একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ICT বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
অধ্যায়ের সকল প্রশ্ন উত্তর একসাথে
প্রথম অধ্যায়ঃ- বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
১. তথ্য প্রযুক্তি(Information Technology) কাকে বলে?
উত্তরঃ- কম্পিউটার এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ, একত্রীকরণ, সংরক্ষন, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিনিময় বা পরিবেশনের ব্যবস্থাকে তথ্য প্রযুক্তি বলে বা সংক্ষেপে এই| প্রযুক্তিকে IT বলা হয়।
২. যোগাযোগ প্রযুক্তি(Communication Technology) কাকে বলে?
উত্তরঃ- যে প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনো তথ্য এক স্থান হতে অন্য স্থানে কিংবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর কিংবা একজনের ডেটা অন্যের নিকট স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে।
৩. ICT কী? ?
উত্তরঃ- ICT এর পূর্নরূপ হলো Information & Communication Technology. প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, সত্যতা ও বৈধতাযাচাই, সংরক্ষন, প্রক্রিয়াকরন, আধুনিকরন ও ব্যবস্থাপনাকরা হয় এবং তথ্য এক স্থান হতে অন্য স্থানে কিংবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর কিংবা একজনের ডেটা অন্যের নিকট স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। অথবা, যে প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনো ডেটাকে এক স্থান হতে অন্য স্থানে কিংবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর কিংবা একজনের ডেটা অন্যের নিকট স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে ।
৪. তথ্য প্রযুক্তির অবদান সমূহ লেখ।
উত্তরঃ-
ক) অপচয় রোধকরে
খ) সময় সাশ্রয়ী হয়।
গ) তথ্যের প্রাপ্যতা সহজ হয়।
ঘ) তাৎক্ষনিক যোগাযোগ সম্ভব হয়। যেমনঃ ফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট, ই-মেইল, এসএমএস, এমএমএস প্রভৃতি।
ঙ) সর্বক্ষেত্রে দক্ষতাবৃদ্ধি পায়।
চ) ব্যবসায়-বানিজ্যে লাভজনক প্রক্রিয়াসৃষ্টিকরে।
ছ) মানব সম্পদের উন্নয়ন ঘটায়।
জ) শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই অনলাইনে বিশ্বের বিভিন্ন নামী-দামী শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষা গ্রহন করতে পারবে।
ঝ) ঘরে বসেই বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, মোবাইল ফোনের বিল সহ সকল কাজ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
৫. তথ্য প্রযুক্তি উপাদান সমূহের নাম লেখ।
ক) কম্পিউটার ও আনুসঙ্গিক যন্ত্রপাতি।
খ) কম্পিউটিং।
গ) রেডিও, টেলিভিশন, ফ্যাক্স, ।
ঘ) অডিও ভিডিও।
ঙ) স্যাটেলাইট।
চ) কম্পিউটার নেটওয়ার্ক।
ছ) ইন্টারনেট।
জ) আধুনিক টেলিযোগাযোগ ।
ঝ) মডেম ইত্যাদি।
৬. কম্পিউটার কাকে বলে?
উত্তরঃ-Computer শব্দটি গ্রিক শব্দ থেকে এসেছে। কম্পিউট (Computer) শব্দ থেকে Computer শব্দটি উৎপত্তি। Computer শব্দের অর্থ গণনাকারী। অর্থাৎ কম্পিউটার শব্দের আভিধানিক অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। শুরুতে কম্পিউটারের পরিচয় ছিল গণনা যন্ত্রের। কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে গণনা যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন একটি যন্ত্র যা তথ্য গ্রহন করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যমে তা বিশ্লেষন এবং উপস্থাপন করে। অথবা, এটি এমন একটি যন্ত্র যা তথ্য গ্রহন করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যমে তা বিশ্লেষন করে গানিতিক ও যুক্তিমূলক কাজ সঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে পারে তাকে কম্পিউটার বলে। কম্পিউটার আবিস্কারক ও 1930 সালে মার্ক-১ ডঃ হাওয়ার্ড এইচ আইকেন (Howard H. Aiken)।
৭. কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য সমূহ লেখ।
ক) দ্রুতগতি।
খ) নির্ভূলতা।
গ) সূক্ষতা।
ঘ) বিশ্বাসযোগ্যতা।
ঙ) ক্লান্তিহীনতা
চ) স্মৃতিশক্তি।
ছ) স্বয়ংক্রিয়তা।
জ) যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত।
ঝ) বহুমুখিতা।
ঞ) অসীম জীবনীশক্তি ।
৮. কম্পিউটারের কাজ করার গতি কি হিসেবে নির্ণয় করে?
