২০২০ সালের ৪১ তম বিসিএস প্রস্তুতি ও বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি।

0
576

২০২০ সালের ৪১ তম বিসিএস প্রস্তুতি ও বিসিএস

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি।

আরো পড়ুনঃ- ৪১ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার গাণিতিক যুক্তি প্রশ্ন সমাধান পিডিএফ ডাউনলোড -২০২১

একটু বুঝেশুনে বিসিএস প্রস্তুতি নিলে প্রিলিমিনারিতে সহজেই উত্তীর্ন হতে পারবেন। কী কী পড়বেন, সেটা ঠিক করার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল, কী কী বাদ দিয়ে পড়বেন, সেটা ঠিক করা। যা কিছুই পড়ুন না কেন, আগে ঠিক করে নিন, সেটা পড়া আদৌ দরকার কিনা।  বিসিএস নিয়ে আপনার যে প্রচণ্ড ইচ্ছে আর আবেগ, সেটার সাথে একটু বুদ্ধিশুদ্ধি যোগ করলেই আপনার বিসিএস যাত্রা সফল হবে। বিসিএস প্রস্তুতির পড়াশোনা বাসায় করাটা সর্ব উত্তম। বাসায় নিম্ন ৬ ঘণ্টা ঠিকভাবে পড়াশুনা করে বাকী সময় আপনার ইচ্ছামত পজেটিভ কাজে ব্যয় করতে পারেন।
৪১তম বিসিএস প্রস্তুতি কৌশল: বাংলা
বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমারির
 সিলেবাস অনুযায়ী কারো পক্ষেই শতভাগ প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়। বিসিএস প্রিলিমারি পরীক্ষায় বাংলা অংশে ভাল করার জন্যে কী কী পড়বেন, কী কী বাদ দিয়ে পড়বেন সেটা ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ।
বিসিএস প্রিলিমারি পরীক্ষার বাংলা অংশের
 জন্য, বিগত  বিসিএস পরিক্ষার প্রশ্ন ও জব সল্যুশনের ভাষা ও সাহিত্যের প্রশ্নগুলি গুরুত্ব দিয়ে পড়ুন। বিগত  বিসিএস পরিক্ষার প্রশ্ন ও জব সল্যুশন থেকে কমন না পেলেও নেক্সট বিসিএস প্রশ্নের ধারণা পেয়ে যাবেন। অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছেন, কল্পনা বা ধারণা হচ্ছে জ্ঞানের থেকে মুল্যবান। যেকোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার ক্ষেত্রে প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে জানাটা  খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা
বিগত
 বিসিএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন, জব সল্যুশন, ৯ম-১০ম শ্রেণীর ব্যাকরণ বই+ হায়াৎ মামুদ, মাহবুবল আলমের বাংলা ভাষার বই ও গাইড বই।
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বাংলা অংশের সিলেবাসটা ভাল করে দেখে নিন। কোন-কোন বিষয় আছে, নোট খাতায় লিখুন। বাংলা অংশের প্রতিটি অংশের বিষয়গুলো ব্যাকরণ বই আর গাইড বইয়ের সেই অধ্যায়গুলি ভালভাবে দাগিয়ে দাগিয়ে কয়েকবার পড়তে পারেন। অনেক প্রশ্ন বার বার পড়লেও মনে থাকে না, সেক্ষেত্রে প্রতিদিন দিনের কিছু সময় মাইন্ড গেমে কাটাতে পারেন। দিনের শুরুটা মেডিটেশন কিংবা প্রার্থনা দিয়ে শুরু করতে পারেন। সেটা করতে পারলে আপনার মস্তিষ্কের নিউরন একটিভ হতে থাকবে। আপনার মস্তিষ্কের নিউরণ যত বেশী একটিভ হবে, আপনার স্মৃতিশক্তি, জানার ভান্ডার তত শক্তিশালী হবে।
