো স্টান্ডার্ড কোডে পরিবর্তন করা যায়।

ইউনিকোড অ্যাসকি কোডের সাথে কম্প্যাটিবল অর্থাৎ ইউনিকোডের প্রথম ২৫৬ টি কোড, অ্যাসকি কোডের অনুরূপ।

১৩। ইউনিকোডের পূর্বে বহুল ব্যবহৃত আলফানিউমেরিক কোড কোনটি?-ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ– ইউনিকোডের পূর্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আলফানিউমেরিক কোডটি হলো ASCII কোড। ASCII এর পূর্ণরূপ American Standard Code for Information Interchange। বর্তমানে ASCII কোড বলতে ASCII-8 কে বুঝায়। ASCII-8 যা আটটি বিট নিয়ে গঠিত। যার বাম দিকের তিনটি বিটকে জোন বিট (Zone bit) এবং ডান দিকের চারটি বিটকে সংখ্যাসূচক বিট বলা হয়। এক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত বিট ব্যবহৃত হয় যাকে প্যারিটি বিট বলা হয়। ASCII-8 এ 2n=28 সংখ্যক মোট ২৫৬ টি মৌলিক চিহ্ন বা প্রতীক অদ্বিতীয়ভাবে নির্দিষ্ট করা যায়। বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার বিশেষ করে মাইক্রোকম্পিউটারে ASCII কোডের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। যেমন- কী বোর্ড, মাউস, মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদিতে আলফানিউমেরিক ডেটা আদান-প্রদানের জন্য ASCII কোড ব্যবহৃত হয়।

১৪। “(১৪৯)১০ সংখ্যাকে কম্পিউটার সরাসরি গ্রহণ করে না।” -ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ– আমার দৈনন্দিন কাজে দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করি যা কম্পিউটার বুঝতে পারে না। কম্পিউটার বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে সকল কার্য সম্পাদন করে। অর্থাৎ কম্পিউটারে কোন সংখ্যা লিখলে কম্পিউটার তা বাইনারিতে রূপান্তর করে। যেকোনো সংখ্যাকে কম্পিউটারের ভাষায় রূপান্তর করার ক্ষেত্রে এক ধরনের বিশেষ বর্তনী বা সার্কিট ব্যবহার করা হয় যা এনকোডার নামে পরিচিত। এই সকল কারণে কম্পিউটার (১৪৯)১০সংখ্যাকে সরাসরি গ্রহণ করে না।

১৫। চিহ্নযুক্ত সংখ্যা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ– ধনাত্মক ও ঋণাত্মক সংখ্যা লেখার জন্য সংখ্যার পূর্বে ধনাত্মক (+) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। আবার একই ভাবে ঋণাত্মক সংখ্যা লেখার জন্য সংখ্যার পূর্বে ঋণাত্মক (-) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এই ধনাত্মক বা ঋণাত্মক চিহ্ন যুক্ত সংখ্যাকে চিহ্নযুক্ত সংখ্যা বা সাইন্ড নাম্বার বলে। বাইনারি পদ্ধতিতে এই সাইন বা চিহ্ন বোঝানোর জন্য একটি অতিরিক্ত সংখ্যা ব্যবহার করা হয় যা চিহ্ন বিট নামে পরিচিত। এই চিহ্ন বিট এর মান শূন্য (0) হলে সংখ্যাটি ধনাত্মক এবং এক (1) হলে সংখ্যাটিকে ঋণাত্মক ধরা হয়। ১৬। ” ১-এর পরবর্তী সংখ্যা ১০ হতে পারে” -ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ– দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে ১-এর পরবর্তী সংখ্যা হয় ২। প্রাপ্ত ২ সংখ্যাটিকে বাইনারিতে প্রকাশ করলে মান হবে ১০। যেহেতু ১ এর পরবর্তী প্রাপ্ত ২ সংখ্যাটির বাইনারি মান হয় ১০। সুতরাং ১-এর পরবর্তী সংখ্যাটি ১০ বলা যায়।

আরো পড়ুনঃ-

Download From Google Drive

Download

Download From Yandex

Download

👀 প্রয়োজনীয় মূর্হুতে 🔍খুঁজে পেতে শেয়ার করে রাখুন.! আপনার প্রিয় মানুষটিকে “send as message”এর মাধ্যমে শেয়ার করুন। হয়তো এই গুলো তার অনেক কাজে লাগবে এবং উপকারে আসবে।