উত্তরঃ- কম্পিউটার কাজ করে “ন্যানো সেকেন্ডে”যা 1 সেকেন্ডের 100 কোটি ভাগের এক ভাগ (10° সেকেন্ড)।
৯. রেডিও কী?
উত্তরঃ- রেডিও একটি গ্রাহকযন্ত্র। রিসিভারের মাধ্যমে বেতার তরঙ্গ ধারন করে তাকে এমপ্লিফাই করে বাজিয়ে রেডিওতে শোনা যায়। দূরবর্তী স্থানে বেতার তরঙ্গ পাঠিয়ে শব্দ স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে বহুল জনপ্রিয় হলো FM (Frequency Modulation) রেডিও রেডিও আবিস্কারক ও 1894 সালে গুগলিমও মারকনি (Guglielmo Marconi)
১০. টেলিভিশন কী?
উত্তরঃ- টেলিভিশন হলো ছবি ও শব্দ প্রেরক্যন্ত্র। এটি একটি একমূখী যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রচার কেন্দ্র থেকে রেকর্ডকৃত অথবা ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে ধারনকৃত ইলেকট্রিক সিগন্যাল পাঠানো হয় এবং উক্ত সম্প্রচার কেন্দ্রের চ্যানেলে সংযোগকৃত টেলিভিশন সেটে তথ্য ছবি, শব্দ এবং লাইভ প্রোগ্রাম ইত্যাদি দেখা যায়।
আবিস্কারকঃ 1926 সালে জন লোগি বেয়ার্ড (John Logie Baird)।
১১. স্যাটেলাইট কী ও এটি কত ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তরঃ- স্যাটেলাইট হলো একটি কৃত্রিম উপগ্রহ যা পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে এমন স্থানে স্থাপিত বিশেষ ধরনের তারবিহীন রিসিভার/ট্রান্সমিটার হলো স্যাটেলাইট। আবিস্কারক ও 1957 সালে (Verner E.Suomi) ভারনার ই সওমি।
স্যাটেলাইটের কাজের উপর ভিত্তি করে কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যথাঃ ক) ওয়েদার স্যাটেলাইট।
খ) কমিউনিকেশান স্যাটেলাইট।
গ) ন্যাভিগেশান স্যাটেলাইট।
ঘ) আর্থ অবর্জাভেশন স্যাটেলাইট।
ঙ) মিলিটারী স্যাটেলাইট।
১২. ইন্টারনেট কী?
উত্তরঃ- ইন্টারনেট হলো পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। অথবা,একটি কম্পিউটারের সাথে আরেকটি কম্পিউটারের যোগাযোগকে নেটওয়ার্ক বলে। আর একটি নেটওয়ার্কের সাথে এক বা একাধিক নেটওয়ার্কের সংযোগ হয়ে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত যোগাযোগকে ইন্টারনেট বলে ।
আবিস্কারকঃ 1969 সালে ভিনটন জি কার্ফ (Vinton G.Cerf)
১৩. ই-মেইল(E-Mail) কী?
উঃ ই-মেইল হল ইলেকট্রনিক মেইল (Electronic Mail) এর সংক্ষিপ্ত রুপ। ই-মেইল হলো কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য আদান- প্রদান করার প্রক্রিয়া।
অথবা, Electronic Mail কে সংক্ষেপে E-Mail বলা হয়। এটি একটি উন্নত ও দ্রুত বৈদ্যুতিক ডাক ব্যবস্থা। এটি এমন এক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা যার মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে তাৎক্ষনিকভাবে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে সংবাদ আদান-প্রদান করা যায় । কয়েকটি Mail Address হচ্ছে gmail, yahoo, hotmail, , outlook, zoho, vandex, , proton,icloud,ইত্যাদি। আবিস্কারক ও 1971 সালে রে টমলিনসন (Ray Tomlinson) Arpanet এর মাধ্যমে E-mail প্রেরন করেন এবং @ চিহ্ন প্রথম ব্যবহার করেন।
১৪. রিজার্ভেশন সিস্টেম (Reservation System)কাকে বলে?