বাংলা
বিগত বিসিএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন, জব সল্যুশন, সৌমিত্র শেখরের জিজ্ঞাসা,
 হুমায়ূন আজাদের লাল নীল দীপাবলি, মাহবুবুল আলমের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ও গাইড বই বিগত বিসিএস পরীক্ষার প্রিলি আর লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন স্টাডি করে কোন ধরনের প্রশ্ন আসে, কোন ধরনের প্রশ্ন আসে না, সে সম্পর্কে ভাল ধারণা নিতে পারেন। সাহিত্য অংশটি পড়ার সময় লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিসহ নিয়ে ফেলতে পারেন, কেননা এতে আপনার বাড়তি কোনও কষ্ট করতে হবে না। মুখস্থ করার চেষ্টা করার চাইতে বারবার পড়ে মনে রাখার চেষ্টা করা ভাল।
বাংলা পড়ার কিছু কৌশল
১০ম থেকে ৪০তম বিসিএস, ২-৩টা জব সল্যুশন কিনে পিএসসি’র নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নগুলো (সম্ভব হলে, অন্ততঃ ২৫০-৩০০ সেট) বুঝে-বুঝে সমাধান করতে পারেন। দাগিয়ে-দাগিয়ে রিভিশন দিতে পারেন অন্তত ২-৩ বার। পত্রিকা, অন্তজাল ও  রেফারেন্স বই ভালভাবে অধ্যয়ন করতে পারেন।
দুই সেট রিটেনের গাইড বই কিনে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো আর সাজেশন গুলো পড়তে পারেন।  যে বিষয়গুলো প্রিলির সাথে মিলে, সেগুলো সিলেবাস ধরে পড়ে শেষ করে ফেলুন। এতে করে আপনার লিখিত পরিক্ষার অর্ধেক পড়া হয়ে যাবে। রেফারেন্স বই পড়ার সময় আদৌ বইটি পড়ার দরকার আছে কিনা, সেটা বুঝে পড়ুন।
বই পড়ার পাশাপাশি প্রশ্ন সলভ করতে হবে। যত বেশি প্রশ্ন সলভ করবেন, ততই আপনার প্রস্তুতি এগিয়ে যাবে।
বাংলা পত্রিকা বা যে কোন বই পড়ার সময় সন্দেহ জাগে এমন বানানগুলো আলাদা ভাবে খেয়াল রাখুন।
চিঠি, স্মারকলিপি, ভাবসম্প্রসারন, সারাংশ, সারমর্ম সংলাপ প্রভৃতির ফরম্যাটটা জেনে নিয়ে মাঝে মাঝে ফ্রিহ্যান্ড লেখার প্র্যকটিস করবেন।
 ১ম শ্রেণি থেকে থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আবশ্যিক বাংলা বইয়ে যেসব কবি সাহিত্যিকের গল্প-কবিতা রয়েছে, তাদের জীবন ও সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে পড়তে পারেন।
নিজেকে সবসময় আপডেট রাখুন। আপনার সফলতা কামনা করি।
ইংরেজি
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ইংরেজিতে ভাল ফলাফলের জন্য দুটি বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে।
১। বানান ভুল করা যাবে না।
২। গ্রামাটিক্যাল ভুল করা যাবে না।