উত্তরঃ- যোগাযোগ ক্ষেত্রে রিজার্ভেশন সিস্টেম বর্তমানে বহুল প্রচলিত। ইলেকট্রনিক উপায়ে আসন বিন্যস্ত করাকে রিজার্ভেশন সিস্টেম বলে। যেমনঃ বিমান, রেলওয়ে, দূরপাল্লার বাস, হােটেলের সীট ,অগ্রিম বুকিং ইত্যাদি।
১৫. মোবাইল ফোন কাকে বলে?
উত্তরঃ- মোবাইল ফোন হলো একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা বেস স্টেশনের একটি সেলুলার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ফুল ডুপ্লেক্স দ্বিমুখী রেডিও টেলিকমিউনিকেশন্সকে ব্যবহার করে থাকে। এ ফোনকে মােবাইল, সেলুলার ফোন, সেলফোন নামেও ডাকা হয়।
আবিস্কারকঃ-1973 সালে মার্টিন কুপার (Martin Cooper)।
১৬. টেলিকনফারেন্সিং (Teleconferencing) কাকে বলে?
উত্তরঃ- টেলিফোন সংযোগ ব্যবহার করে কম্পিউটার অডিও- মডেম-ভিডিও যন্ত্রের সাহায্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোন সভায় অংশগ্রহন করার পদ্ধতি হচ্ছে টেলিকনফারেন্সিং।
টেলিকনফারেন্সিং ৩ প্রকার যথাঃ
ক) পাবলিক কনফারেন্স।
খ) ক্লোজড কনফারেন্স।
গ) রীড অনলি কনফারেন্স।
আবিস্কারক 1975 সালে মরিল টারফ (Morrill Tariff)।
১৭. ভিডিও কনফারেন্সিং কাকে বলে?
উত্তরঃ- ভিডিও কনফারেন্সিং হলো এক সারি ইন্টারঅ্যাকটিভ টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি যেগুলো দুই বা ততোধিক অবস্থান হতে নিরবিচ্ছিন্ন দ্বিমুখী অডিও এবং ভিডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে একত্রে যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ দেয় তাকে ভিডিও কনফারেন্সিং বলে।
১৮. ইন্টারনেটকে বিশ্বগ্রামের মেরুদন্ড বলা হয় কেন?
উত্তরঃ- ইন্টারনেটের মাধ্যমেই মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করে একে অপরের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য আদান প্রদান করতে পারে। এইজন্যই ইন্টারনেট হচ্ছে বিশ্বগ্রাম সংযুক্ততার মেরুদন্ড। অথবা,বিশ্বগ্রাম হচ্ছে এমন একটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন যেখানে কমুউনিটির সকল সদস্য ইন্টারনেট তথা তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নতির ফলে বসবাসযোগ্য পৃথিবী ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে, যেন একটি গ্রামে পরিনত হচ্ছে। আর এর প্রধান সহায়ক শক্তি হচ্ছে তথ্য ইন্টারনেট। সুতরাং বলা যায়, বিশ্বগ্রাম হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবস্থা অতএব বলা যায় যে ইন্টারনেটই বিশ্বগ্রামের মেরুদন্ড।
১৯. বিশ্বগ্রাম (Global Village) কাকে বলে?