উপরক্ত বিষয় দুটি  মাথায় রেখে ইংরেজিতে লেখার চর্চা করতে হবে। আগের বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ইংরেজি প্রশ্নগুলো দেখুন। আগের প্রশ্ন থেকে ইংরেজী অংশের প্রশ্নের ধরন বুজতে পারবেন।  লিখিত পরীক্ষার কিছু-কিছু ব্যাপার মাথায় রেখে প্রিলির প্রস্তুতি নিলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে সহজে পৌছাতে পারবেন। বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল অনুবাদ। খুব একটা সহজ অনুবাদ বিসিএস পরীক্ষায় সাধারণত কখনই আসে না। এই অংশটা এখন থেকেই একটু ভিন্নভাবে চর্চা করতে হবে।  বিভিন্ন ইংরেজি আর বাংলা পত্রিকার সম্পাদকীয়কে নিয়মিত অনুবাদ করার চেস্টা করবেন। প্রিলিমিনারি পরিক্ষার ইংরেজী অংশে ল্যাঙ্গুয়েজ পার্টে গ্রামার এবং ইউসেজের উপর সাধারণত প্রশ্ন আসে।
বিভিন্ন প্রকাশনীর বই ও জব সল্যুশন বেশি করে চর্চা করতে হবে।
ইংলিশ ফর দ্য কম্পিটিটিভ এক্জামস্,
অ্যা প্যাসেজ টু দ্য ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ,
অক্সফোর্ড অ্যাডভান্সড লার্নারস ডিকশনারি,
লংম্যান ডিকশনারি অব কনটেম্পোরারি ইংলিশ,
মাইকেল সোয়ানের প্রাক্টিক্যাল ইংলিশ ইউসেজ,
রেইমন্ড মারফির ইংলিশ গ্রামার ইন ইউজ,
জন ইস্টউডের অক্সফোর্ড প্র্যাকটিস গ্রামার,
টি জে ফিটিকাইডসের কমন মিস্টেকস ইন ইংলিশ সহ আরও কিছু
 বই সংগ্রহ করতে পারেন। বইগুলো থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর উল্টেপাল্টে খোঁজার অভ্যাস করুন। যেমন, এনট্রাস্ট শব্দটির পর ‘to’ হয়, আবার ‘with’ ও হয়। ডিকশনারি দেখে লেখার চেস্টা করলে এই ধরনের ভুল হওয়ার সম্ভবনা কম। ইংরেজি শেখার সহজ পদ্ধতি হচ্ছে লেখার চর্চা করা। ইংরেজির জন্য নিয়মিত পরিশ্রম করতে হবে।
ভোকাবুলারি
‘ম্যাক ক্যারথ’ ও ডেলের ‘ইংলিশ ভোকাবুলারি ইন ইউজ’
নর্ম্যান লুইসের ‘ওয়ার্ড পাওয়ার মেইড ইজি’ সহ কিছু বাংলাদেশের বইও সংগ্রহ করে চর্চা করতে পারেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার আগের বছরের প্রশ্নগুলি থেকে শুধু ভোকাবুলারি অংশ সল্ভ করলে কাজে লাগবে। নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুর উপর রিপোর্ট, সম্পাদকীয় আর সম্পাদকের নিকট পত্র অর্থ বুঝে সময় নিয়ে পড়ুন; লিখিত পরিক্ষাও সহজ হয়ে যাবে।
লিটারেচার অংশের প্রস্তুতি
প্রথমত, দুএকটি প্রশ্নের উত্তর যাঁরা ইংরেজিতে অনার্স-মাস্টার্স, তাঁরাও পারবেন না। নেগেটিভ মার্কিং হয় এমন প্রতিযোগিতামুলক পরিক্ষায় সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব হয় না।  বিগত বিসিএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন, জব সল্যুশন, গাইড বই ও অন্তজাল থেকে ইংরেজী সাহিত্যর উপর ঘাটাঘাটি করলে ইংরেজী সাহিত্য অংশে সফলতা পাওয়া যাবে।
ইংলিশ গ্রামারের জন্য দুইটা বই আপনাকে সহযোগিতা করবে:
Oxford Advanced Learner’s Dictionary
Long-man Dictionary of Contemporary English.