উত্তরঃ-বিশ্বগ্রাম হচ্ছে এমন একটি সামাজিক বা সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা, যেখানে পৃথিবীর সকল প্রান্তের মানুষই একটি একক সমাজে বসবাস করে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তারা সহজেই তাদের চিন্তা-চেতনা, অভিজ্ঞতা, সংস্কৃতি-কৃষ্টি ইত্যাদি বিনিময় করতে পারে ও একে অপরকে সেবা প্রদান করে থাকে। অথবা,Global Village শব্দের অর্থ বিশ্বগ্রাম । Global Village হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিনির্ভর এমন একটি পরিবেশ, যেখানে দূরবর্তী স্থানে অবস্থান করেও পৃথিবীর সকল মানুষই একটি একক সমাজে বসবাস করার সুবিধা পায় এবং একে অপরকে সেবা প্রদান করে থাকে। আবিস্কারকঃ 1962 সালে তার প্রকাশিত বই দ্যা গুটেনবার্গ গ্যালাক্সি(The Gutenberg Galaxy) বিশ্বগ্রাম শব্দটি তুলে ধরেন। কানাডিয়ান দার্শনিক ও লেখক হারবার্ট মার্শাল ম্যাকলুহান(Herbert Marshall McLuhan) ।
২০.বিশ্বগ্রামের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লেখ।
উত্তরঃ- বিশ্বগ্রামের সুবিধা সমূহঃ
১) মোবাইল ফোন, ইন্টারনেটের কারণে বিশ্বগ্রাম হওয়ায় বিশ্ব আজ মনুষের হাতের মুঠোয়।
২) বিভিন্ন দেশ এবং তাদের সাংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যায়।
৩) ক্লিক করে মুহূর্তেই যে কোন দেশের তথ্য জানা যায়।
৪) মুহুর্তের মধ্যে বিশ্বের যে কোন স্থানের কোন ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ করা যায়।
৫) মানুষের কাজের দক্ষতা এবং গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৬) সহজেই বিভিন্ন গবেষনার ফলাফল জানা যাচ্ছে।
৭) ঘরে বসেই বিভিন্ন দেশের পত্র-পত্রিকা পড়া সহ সকল কাজ করা যায়।
৮) পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বসে চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়।
৯) ই-ব্যাকিং, ই-লার্নিং, ই-মেইল, ই-বুক, ই-সংবাদ ইত্যাদি সেবা সহজেই পাওয়া যায়
১০)ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসােসিং করে উপার্জন করা যায়।
বিশ্বগ্রামের অসুবিধা সমুহঃ
১) ইন্টানেট হ্যাকিং করে তথ্য চুরি হওয়া।
২) অসত্য তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে ।
৩) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য চুরি করা। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি
৪) সাইবার আক্রমন সংঘটিত হওয়া।
৫) সহজে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ফলে কোন দেশের নিজস্ব সংস্কৃতির বিলুপ্তি ঘটা।
৬) প্রযুক্তির বেশি ব্যবহারের ফলে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়া।
৭) জনগন কোন কিছু পড়ে এর সুত্রে যাচাই না করে সত্য বলে গ্রহন করতে পারে।
২১. বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার উপাদানসমূহ বর্নণা দাও।
উত্তরঃ- নিচে বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার প্রধান প্রধান উপাদানসমূহ উল্লেখ করার হলোঃ-
১) হার্ডওয়্যার (Hardware)।
২) সফটওয়্যার (Software)।
৩) কানেকটিভিটি (Connectivity)।
৪) ডেটা (Data)।
৫) মানুষের জ্ঞান বা সক্ষমতা (Capacity)। হার্ডওয়্যার(Hardware) যে সকল যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা যায় ও অনুভব করা যায় তাকে হার্ডওয়্যার বলে। হার্ডওয়্যার বলতে এখানে কম্পিউটার আর এক সাথে যন্ত্রপাতি, মোবাইল ফোন, স্মার্ট ফোন, অডিও-ভিডিও রেকর্ডার, স্যাটেলাইট, রেডিও, টেলিভিশন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত ডিভাইস সমূহ । সফটওয়্যার(Software) ও সফটওয়্যার হলো এমন একটি সুক্ষ জিনিস যা শুধুমাত্র অনুভব করা যায় কিন্তু স্পর্শ করা যায় না তাকে সফটওয়্যার বলে। সফটওয়্যারের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজিং সফটওয়্যার, কমিউনিকেটিং সফটওয়্যার এবং প্রোগ্রামিং ভাষা। কানেকটিভিটি (Connectivity) বিশ্বগ্রামের গ্রামের মেরুদন্ড হলো নিরাপদভাবে রিসোর্স শেয়ার করার ইন্টারনেট সংযুক্ততা বা কানেকটিভিটি যার মাধ্যমে বিভিন্ন উপাত্ত ও তথ্য প্রতিটি মানুষের নিকট পৌঁছাতে পারে।
এক্ষেত্রে টেলিকমিউনিকেশন, ব্রডকাষ্টিং এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। ডেটা(Data) : ডেটা হচ্ছে অগোছালো বা এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিছু তথ্য বা Information। ডেটাকে প্রক্রিয়াকরন বা প্রসেসিং করে ব্যবহারযোগ্য ইনফরমেশন বা তখ্যে পরিনত করা হয়। মানুষের জ্ঞান বা সক্ষমতা(Capacity) : বিশ্বগ্রামের উপাদানগুলো মধ্যে মানুষের জ্ঞান বা সক্ষমতা অন্যতম। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো ব্যবহার করার জ্ঞান না থাকলে এর সুফল পাওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং বলা যায়- যে কোনো বিষয়ে জ্ঞান আহরণ বা বিতরনের জন্য এই প্রযুক্তিতে মানুষের জ্ঞান বা সক্ষমতা অত্যাবশ্যক।
২২. বিশ্বগ্রামের ধারনা সংশ্লিষ্ট প্রধান উপাদানসমূহ গুলো কি কি?