সাথে আরও কিছু বই সংগ্রহ করতে পারেন।
সাধারণত যারা প্রশ্ন তৈরি করেন, তাঁরা কোন গাইড বই বা কোর্চিং এর শিট থেকে প্রশ্ন তৈরি করেন না। আর একটা গ্রামারের প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন গাইডে বিভিন্ন রকমও হয়ে থাকে! আপনাকে সঠিক উত্তর জানতে হলে ডিকশনারি ব্যবহার করে শিখতে হবে, তাহলে ইংরেজী গ্রামার অংশ ভুল হওয়ার সম্ভবনা ০% চলে আসবে।
যেসব প্রশ্নের উত্তরে সন্দেহ থাকবে, সেসব প্রশ্নের উত্তরের জন্য ডিকশনারির শরণাপন্ন হতে হবে।  উদাহরণ সহ চর্চা করলে সব থেকে ভাল কাজে আসবে।   প্রথম দিকে কষ্ট বা বিরক্তকর হলেও অভ্যাস হয়ে গেলে আপনার নিশ্চিত ভাল লাগবে। কয়েক মাস চর্চা করলে ইংরেজী গ্রামারে শতভাগ দক্ষতা অর্জন হবে।
গাণিতিক যুক্তি 
প্রিলিমিনারি পরিক্ষায় যে গাণিতিক যুক্তি অংশে যে প্রশ্ন আসে, সেগুলি সহজ, আপনি নিশ্চয়ই পারবেন; কিন্তু সেটা গড়ে ১ মিনিটে সমাধান করে উত্তর দিতে পারবেন কি ?
এটার জন্য এখন থেকে চর্চা করার সময় শর্টকাটে সমাধান করা শিখতে হবে। প্রিলিমিনারি গণিত অংশের প্রতিটি প্রশ্ন
 শর্টকাটে সমাধান করা যায়। পদ্ধতি শিখে নিন, নিজের উদ্ভাবিত পদ্ধতি নিজে বানিয়ে নিতে পারলে খুব ভাল হয়, তাহলে আর ওই ধরনের গণিত প্রশ্নের উত্তর দিতে ভুল হবে না। শর্টকাট পদ্ধতির কোন ব্যাকরণ নেই।আপনার উদ্ভাবিত পদ্ধতিটা অন্য পদ্ধতির সাথে নাও মিলতে পারে। গণিতের প্রশ্নের সমাধান মিললেই হল। বইয়ের পাতায়-পাতায় প্রশ্নের পাশেই শর্টকাট ফর্মুলা লিখে মান বসিয়ে সমাধান করুন।
ক্যালকুলেটর ব্যবহার
শুধু ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে আর প্রশ্নের পাশের ছোট জায়গাটি ব্যবহার করে আপনি যদি সব গণিতের প্রশ্নের সমাধান করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে গণিতের জন্য আপনার প্রস্তুতি  ভাল। প্রিলিমিনারির গণিতের প্রায় সকল প্রশ্ন Backtracking মেথডে করা যায়। অপশনের উত্তরগুলি সূত্রে কিংবা প্রশ্নে বসিয়ে সলভ করা যায়। এছাড়া POE মেথড কাজে লাগাতে পারেন। এটি হল, ৪টি অপশনের মধ্যে যে ২টি উত্তর হওয়ার সম্ভাবনা কম, সেগুলি বাদ দিয়ে বাকি দুটো নিয়ে ভাবা। এই দুটি টেকনিক ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে খুব কম সময়ে গণিতের প্রশ্নের সমাধান করতে পারবেন।