উত্তরঃ- প্রধান প্রধান উপাদানগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
১) যোগাযোগ (Communication)।
২) কর্মসংস্থান (Employment)
৩) শিক্ষা (Education)।
৪) চিকিৎসা (Care And Treatment)।
৫) গবেষনা (Research)।
৬) অফিস (Office)।
৭) বাসস্থান (Residence)।
৮) ব্যবসায়-বানিজ্য (Business)।
৯) সংবাদ (News)।
১০)বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ (Entertainment and Social Communication)
১১) সাংস্কৃতিক বিনিময় (Cultural Exchange)।
২৩. তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বগ্রাম-ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ- বিশ্বগ্রাম এমন একটি পরিবেশ যেখানে পৃথিবীর সকল মানুষ একক সমাজে বসবাস করে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একে অপরকে সেবা প্রদান করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তৃত ব্যবহার তথা তথ্য আদান প্রদানের জন্য ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ের সাথে সংযোগ ছাড়া বিশ্বগ্রামের ধরণা অসম্ভব।
২৪.BBS কাকে বলে?
উত্তরঃ- BBS এর পূর্নরুপ হলো Bulletin Board System এটি একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের অর্থাৎ মেইনফ্রেম বা মিনি বা সুপার মাইক্রো কম্পিউটারের সাথে টেলিফোন লাইন বা ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে কম ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটারের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করার ব্যবস্থাকে বুলেটিন বোর্ড বলে।
২৫. আউটসোসিং (Outsourcing) কাকে বলে?
উত্তরঃ- কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্টানের কাছ হতে অর্ডার নিয়ে হাজার হাজার কাজ অর্থের বিনিময়ে সম্পাদন করাকে আউটসোসিং বলে। আউটসোসিং কে ফ্রিল্যান্সিং বা উন্মুক্ত পেশা বলা হয় যেমনঃ Odesk.com,Freelance.com ইত্যাদি সাইট হতে কাজ নিয়ে কাজ করা যায় ।
২৬. ডিজিটাল ক্লাস রুম বা মাল্টিমিডিয়া রুম কী?
উত্তরঃ- ডিজিটাল ক্লাস রুম হচ্ছে কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ। শ্রেনিকক্ষে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ডেস্কে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বা নোট প্যাড ব্যবহার করার ব্যবস্থা থাকবে। শিক্ষক কর্তৃক মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে কম্পিউটার দ্বারা বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে পাঠদানের উপযোগী ক্লাসকে ডিজিটাল ক্লাস রুম বলে।
২৭. ভার্চুয়াল রিয়েলিটি(Virtual Reality) কাকে বলে?
উত্তরঃ-প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী, বিজ্ঞাননির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সফটওয়্যার নির্মিত একটি কাল্পনিক পরিবেশ, যা ব্যবহারকারীর কাছে বাস্তব জগৎ হিসেবে বিবেচিত হয়।
২৮. Smart Home কী?
উত্তরঃ- Smart Home হলো এমন একটি বাসস্থান যেখানে রিমােট কন্ট্রোলিং বা প্রোগ্রামিং ডিভাইসের সাহায্যে বাড়ির হিটিং সিস্টেম, কুলিং সিস্টেম, লাইটিং সিস্টেম ও সিকিউরিটি কন্ট্রোল সিস্টেম ইত্যাদি নিয়ন্ত্রন করা যায়
২৯. নৈতিকতা কী?
উত্তরঃ- নৈতিকতা হলো মানুষের কাজ কর্ম, আচার ব্যবহারের সেই মূলনীতি যার ওপর ভিত্তি করে মানুষ একটি কাজের ভালো বা মন্দ দিক বিচার বিশ্লেষন করতে পারে।
৩০.কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা(Artificial Intelligent) কী?
উত্তরঃ- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত হলো মানুষের চিন্তাভাবনা গুলোকে কৃত্রিম উপায়ে কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রের মধ্যে রুপ দেওয়ার ব্যবস্থা করা। আবিস্কারকঃ ১৯৫৬ সালে মিট (MIT) ও এন ম্যাকগী (John McCarthy)
৩১. এক্সপার্ট সিস্টেম কাকে বলে?
উত্তরঃ- এক্সপার্ট সিস্টেম হলো এক ধরনের সিদ্ধান্ত সমর্থন পদ্ধতি যা নির্দিষ্ট বিষয়ে মানুত্রে ন্যায় কৃত্রিম দক্ষতা নিয়ে তৈরি। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অনেকগুরো মাইক্রোপ্রসেসর ও চিপ ব্যবহার করে প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে কম্পিউটার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সৃষ্টি করা হয়। এ সিস্টেম থেকে প্রশ্ন করে উত্তর জানতে পারে।
৩২. রোবটিক্স(Robotics) কী?
উত্তরঃ- Robot শব্দটি এসেছে ভিক শব্দ Robota হতে যার অর্থ ‘শ্রমিক’ । প্রযুক্তির যে শাখায় রোবটের নকশা, গঠন ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেই শাখাকে Robotics বলে। আবিস্কারক ? 1920 সালে জোসেফ এফ এঞ্জেলবার্জার (Joseph F. Engelberger)।
৩৩. ক্রায়োসার্জারি(Cryosurgery) কাকে বলে?
উত্তরঃ- ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি। গ্রিক শব্দ ‘Cryo’ অর্থ বরফের মতো ঠান্ডা এবং Surgery’ অর্থ হাতের কাজ। যে পদ্ধতিতে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা হয় তাকে ক্রায়োসার্জারি বলে। আবিস্কারক ? 1920 সালে ড. ইরভিং কুপার (Irving Cooper) ও আর্নল্ড লি (Arnold Lee) ।
৩৪. ক্রায়োপব(Cryoprobe) কী?
উত্তরঃ- ক্রায়োসার্জারি পদ্ধতিতে রোগাক্রান্ত টিস্যুর উপর এক প্রকার গোলাকার নল দিয়ে প্রলেপ দেয়া হয়। এই গোলাকার নলকে ক্রায়োপ্রব বলে।
৩৫.মহাকাশ অভিযান কী?
উত্তরঃ- পৃথিবীর বাইরে মহাশূন্যের রহস্য আবিস্কারের উদ্দেশ্যে চালিত অনুসন্ধান বা অভিযানকে মহাকাশ অভিযান বলা হয়।
৩৬. বায়োমেট্রিক্স কাকে বলে?
উত্তরঃ- “Biometrics” গ্রিক শব্দ। “Bio” অর্থ জীবন ও “metric” অর্থ পরিমাপ। বায়োমেট্রিক্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে কোনো ব্যক্তির দেহের গঠন ও বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তাকে Unique বা অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত করা হয় তাকে বায়োমেট্রিক্স বলে। আবিস্কারক 1978 সালে পাওলিন হ্যওয়েগ (Paulien Hogeweg)
৩৭. বায়োমেট্রিক্স এর ব্যবহার সমূহ লেখ।
উত্তরঃ- বায়োমেট্রিক্স এর ব্যবহার সমূহ-
১) পাসপোর্ট তৈরি।
২) আইডি কার্ড।
৩) ড্রাইভিং লাইসেন্স।
৪) ডোর কন্ট্রোল ।
৫) এটিএম কার্ড।
৬) আইনশৃঙ্খলায়।
৭) কম্পিউটার কন্ট্রোল সিকিউরিটি
৮) সেলারি ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।
৩৮.জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কাকে বলে?
উত্তরঃ- কোন জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন (Gene) বহনকারী DNA(Deoxyribonucleic acid) পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে।
অথবা,বংশগতি সংক্রান্ত বিষয়ে আহরিত জ্ঞানকে মানুষের মঙ্গলের উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো প্রক্রিয়াকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। আবিস্কারক ও 1951 সালে জ্যাক উইলিয়ামসন (Jack Williamson)।
৩৯. ন্যানোটেকনোলজি কাকে বলে?
উত্তরঃ- ন্যানোটেকনোলজি কে সংক্ষেপে ন্যানোটেক বলে ন্যানো প্রযুক্তি পদার্থকে আনবিক পর্যায়ে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রন করার বিদ্যা। ন্যানোটেকনোলজি হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে ন্যানো স্কেলে একটি বস্তুকে নিপুনভাবে ব্যবহার করা যায় অর্থাৎ এর পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ধ্বংস বা সৃষ্টি করা যায়।
অথবা, ন্যানো প্রযুক্তি হলো পারমানবিক বা আনবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব ও বস্তুকে সুনিপুনভাবে কাজে লাগানোর বিজ্ঞান। আবিস্কারক ? 1959 সালে রিচার্ড ফাইনম্যান (Richard Feynman)।
৪০. হ্যাকিং(Hacking) কী?