গণিতের জন্য অনেকেই জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের টেক্সট বইগুলি পড়েন। এতে সমস্যা হল, বাড়তি অনেককিছু পড়া হয়ে যায়, যেগুলি পড়ার আদৌ কোন দরকার নেই। সেগুলো পড়তে যে সময় লাগবে, তা হয়ত আপনার হাতে নাও থাকতে পারে। সহজ ভাবে গণিতের ভাল প্রস্তুতির জন্য কমপক্ষে দুটো ভাল গাইড বইয়ের কিংবা জব সল্যুশনের প্রতিটি গণিতের প্রশ্ন সমাধান করতে পারেন। গণিতের প্রশ্ন চর্চা করার জন্য অনেকবেশি প্রশ্ন আছে, এমন বই সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অধ্যায় শুরু করলে সেটা শেষ না করে পড়ার টেবিল থেকে উঠবেন না, এরকম সংকল্প থাকতে হবে।  প্রিলিমিনারির পড়া একটানা পড়তে পারলে আপনার লক্ষ্য যহজ হবে। গাণিতিক যুক্তি অংশের জন্য দুটো মডেল টেস্টের বইয়ের সব টেস্ট দিতে পারেন।
মানসিক দক্ষতা
মানসিক দক্ষতা অংশের প্রশ্নগুলো একটু কৌশলপূর্ণ হয়।  মাথা ঠাণ্ডা রেখে এবং ভালভাবে প্রশ্ন পড়ে, পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে উত্তর করতে হবে। এ অংশের প্রশ্ন সাধারণত সহজেই হয়। তবে সেটা কারো কারো কাছে কঠিনের চাইতেও কঠিন। মানসিক দক্ষতা অংশের জন্য ২-৩ সেট গাইড বই কিনতে পারেন, সাথে ২-৩টা আইকিউ টেস্টের বই। এছাড়াও বিগত বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নব্যাংকের প্রশ্নগুলো সমাধান করুন। মানসিক দক্ষতা অংশে ফুল মার্কস অর্জন করবেন এটা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিন।
গাইড বই, আইকিউ টেস্টের বই, গুগলে ইংরেজিতে ‘Verbal / Abstract / Mechanical Reasoning / Space Relations / Numerical Ability / Spelling and Language Practice’ লিখে সার্চ করে বিভিন্ন সাইটে ঢুকে নিয়মিত প্রশ্নগুলো সমাধান করুন । মানসিক দক্ষতা অংশে প্রশ্ন ‘কমন’ আসার সম্ভবনা নেই। এ অংশে ভাল মার্কস নিতে চাইলে,  বেশি বেশি চর্চা করার কোন বিকল্প নেই। এ অংশে ভাল করার জন্য জ্ঞানের চাইতে কমনসেন্স বেশি কাজে লাগবে।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অংশের জন্য অন্তত ২-৩টা গাইড বই এবং ৯ম-১০ম শ্রেণীর সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে সংশ্লিষ্ট অধ্যায় থেকে প্রস্তুতি নিতে পারেন। বিগত বিসিএস প্রিলি: প্রশ্নগুলো দেখুন, বেশিরভাগ প্রশ্নই এসেছে ৯ম-১০ম শ্রেণীর সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন অংশটি ২-৩ টা গাইড বই থেকে পড়ুন। মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের ‘নাগরিকদের জানা ভালো’ বইটি পড়তে পারেন। এ অংশের উত্তর করার জন্য সবচাইতে বেশি দরকার কমনসেন্স। একেকভাবে ভাবলে একেকরকম উত্তর হয়, এমন প্রশ্ন এ অংশে কিছু আসে।  পিএসসি ইচ্ছে করেই এরকম প্রশ্ন করে,  যাতে কেউ সেগুলো উত্তর না দেয়। কেউ উত্তর দেওয়ার লোভ করলে পুরষ্কার  নেগেটিভ মার্কস।
সাধারণ জ্ঞান
পিএসসি প্রদত্ত বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী
বাংলাদেশ বিষয়াবলী (মোট নম্বর = ৩০)
বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলী

প্রাচীনকাল থেকে সম-সাময়িক কালের ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসঃ ভাষা আন্দোলন
১৯৫৪ সালের নির্বাচন
ছয় দফা আন্দোলন ১৯৬৬
গণ-অভ্যুত্থান ১৯৬৮ – ১৯৬৯
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন
অসহযোগ আন্দোলন
৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ – স্বাধীনতা ঘোষণা
মুজিবনগর সরকারের গঠন ও কার্যাবলী
মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল – মুক্তিযুদ্ধে বৃহৎ শক্তিবর্গের ভূমিকা
পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণ এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়।
বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ:
শস্য উৎপাদন এবং এর বহুমুখীকরণ
খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা
বাংলাদেশের জনসংখ্যা:
আদমশুমারি
জাতি – গোষ্ঠী – উপজাতি সংক্রান্ত বিষয়াবলী
বাংলাদেশের অর্থনীতি
উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রেক্ষিত ও পঞ্চবার্ষিকী
জাতীয় আয় – ব্যয়
রাজস্ব নীতি ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি
দারিদ্র্য বিমোচন
বাংলাদেশের শিল্প  বাণিজ্য:
শিল্প উৎপাদন
পণ্য আমদানি ও রপ্তানিকরণ
গার্মেন্টস শিল্প ও এর সার্বিক ব্যবস্থাপনা
বৈদেশিক লেন-দেন ও অর্থ প্রেরণ
ব্যাংক ও বীমা ব্যবস্থাপনা
বাংলাদেশের সংবিধান:
প্রস্তাবনা ও বৈশিষ্ট
মৌলিক অধিকারসহ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহ
সংবিধানের সংশোধনীসমূহ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা:
রাজনৈতিক দলসমূহের গঠন, ভূমিকা ও কার্যক্রম
ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের পারস্পরিক সম্পরকাদি
সুশীল সমাজ ও চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীসমূহ এবং এদের ভূমিকা
বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা:
আইন, শাসন ও বিচার বিভাগসমূহ
আইন প্রণয়ন
নীতি নির্ধারণ
জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার কাঠামো
প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস ও সংস্কার
বাংলাদেশের জাতীয় অর্জন:
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাসমূহ
জাতীয় পুরস্কার
খেলাধুলা
চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী (মোট নম্বর ২০)
বৈশ্বিক ইতিহাস
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা
ভু-রাজনীতি
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক
বিশ্বের সাম্প্রতিক ও চলমান ঘটনাপ্রবাহ
আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি
আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি
বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞানের (বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী  ) প্রস্তুতির জন্য বিগত বিসিএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন, জব সল্যুশন, পত্রিকা, অন্তজাল, বিসিএস প্রস্তুতি গাইড বই আর কিছু রেফারেন্স বই অধ্যায়ন করতে পারেন। নিম্নে কিছু সাধারণ জ্ঞান অংশের কৌশল তুলে ধরা হল, সেগুলো আপনার অধ্যায়নে প্রয়োগ করতে পারেন।
প্রিলিমিনারি পরিক্ষায়  সাম্প্রতিক বিষয় থেকে প্রশ্ন আসতে পারে ৭-৮টা, যেগুলো কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স/ কারেন্ট ওয়ার্ল্ড/  আজকের বিশ্ব, অর্থনৈতিক সমীক্ষা টাইপের বইগুলো থেকে কমন পাওয়া যায়৷  এরমধ্যে অন্তত ২-৩টা প্রশ্নের উত্তর নিয়মিত পত্রিকা পড়লে উত্তর দিতে পারবেন।
বিসিএস প্রস্তুতি গাইড বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন রেফারেন্স বই, যেমন মোজাম্মেল হকের উচ্চমাধ্যমিক পৌরনীতি ২য় পত্র, বাংলাদেশের সংবিধান নিয়ে বই (আরিফ খানের সহজ ভাষায় বাংলাদেশের সংবিধান), মুক্তিযুদ্ধের উপর বই (মঈদুল হাসানের মূলধারা: ’৭১), নীহারকুমার সরকারের ছোটোদের রাজনীতি, ছোটদের অর্থনীতি, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নাগরিকদের জানা ভালো, আকবর আলী খানের পরার্থপরতার অর্থনীতি, আজব ও জবর-আজব অর্থনীতি
সাধারণ বিজ্ঞান
‘বিসিএস প্রস্তুতি’ সাধারণ বিজ্ঞান অংশের প্রস্তুতি নেয়ার সময় আপনি বিজ্ঞানের ছাত্র কিংবা ছাত্র না, এটা কখনেই ভাববেন না। সাধারণ বিজ্ঞান অংশটিতে অবহেলা করলে এ অংশে মার্কস কম পাবেন।  এ অংশটির প্রশ্নগুলি এমনভাবে করা হয়, যাতে করে যেকোনও ব্যাকগ্রাউন্ডের পরিক্ষার্থী একই সুবিধা কিংবা অসুবিধা পায়। সাধারণ বিজ্ঞান অংশের জন্য দুটো ভাল প্রকাশনীর অনেকবেশি প্রশ্ন দেয়া আছে, এমন গাইড বইয়ের সব প্রশ্নের উত্তর শিখে ফেলুন।  সাথে একটা জব সল্যুশনের প্রশ্নগুলিও পড়ে ফেলতে পারেন।
প্রিলিমিনারির জন্য যত বেশি প্রশ্ন পড়বেন, ততই লাভ। সিলেবাস দেখে টপিক ধরে-ধরে কোন কোনটা দরকার, শুধু ওইটুকুই পড়বেন। গাইডেও অনেককিছু দেয়া থাকে যেগুলোর কোন দরকারই নেই। দুইটা লিখিত পরীক্ষার গাইড বই থেকে শুধু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও টীকাগুলি পড়ে ফেলুন; খুবই কাজে লাগবে। পেপার আর অন্তজালে থেকে সাধাওরণ বিজ্ঞান  নিয়ে কিছু পড়াশোনা করে নিতে পারেন।
প্রিলিমিনারির জন্য হিসেব করে পড়ুন। আপনি আম খাওয়ার আগে আমের বৈজ্ঞানিক নাম জেনেও আম খেতে পারেন। কোনও সমস্যা নাই। প্রতিদিনের পড়ার মোট সময়ের এক-তৃতীয়াংশ সময় রিটেনের জন্যে দিতে পারেন। তবে, বিসিএস লিখিত পরিক্ষার সব পড়া না পড়ে ২ ধরনের পড়া এই সময়ে রেডি করে রাখতে পারেন:

সাইজঃ-  878 KB

 পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ-  6

পিডিএফটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

Download From Google Drive

Download From Yandex