উত্তরঃ- প্রোগ্রাম রচনা ও প্রয়োগের মাধ্যমে কোন কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের ক্ষতিসাধন করাকে হ্যাকিং বলে। অথবা, হ্যাকিং হচ্ছে অনাধিকার প্রবেশ এবং অনৈতিক কর্মকান্ড। যা কম্পিউটারে বা ওয়েবসাইটে ঢুকে অন্যের তথ্যের ক্ষতি সাধন করাকে হ্যাকিং বলে। আবিস্কারকঃ 1995 সালে ক্যাভিন ডেভিড মিটনিক (Kevin David Mitnick)
৪১. সুফিং ও সিফিং (Spoofing & Sniffing) কী?
উত্তরঃ- সুফিং ভূয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আর্থিক তথ্যাদি হাতিয়ে নেয়ার একটি সাধারন পদ্ধতিকে স্পুফিং বলে। স্লিফিং ৪ যে কোনো তথ্য ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে তথ্য যাবার সময় তথ্যকে তুলে নেয়ার পদ্ধতিকে স্লিফিং বলে।
৪২. সাইবার-আক্রমন (Cyber-attack) বা সাইবার ওয়ারফে- আর কাকে বলে?
উত্তরঃ- কোনো কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রন অর্জনের প্রচেষ্টা এবং কোনাে ব্যক্তি বা গ্রুপের অনুমতি ছাড়াই তাদের সমগ্র গতিবিধিকে ট্র্যাক করাকে সাইবার আক্রমন বলে।
৪৩. সাইবার থেফট(Cyber theft) কী?
উত্তরঃ-অসৎ উদ্দেশ্য ব্যবহারের জন্য কিংবা অন্যান্য অবৈধ ব্যবহারের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করে ব্যবসায়িক অথবা ব্যক্তিগত তথ্যাদি চুরি করাই হলো সাইবার থেফট।
৪৪. সফটওয়্যার পাইরেসি(Software Piracy) কী?
উত্তরঃ- যে কোনো সফটওয়্যার প্রস্তুতকারীর বিনা অনুমতিতে কোন সফটওয়্যার কপি করা, বিতরন করা, আংশিক পরিবর্তনকরে নিজের নামে চালিয়ে দেয়া ইত্যাদি কার্যক্রমকে সফটওয়্যার পাইরেসি বলে ।
৪৫.প্লেজিয়ারিজম(Plagiarism) কী?
উত্তরঃ- যে কোন উৎসের লেখা সংযোজন করা হোক না কেন। তাতে মূল লেখক বা মূল কর্মের স্রষ্টার নাম অবশ্যই সংযোজন করা না হলে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরনের অপরাধকে প্লেজিয়ারিজম বলে।
৪৬. ই-কমার্স কী?
উত্তরঃ- ইলেকট্রনিক কমার্সকেই সাধারন অর্থে ই-কমার্স বলে। অর্থাৎ ইন্টারনেট বা অন্য কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে কোনো পন্য বা সেবা ক্রয়- বিক্রয়ের কাজটিকেই ই-কমার্স বলে।
৪৭.ই-কমার্সের সুবিধা সমূহ লেখ।
উত্তরঃ- ই-কমার্সের সুবিধা সমূহ-
১) দ্রুত ক্রয়-বিক্রয় পদ্ধতি, সহজে পন্য খুঁজে পাওয়া যায়।
২) ব্যবসা পরিচালনা খরচ কমায়।
৩) ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে সহজেই ক্রেতার কাছে পৌঁছা যায়।
৪) পন্যের গুনগত মান উন্নয়ন করে।
৫) কম খরচে উন্নত সেবা প্রদান করে।
৬) বাহ্যিক সেটআপ ছাড়াই ব্যবসা করা যায়।
৭) সহজেই ব্যবসা শুরু করা যায় এবং ব্যবস্থাপনা করা যায়।
৮) ক্রেতা দৈহিকভাবে না গিয়ে বিভিন্ন প্রোভাইডারদের প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে পারে।
৪৮.স্প্যামিং(Spamming) কী?
উত্তরঃ- অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় মেইল আসে, যা খুবই বিরক্তিকর, এই মেইলগুলোকে স্পামিং মেইল বলে। এ ধরনের মেইল ওয়েব সাভার ব্যস্ত রাখে, মেমোরি জায়গা দখল করে।
৪৯. সমাজে তথ্য প্রযুক্তির সুফল ও কুফল সমূহ কি কি?
উত্তরঃ- সমাজে তথ্য প্রযুক্তির সুফল সমূহ-
১) সময় বাচায় ।
২) অপচয় কমায়।
৩) দক্ষতা বৃদ্ধি।
৪) তথ্যের প্রাচুর্য।
৫) দ্রুত যোগাযোগ।
৬) ভিডিও কনফারেন্সিং।
৭) ব্যবসা-বানিজ্যে।
৮) শিক্ষক্ষেত্রে।
৯) ই-গভর্নেন্স।
১০) যোগাযোগ ব্যবস্থায়।
১১) চিকিৎসায় ।
১২) কর্মসংস্থান।
১৩)বিনোদনক্ষেত্রে।
১৪) প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
সমাজে তথ্য প্রযুক্তির কুফল সমূহ-
১) অপরাধপ্রবনতা।
২) অশ্লীলতা।
৩) তথ্যের গোপনীয়তা প্রকাশ।
৪) বেকারত্ব সৃষ্টি।
৫) শারীরিক সমস্যা।
৬) বুদ্ধিমত্তার ক্ষতিগ্রস্ততা।
৭) মিথ্যা প্রচারণা।
৮) ডিজিটাল ডিভাইড।
৫০. ICT এর অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমূহ কি কি?
উত্তরঃ- ICT এর অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমূহ-
১) বিনিয়োগ।
২) কর্মসংস্থান।
৩) আউটসোসিং।
৪) ব্যবসায় উদ্যোগ।
৫) উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি।
৬) ক্ষুদ্র ব্যবসায়।
৭) যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন।
৮) শিক্ষা বিস্তার।
৯) ই-গভর্নেন্স।
১০) ই-ব্যাংকিং।
১১) মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি।
৫১. ভাইরাস(VIRUS) কী?
উত্তরঃ
VIRUS এর পূর্নরুপ হলো Vital Information Resources Under Seize। এটি হলো এক ধরনের অজানা ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাহ, সংক্রমণ ও বংশ বৃদ্ধি করে কম্পিউটারে রক্ষিত অন্যান্য প্রোগ্রামকে নষ্ট করে দেয় তাকে ভাইরাস বলে। কয়েকটি ভাইরাসের নামঃ Trojon horse, Abraxas, Melissa, The Anna Kournikova Etc. আবিস্কারকঃ 1986 সালে ফ্রেড কোহেন (Fred Cohen)
৫২.টেলিমেডিসিন কাকে বলে?
উত্তরঃ- ইন্টরনেট, টেলি কনফারেন্স বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো দেশে অবস্থান করেও একজন ডাক্তার অন্য যে কোনো স্থানের কোনো রোগীর চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন, তাকে ই-ডাক্তার বা টেলিমেডিসন বলে।
৫৩. আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্ট কী? এর জনক কে?
উত্তরঃ- মানুষের চিন্তা ভাবনা অথবা বুদ্ধিমত্তার পদ্ধতিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্র বা কম্পিউটারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্ট বলে। আবিস্কারক ও 1940 সালে অ্যালান টুরিং (Alan turing)।
আরো পড়ুনঃ-
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ICT কমিউনিকেশন সিস্টেম ও নেটওয়ার্কি অধ্যায়ের সকল প্রশ্ন উত্তর
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ICT সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল সিস্টেম অধ্যায়ের সকল প্রশ্ন উত্তর
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ICT ওয়েব ডিজাইন পরিচিতি এবং HTML এর সকল প্রশ্ন উত্তর
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ICT প্রোগ্রামিং ভাষা অধ্যায়ের সকল প্রশ্ন উত্তর
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ICT ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অধ্যায়ের সকল প্রশ্ন উত্তর
Download From Google Drive
Download
Download From Yandex
Download
👀 প্রয়োজনীয় মূর্হুতে 🔍খুঁজে পেতে শেয়ার করে রাখুন.! আপনার প্রিয় মানুষটিকে “send as message”এর মাধ্যমে শেয়ার করুন। হয়তো এই গুলো তার অনেক কাজে লাগবে এবং উপকারে আসবে।